নগরীর রাস্তা থেকে সোডিয়াম বাতিগুলো নিরবে বিদায় নিচ্ছে। তাদের চাহিদা ফুরিয়ে যাচ্ছে, আর তার স্থান দখল করে নিচ্ছে অন্য নতুন এক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি। ইটপাথর আর কালোধুয়ার এই শহরে শত ব্যস্ততার মাঝে হঠাত আচমকা রাস্তায় থেমে যাই এই সোডিয়ামের বাতির নীচে। অদ্ভুত মুগ্ধতায় তাকিয়ে থাকি হলদে-সোনালি রঙের আলোর দিকে, এই আলোতে কি যেনো আছে!! ভাবি, খুঁজি, খুঁজে পাইনা। চুপচাপ আলো খাই, মন ভরে গেলে হাটা শুরু করি। এই আলোর স্বাদ জানি কেমন, মাথা ঝিমঝিম টাইপ, কষ্ট ভুলানো টাইপ। বিষন্নতার রঙ যেনো এই হলদে-সোনালি সোডিয়াম বাতির রঙের সাথে মিলেমিশে একাকার। হঠাত এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যাই সব। অনেকবার ভেবেছি আমার বারান্দায়ও একটি সোডিয়াম বাতি ঝুলিয়ে দেবো। অমাবস্যার রাতে আধার উপভোগের পাশাপাশি মাঝেমাঝে সোডিয়ামের আলো খাবো। কিন্তু হয়ে উঠেনা। কেন যেন মনে হয়, সোডিয়াম বাতি গুলো রাতের একাকী নিরজন রাস্তাতেই সুন্দর। অপূর্ব সুন্দর। আমার বারান্দায় বেমানান। ইচ্ছে করে রাস্তার পাশের কোন এক সোডিয়াম বাতির পাশেই একটি টং দোকান দিয়ে বসে পরি, চা-সিগারেট বিক্রি করব রাতের বেলায় সোডিয়াম এর আলো খেতে আসা একাকী মানুষ গুলোর কাছে। এভাবে আমারও আলো খাওয়া হয়ে যাবে। হয়ে উঠেনা। এসব নাকি সবার জন্য না। সাত-পাঁচ ভেবে ভেবে দিনযাপন, রাত্রিযাপন করতে করতে একটা সময় আমরা ভুলে যাই, ইচ্ছেরা হারিয়ে যায়। আমরা হারিয়ে ফেলি সবকিছু ,তারপর খুঁজতে থাকি, পাবো না জেনেও খুঁজি। মাঝেমাঝে ভুলেই যাই কি খুঁজি!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩০