বাংলাদেশের নাট্যজগতের জন্য অবশ্য্ই এটা সুখের খবর যে এই ডিসেম্বর মাসেই ঢাকার বেশ কয়েকটি নাট্যদল ভারতে নাট্যোৎসবে আমন্ত্রন পেয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি দল ইতিমধ্যে ভারতে মঞ্চায়নের উদ্দেশ্যে ঈদের আগেই ঢাকা ছেড়ে যায়। নাগরিক নাট্যাঙ্গন ভারতে যায় তাদের নাটক "প্রাগৈতিহাসিক" নিয়ে। প্রাচ্যনাট ভারতে যায় "কইন্যা" নাটকটির প্রদর্শনী করতে। এদিকে থিয়েটার(আরামবাগ) গতকাল ২৮ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা ছেড়ে গেছে কলকাতার উদ্দেশ্যে। ঢাকার আরেকটি প্রথম সারির নাট্যদল পদাতিক নাট্য সংসদ-বাংলাদেশ তাদের প্রযোজনা "জলবালিকা" নাটকটি করতে ভারত যাচ্ছে আগামী ৩১ডিসেম্বর। বছরের প্রথম দিন ১লা জানুয়ারী নাটকটির প্রদর্শনী হবে নজরুল এর জন্মস্থান চুরুলিয়া, আসানসোল এ। এছাড়া ২, ৩ জানুয়ারী আসানসোলে আরও ২টি প্রদর্শনী শেষে ৪জানুয়ারী কলকাতার মধুসূদন মঞ্চে নাটকটির আরও একটি প্রদর্শনী হবে।
বাংলাদেশের নাট্যদলগুলো যে শুধু আমন্ত্রন পাচ্ছে তা নয়। বরং সেখানে আমাদের নাটকগুলো যথেষ্ট প্রশংসা পাচ্ছে। ইতিমধ্যে নাগরিক এর "প্রাগৈতিহাসিক" যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে।
বেশ কিছুদিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক কোনো বিনিময় হবার সুযোগ পাচ্ছে না। এর একটা কারন ছিল ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা। দুপক্ষই একে অপর দেশের শিল্পীদের ভিসা দেবার ব্যাপারে গরিমসি দেখিয়েছে। তবে এ বছর অবস্থা বদলেছে এবং ভিসার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কড়াকড়ি দেখালেও সাংস্কৃতির কর্মীদের ভারত হাইকমিশন আর আটকাচ্ছে না। এটা খুবই ভালো লক্ষণ এবং দুই দেশের সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য ইতিবাচক। আশা করি এমন অবস্থা টিকে থাকবে। এবং বাংলাদেশের নাট্যদলগুলো দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১:৫৯