প্রিয় সুহৃদ,
আমার শুভেচ্ছা জানবেন। এই প্রথম কোন ব্লগে বিশেষত বাংলায় লিখছি। গত চার তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশিত শ্রদ্ধেয় জাফর স্যারের লেখা সম্পাদকীয়টি (Click This Link) গভীর আনন্দ নিয়ে পড়লাম। বারবার করে পড়েছি। পরোপকারের আনন্দ কত নিখাদ ও তীব্র হতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ এই লেখাটি। এরকম একটি বিষয় সবার সামনে তুলে ধরার জন্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রাসঙ্গিক একটি বিষয়ে আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মূলত এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ২০০৩ সাল থেকে আমি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রমের সাথে জড়িত আছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আর্তমানবতার সেবায় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে আসছে। ২০০০ সালে যাত্রা শুরু হয়েছে কোয়ান্টাম ব্লাড ব্যাংক এর। মাত্র এক দশকের পথচলায় গড়ে উঠেছে সোয়া লক্ষ স্বেচ্ছা রক্তদাতার সুবিশাল ডোনার পুল। ইতোমধ্যে ৩ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত সরবরাহ করা হয়েছে। বেঁচেছে লক্ষ প্রাণ। বান্দরবনের দুর্গম লামা উপজেলায় গড়ে তোলা হয়েছে কোয়ান্টাম শিশুকানন। পরিপুর্ণ আবাসিক সুবিধাসহ এই আলোকিত শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করছে সুবিধাবঞ্চিত চার শতাধিক শিশু। অদূরভবিষ্যতে এখানে একটি পুর্নাঙ্গ হাসপাতাল স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ চলছে।
সৃষ্টির সেবার মহানব্রত নিয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন নিরলস কাজ করে চলেছে। সবচেয়ে আশার কথা ফাউন্ডেশনের প্রতিটি কাজ স্বঅর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। বৈদেশিক সাহায্য নয়, ফাউন্ডেশনের সদস্যদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দান সংঘবদ্ধ করে সবধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
শুধু নিজের জন্য বেঁচে থাকা নয় অন্যের জন্য কিছু করার অন্তর্গত তাগিদ থেকে ফাউন্ডেশনের সদস্যরা হাসিমুখে কাজ করে চলেছেন। ২০২৫ সালের মধ্যে মানবিক মহাসমাজে উত্তরণের মনছবি দেখছি আমরা। সদাচারী পরিশ্রমী বিনয়ী আত্মপ্রত্যয়ী জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার এ অভিযাত্রা সফল হোক আমাদের।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এই মহতি কার্যক্রমে যুক্ত হওয়ার সুযোগ অবারিত রয়েছে সবার জন্য। ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য দয়া করে ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট একবার ভিজিট করার জন্য অনুরোধ করছি। ওয়েবসাইটের ঠিকানা: http:www.quantummethod.org.bd.
সবাই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। খোদা হাফেজ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



