সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যেমন অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, তেমনি উত্তরও দিয়েছে অনেক প্রশ্নেরও। নির্বাচনী কর্মকর্তারা যেভাবে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছেন, তাতে ধারণা করা যায়, কাজটি তারা ২৯ ডিসেম্বর্ও করেছিলেন। তখন কাজটির সময় পাহারা দিয়ে রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তাই ক্যামরায় ধরা পড়েনি। তাছাড়া, এই ধরণের কারচুপি যে হতে পারে সে ধারণা অনেক রাজনৈতিক দল, মিডিয়া ও সাধারণ জনগণের ছিল না। শত প্রতিকুলতার মধ্যেও জামায়াত চেয়ারম্যন পদে জয়ী হয়েছে ২২ টি উপজেলায় এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬টিতে। ফলে, সাধারণ ভোটারদের মধ্যে জামায়াতের প্রকৃত জনপ্রিয়তার একটি চিত্র্ও এর থেকে বেরিয়ে এসেছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও ভীতিমুক্ত নির্বাচন হলে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশী হতো। তবে, এই নির্বাচনের ফলাফলে যে বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে, তা হচ্ছে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াতের ১৩ জন নেত্রীর জয়লাভ। এই পদে দলটির ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
মুসলিম বিশ্বে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, ইসলাম ও নারীকে পরস্পরবিরোধী হিসাবে চিত্রিত করা হয়ে থাকে। ইসলামী আন্দোলন নারীকে ঘরে বন্ধ করে রাখতে চায়, তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিতে চাই- এই ধরণের একটি ধারণা বহুল প্রচলিত। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধান ইসলামী দলটির জন্য বিষয়টি একেবারে উল্টো।
এ প্রসঙ্গে নিউ এজ পত্রিকার নন্দিত সম্পাদক জনাব নুরুল কবীরের একটি বক্তব্য মনে পড়ে। তিনি বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসাবে অন্যান্য দলগুলোর চেয়ে অনেক বেশী গনতন্ত্রমনা ও দলের অভ্যন্তরে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। এই দলটির মহিলা শাখা যতবেশী সংগঠিত এবং তাকে যত বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়, ততো গুরুত্ব অন্য দলের মহিলা শাখাগুলো পায় না।
নারীর বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন এবং জনগণের ইসলামপ্রবণ অংশের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনে যে ব্যক্তিটির অবদান সবথেকে বেশী তিনি হলেন শাহ আব্দুল হান্নান। বিষয়টি নিয়ে আরেকদিন গুছিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


