কখনো কখনো এমন সময় আসে
যখন মাথার উপরে আসমান ভেঙ্গে পড়ে,
আলোকোজ্জ্বল সূর্য্য ঢাকা পড়ে যায়
নিকষ কালো হিংস্র মেঘে,
তাদের প্রতিটা কণা বিষধর সাপ হয়ে
ছোবল মারতে ফনা বাড়িয়ে দেয়।
এতোদিনের পরিচিত পৃথিবী,
ঘাস বিছানো পায়ের নীচের মাটি,
মুহূর্তে সারে গিয়ে
বেরিয়ে পড়ে অগ্নিগিরির গভীর খাদ।
উপরে আকাশ থেকে ছোবল মারা বিদ্যুৎ
নীচে প্রচন্ড বেগে বেরিয়ে আসা
নিষ্ঠুর গলিত লাভা,
মনে হয় রোজ কেয়ামত এসে গেছে,
মৃত্যূতেও এর শেষ হবে না।
সকলে কপাল চাপড়ায়,
সামনে,পিছনে, ডানে, বামে যাকে পায়
তাকে দোষ দেয়।
ভাবে সেই এনে দিয়েছে এই দুর্দিন,
তাকে ছুড়ে ফেলে দিতে পারলে হয়তো
উন্মত্ত পৃথিবী শান্ত হয়ে আসবে।
লাভার স্রোতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে
সন্ত্রস্ত, উদ্ভ্রান্ত জনতার চিৎকার,
মেষপাল ক্ষিপ্ত হয়ে হায়েনার রূপ ধরে,
মনে হয় রাখালের শরীর ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়া ছাড়া
আর কোন সমাধান নেই।
তখন কিছু মানুষ আকাশের দিকে দুহাত তোলে।
তারা বলে, তোমার জন্যই জীবন,
তোমার জন্যই মৃত্যূ,
তোমার জন্যই ভালোবাসা,
তোমার জন্যই যুদ্ধ,
তোমার কাছ থেকে এসেছি,
তোমার কাছেই ফিরে যাবো।
তাদের চোখের পানি সফেদ দাড়ি বেয়ে বেয়ে
গলিত লাভার উপর ফোটা ফোটা পড়ে,
তাদের নি:শব্দ প্রার্থনার ধ্বনি
মেঘের ছোবল, লাভার স্রোত আর জনতার ধিক্কার ছাড়িয়ে
পৌছে যায় জগৎসমূহের মালিকের কাছে।
কোথা থেকে চলে আসে
বিশ্বাসী তরুণের দল,
কাতারবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে পড়ে
লাভার স্রোতের সামনে,
যেন পবিত্র গ্রন্থে বর্ণিত
সীসাঢালা প্রাচীর।
আস্তে আস্তে অগ্নিগিরি গিলে ফেলে উৎগত লাভা,
জ্বলন্ত অঙ্গারের নদী ঢেকে যায়
কচুরীপানার নীলাভ ফুলে,
মেঘের দল লুকিয়ে নেয় বিদ্যূতের ফনা,
রং বদলে হয়ে যায় কাশ ফুলের মালা
আর তার পিছন দিয়ে উকি মারে
সুবহে সাদিকের সুবর্ণরেখা।
তখন ঢাকা শহরের সবগুলো মসজিদ থেকে
একযোগে ভেসে আসে ফজরের আযান ।
সূত্রঃ http://www.sonarbangladesh.com

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


