২৫ তারিখ সকাল ৯ টায় বিডিআর সদর দপ্তরে শুরু হওয়া রক্তক্ষয়ী সংঘাত এর মধ্যে বিকাল এর দিকে সরকারের পক্ষ থেকে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে প্রথম বিডিআর সদর দপ্তরের গেটের ভেতরে প্রবেশ করেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম। নানক ও মির্জা আজম বিডিআরদের সাথে আলোচনার পর বিডিআর প্রতিনিধি হিসাবে ১৪ জনকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাদের দাবিদাওয়া এবং পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেন। আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী তাদের অস্ত্র সর্মণের শর্তে দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সাধারণ ক্ষমার ঘোষনা দেন। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলা হলেও বিডিআর জওয়ানরা শর্তানুযায়ী অস্ত্র সমর্পনের ব্যাপারে গড়িমসি করে। কারণ:
সেনা সদস্যদের সরানোর কথা বললেও তাদের না সরানোই প্রধান ।
শেষ পর্যন্ত
শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনের পরে বিডিআররা অস্ত্র সমর্পণ করে। এই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ২৫ তারিখে সাধারণভাবে নেওয়ায়, তারা মেনে নেওয়ার ঘোষনা দিলেও বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু আজকে তারা খুবই দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আলোকে অস্ত্র সমর্পণ করে ফেলে। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনটি ২৫ তারিখে দিলে হয়ত অবস্থা এত ভয়াবহ হত না।
যাই হোক বিডিআর জওয়ানরা সবাই অস্ত্র সমর্পণ করার পর এখনও অনেক স্থানে বিডিআর জওয়ানদের আটক করা হচ্ছে। বাস, ট্রেন ছাড়াও অন্যান্য যানবাহনে তল্লাশী করা হচ্ছে। তবে কি তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার অর্থ কি..................?
কেউ জানলে আমারে জানাইবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




