somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আসলে ধমাধম ধর্মের একজন প্রেরিত পুরুষ ছিলেন। এই কারনেই তিনি পরিনত বয়সে জাহেলী যুগের পৌত্তলিকতা ঘৃণা ভরে পরিহার করে একশ্বেরবাদী ধর্ম গ্রহন করেন।

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিখেছেনঃ আদিল মাহমুদ ডিসক্লেমারঃ এই পোষ্ট কেবলমাত্র ক্যাঁচালের জন্য নহে, কেবল মাত্র ধমাধম অনুসারীদের জন্য। ধমাধমে পূর্ন বিশ্বাস বিহীন নরাধমরা এইসব আসমানী কথাবার্তার সঠিক মাজেজা বুঝবে না, নানান রকমের ঠাট্টা তামাশা শুরু করতে পারে। এমনকি আগের বাতিল হয়ে যাওয়া অন্য কোন ধর্ম থেকে কপি পেষ্ট করা হচ্ছে এমন শোরগোলও ওঠানোও বিচিত্র কিছু নয়। তাদের জন্য শুধুই করুনা ও মহেশ্বরের (ধমাধম ঈশ্বর) নিকট তাদের আত্মার মুক্তি কামনা (যদিও বিলক্ষন তাদের কোনই আশা নাই)।


অনেকেই হয়ত জানেন না যে শ্রদ্ধেয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (ধমঃ) আসলে ধমাধম ধর্মের একজন প্রেরিত পুরুষ ছিলেন। এই কারনেই তিনি পরিনত বয়সে জাহেলী যুগের পৌত্তলিকতা ঘৃণা ভরে পরিহার করে একশ্বেরবাদী ব্রাক্ষ্ম্য ধর্ম গ্রহন করেন। এর মোক্ষম প্রমান হিসেবে তার শ্বশ্রুমন্ডিত বদন খানি একবার কল্পনায় আনুন, তাহলেই কথার সত্যতা জলের মতই পরিষ্কার হয়ে যাবে। ইতিহাস বলে যে ;’৭১ সালে খুনে পাক আর্মিদের মত রক্তলোলুপ হায়েনারাও কারো কারো বাড়িতে হত্যার নেশায় প্রবেশ করে দেওয়ালে টাংগানো বুক জোড়া দাঁড়িওয়ালা রবী ঠাকুরের সুন্নী সফেদ চিত্র দেখে শ্রদ্ধাভরে স্যালুট ঠুকে বেরিয়ে গেছে। এসব ঘটনা অলৌকিক ছাড়া আর কি হতে পারে? এ থেকে আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও ধমাধম ধর্ম ও কবিগুরুর অপরিসীম অবাদান প্রমানিত হয়। যাই হোক, প্রেরিত পুরুষ হন আর যাইই হন, ধমাধম এর মূলনীতির ব্যাপারে মহেশ্বর অতি কঠোর; অন্য কোন কোন ধর্মের মত নো প্রেরিত পুরুষ বা বাবাজি মাতাজি স্পেশাল। জীবনের এক পর্যায়ে শয়তানের প্ররোচনায় কবিগুরু পথচ্যূত হয়ে ঘরে বালিকা বধু থাকা সত্ত্বেও তাঁর বউদির প্রেমে মশগুল হয়ে পড়ার মত মহাপাপে লিপ্ত হন। এইসব ইটিশ পিটিশ ধমাধমে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, ফলশ্রুতিতে ধমেশ্বরের এক নির্বাহী আদেশবলে তাঁর প্রেরিত পুরুষ ষ্ট্যাটাস বাতিল হয়ে যায়। তবে প্রেরিত পুরুষ ষ্ট্যাটাস বাতিল হলেও তার মাধ্যমে নাজিল হওয়া নানান সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক...সোজা কথায় পূর্নাংগ জীবনের চাবিকাঠির নির্দেশনাগুলি (যেগুলি সাদা চোখে কেবল গান, কবিতা বলে মনে হয়) বাতিল হয়নি।


পূর্ন ঈমানী আকিদায় প্রেরিত মহাপুরুষ কবিগুরু।


আমাদের দূর্ভাগ্য যে আজ আমরা আমাদের ধমাধমীয় ঈমান আকিদা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি, তাই জাতির আকাশে আজ দূর্যোগের ঘনঘোর অমানিশা। রবীন্দ্র সংগীত কবিতা নিয়ে অনেকেই মাতামাতি করি, তোতা পাখীর মত গেয়ে যাই বা আবৃত্তি করি। রবী ঠাকুরের সাহিত্য আরো গভীরভাবে গবেষনামূলক মনোভাব নিয়ে অধ্যায়ন করলে আজ কোন নরাধমের সাধ্য ছিল আমাদের হেয় করে? জাতিকে আলোর নিশানা দেখাতেই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।


আসলে শুধু বিজ্ঞানের কথা কি বলব? রবী ঠাকুরের রচনাতে আধুনিক যুগের চলার পূর্ন জীবন বিধানই আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। গনতন্ত্রের আধুনিক মডেল আমাদের অতি পরিচিত এক গানের মাধ্যমে উনিই প্রথম জগতকে দিয়ে যান; “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে”। এখানে আধুনিক গনতন্ত্রে সব মানুষের সম অধিকারের ব্যাপারটি অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বর্নিত হয়েছে, মনে রাখতে হবে যে এই গান নাজিলের কালে বিশ্বে গনতন্ত্র শিশু পর্যায়ে। তারপরে ধরেন “রাজার হস্তে করে কাংগালের ধন চুরি” এই বাক্যের মাধ্যমে কি চমতকারভাবে তিনি পূঁজিবাদের কুফল সম্পর্কে কত আগেই জাতিকে সতর্ক করে গেছেন। তখন কোথায় ছিল পূজিবাদী আমেরিকার ধনতন্ত্র? আফসোস, এই সকল গান সকলেই গাই, কিন্তু মর্মার্থ চিন্তা করি কয়জনায়? এ ছাড়া যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রথা নিয়ে নান্দাইলের ইউনুস মিয়ার আজকের দিনে এত লাফালাফি, রবী ঠাকুরের মাধ্যমেই সেই ক্ষুদ্র ঋণ প্রথা প্রথম নাজিল হয়েছিল বলে আমাদের দেশের সংবাদপত্রে কোন এক রবীন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন বলে এক ধমাধম ভাই এর কাছে জানতে পেরেছি। যাক, আমরা আলোচনা আপাতত বিজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ রাখি।


রবী ঠাকুর আজীবনই ছিলেন বিজ্ঞান সাধক। তার গবেষনাকর্ম নিয়ে শেষ বয়সে “বিশ্বপরিচয়” নামক একটি বিজ্ঞান গবেষনামূলক গ্রন্থ রচনা করেন যা পাশ্চ্যতের সব বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় (দয়া করে কেউ চ্যালেঞ্জ দিবেন না, দিলে বিপাকে পড়ে যাব, তখন আসল চেহারা দেখাতে হবে)। ওনার গভীর বিজ্ঞান সাধনার কথা জানতে পেরেই অভিশপ্ত গোত্রভুক্ত ইয়াহুদী বিজ্ঞানী আইনষ্টাইন ওনাকে মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ভালিয়ে ইউরোপে আমন্ত্রন করে নিয়ে যায়। তারপরের করুন ইতিহাস সকলেরই জানা, রবী ঠাকুরের কোয়ান্টাম মেকানিক্স তত্ত্ব সে চুরি করে নিজ নামে চালিয়ে দেয়। জানি, অতীতের বাতিল হওয়া কিছু ধর্মের পেইড এজেন্টদের দৌরাত্মে ও এই জাতীয় হাস্যকত দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে আমার কথায় অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। চৌর্যবৃত্তির সমগ্র বিষয়টি আনন্দ পাবলিশার্স হতে প্রকাশিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিখ্যাত পদার্থবিদ দীপঙ্কর চট্টোপাধায়ের লেখা ‘রবীন্দনাথ ও বিজ্ঞান’ বইতে বিস্তারিত আছে, ইয়ার্কি নহে। যাক, দূঃখের কথা বাদ দিয়ে কিছু উদাহরন দেই।



চির অভিশপ্ত চোট্টা বিজ্ঞানী আইনষ্টাইন


মহাকাশবিদ্যা ও আমাদের শক্তি সমস্যাঃ

কবিগুরু ধমেশ্বরের কৃপায় মহাকাশবিদ্যায় ছিলেন অসাধারন। নিরেট গবেটেও জানে যে তার অসংখ্য কবিতা গানে নানান ভাবে চাঁদ সূর্য পৃথিবী আকাশ বাতাস এসব বারে বারে এসেছে। কিন্তু ক্যান এসেছে? তার অবশ্যই কারন আছে। আজ বিশ্ব ভুগছে এক ভয়াবহ শক্তি সমস্যায়। ইন্টারমেডিয়েটে আমরা ইসহাক নুরুন্নবীর পদার্থবিদ্যা পড়তাম, সেই ঈমানী কিতাবেও সতর্ক করা ছিল যে “এমন একদিন আসিবে যেদিন কাজ করিবার মত কোন শক্তি পাওয়া যাইবে না”। হায়, এই অমোঘ বানী আজ বুঝি ফলে যায়! তবে ধমাধম বিশ্বাসীদের অন্তত চিন্তিত হবার কোন কারন নাই। স্মরন করুন কবিজীর সেই অতি পরিচিত গান, “চাঁদের হাঁসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, উত্থলে পড়ে আলো...”। এই গানে আসলে চাঁদে সঞ্চিত অপরিসীম শক্তির ব্যাপারেই পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে। মানুষ কখন হাঁসে? শক্তি পেলে তবেই না সে হাঁসে। দূর্বল অবস্থায় পাগল ছাড়া বেহুদা কোন ছাগলে হাঁসতে যাবে? এ ছাড়া বাংলা ভাষার আদিমূল সংস্কৃত ভাষার গভীর গ্রামারে গেলে আমরা দেখতে পাই যে হাঁসি আর শক্তি একই ক্রিয়াপদ থেকে উতপত্তি লাভ করেছে। এ ছাড়া আলো যে শক্তির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এটা কে না জানে। শক্তি ছাড়া কি আলোর কথা চিন্তা করা সম্ভব? এবার আধুনিক বিজ্ঞানের দিকে তাকাই। আধুনিক বিজ্ঞান অতি সম্প্রতি আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়েছে যে নয়াযুগের শক্তির এক অবারিত উতস হতে পারে হিলিয়াম থ্রী গ্যাস যার অসীম ভান্ডার আছে চাঁদে! । এই শক্তির উতস অত্যন্ত শক্তিশালী; বর্তমানে অতি এনার্জি এফিশিয়েন্ট হলেও দাম অত্যাধিক, ১ টনের দাম নাকি ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে ধমাধম নির্দেশিত কবিগুরুর গানের কল্যানে আমরা ১০০ বছর আগেই শক্তির এই অনন্য উতসের কথা সন্দেহাতীতভাবেই জানতে পেরেছি। আর এই গ্যাসের আরেক সুবিধে হল যে এর কোন রেডিয়েশন জনিত ভয় নেই। তাই না কবিগুরু আবারো বলে গেছেন, “ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধসূধা ঢালো”। এই লাইনের মাধ্যমে হিলিয়াম থ্রী যে অতি পরিবেশ বান্ধব এই সত্যই বর্নিত হয়েছে।


ধমাধম নির্দেশিত উপায় চুরি করে চাঁদ থেকে হিলিয়াম থ্রী পাচার করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।


আফসোস, আমরা হাতে উচ্চ নম্বরের সিঁড়ি পেয়েও ব্যাবহার করতে পারলাম না, আর এইদিকে কাফের নাছারা ইয়াহুদীগন আমাদের আবিষ্কার চুরি করে এখন চাঁদে হানা দিয়ে আমাদের শক্তি লুটে নেবার কুটিল পাঁয়তারা করছে। তারা নাকি চাঁদের দেশে জমি বিক্রিও শুরু করেছে।

এ ছাড়াও শিশুদের মুখে মুখে প্রচলিত “জল পড়ে পাতা নড়ে” এই ছড়ার মাধ্যমে আসলে হাইড্রো পাওয়ার বা জলবিদ্যুতের কথাই বলা হয়েছে। আধুনিক জলবিদ্যুত প্রকল্প এর পর থেকেই শুরু হয়।


মহাকাশের আগন্তুকের সাথে কবিগুরুর মোলাকাতঃ

কবিগুরু মহাকাশ সম্বন্ধীয় গবেষনার এক পর্যায়ে ভীনগ্রহবাসী এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগে সমর্থ হন। অবশ্য তারা ভীনগ্রহবাসী এলিয়েন কিনা তা নিয়ে আধুনিক ধমাধম আলেমদের মাঝে কিছুটা মতপার্থক্য আছে। যেমন এরিক ভন দানিকেনের মত কিছু বিখ্যাত আলেম মনে করেন যে রবী ঠাকুর বর্নিত এলিয়েনরা আসলে নিজেরাই গড ধমেশ্বর কিংবা তার প্রতিনিধি (অন্য গ্রন্থে বর্নিত এঞ্জেল বা ফেরেশতা বা দেবদূত/অসূর এসব)। যাক, আবার আলোচিত ধমাধমীয় আয়াতের দিকে তাকাই।

আমি চিনি গো চিনি তোমারে ওগো বিদেশিনী।
তুমি থাক সিন্ধুপারে ওগো বিদেশিনী॥

এখানে বিদেশিনী বলতে ভীনগ্রহবাসীদের কথাই বলা হয়েছে। সিন্ধুপার মানে যে আসলে মহাকাশের ওপার তা আশা করি আমাকেও ব্যাখ্যা করতে হবে না।


তোমায় দেখেছি শারদপ্রাতে, তোমায় দেখেছি মাধবী রাতে,
তোমায় দেখেছি হৃদি-মাঝারে ওগো বিদেশিনী।

এখানে কবিগুরু যে তাদের সাথে দিন রাত সব সময়ই যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন তা বলা হয়েছে।

আমি আকাশে পাতিয়া কান শুনেছি শুনেছি তোমারি গান,
আমি তোমারে সঁপেছি প্রাণ ওগো বিদেশিনী।

এই লাইন দুটি অতি গুরুত্বপূর্ন। এতে নিশ্চিতভাবেই প্রমান হয় যে রবী ঠাকুর আকাশে কান পেতে, মানে ওয়ার্লেস জাতীয় কোন যন্ত্রের মাধ্যমে ভীনগ্রহবাসীদের গান শুনেছেন অর্থাৎ তাদের সাথে খোশগল্প করেছেন। এরপরে আর কোনই সন্দেহ থাকার কথা নয়।

ভুবন ভ্রমিয়া শেষে আমি এসেছি নূতন দেশে,
আমি অতিথি তোমারি দ্বারে ওগো বিদেশিনী॥

এই লাইন দ্বয়ের মাধ্যমে এইই নিশ্চিত ভাবে প্রমান হয় যে কবিগুরু শুধু যোগাযোগ স্থাপনই নয়, সশরীরে নিজেও ভীনগ্রহবাসীদের আমন্ত্রনে অতিথি হয়ে তাদের দেশে পরিভ্রমন করে এসেছিলেন। এমন উদাহরন অবশ্য অতীতেরও কোন কোন প্রাচীন লোকগাঁথা বা ধর্মগ্রন্থে অবশ্য পাওয়া যায়। হতে পারে নুতন দেশ মানে ভীনগ্রহ নয়, হয়ত বেহেশতের কথাই বলা হয়েছে, আর বিদেশিনী মানে মহান মহেশ্বর। তবে মহেশ্বর স্ত্রীলিংগের কিভাবে হতে পারেন তা নিয়ে আরো দীর্ঘ গবেষনার প্রয়োযন আছে। ভাবতেও অবাক লাগে যে চাঁদে মানুষ নামার ৭৫ বছর আগে সেই ১৮৯৫ সালেই কবিগুরু কিভাবে বিজ্ঞানের কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ছাড়াই এতটা অগ্রসর হতে পারলেন! মানুষ চাঁদে নামলেও এখনও মহাকাশের কোন এলিয়েনের স্বাক্ষাত পায়নি, যোগাযোগ তো বহু পরের কথা। ধমেশ্বরের অলৌকিক মাজেজা ছাড়া এটা কিছুতেই সম্ভব হত না।

তার মহাকাশ যাত্রার আরো নিশ্চিত প্রমান পাওয়া যায় তার জবানীতেই "অনেক কালের যাত্রা আমার" কবিতায়ঃ


অনেক কালের যাত্রা আমার
অনেক দূরের পথে,
প্রথম বাহির হয়েছিলেম
প্রথম-আলোর রথে |
গ্রহে তারায় বেঁকে বেঁকে
পথের চিহ্ন এলেম এঁকে
কত যে লোক-লোকান্তরের
অরণ্যে পর্বতে |

এরপরে নরাধম বা সংশয়বাদীদের কি বলার থাকতে পারে?


রবীন্দ্র জীবনে সংখ্যাতাত্ত্বিক মিরাকলঃ

কবিগুরুর জন্ম ৭ই মে, ১৮৬১, মৃত্যু ৭ ই আগষ্ট, ১৯৪১। ধমেশ্বরের কি অদ্ভূত মাজেজা। জন্ম মৃত্যু দুটিই মাসের সপ্তম দিবসে, যা সব ধর্ম/কালচারেই শুভ সংখ্যা বলে বিবেচিত। প্রেরিত পুরুষ না হলে এমন হওয়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না। গীতাঞ্জলী গ্রন্থের জন্য তিনি নোবেল জয় করেন ১৯১৩ সালে। এবার ১৯১৩ এর সংখ্যাগুলি যোগ করুন, যোগফল ১৪! যা ৭ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য! ভাগফল হল ২, তারও মাজেজা আছে। কারন আমাদের প্রানী জগতের সকল প্রানীকেই ধমেশ্বর জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। এরপরে আর সন্দেহ সংশয় কিছু থাকে? শুধু তার জীবনেই নয়, তার রচিত যে কোন কবিতা, গান, ছোট গল্প, উপন্যাসের অক্ষর সংখ্যা গুনে তার সাথে ৭৭৭৭৭৭৭ যোগ দিন, যোগফল থেকে ৭৭৭৭৭৭৭ বিয়োগ দিন, ফলাফলকে ৭৭৭ দ্বারা ভাগ করুন। এবার ভাগফলকে ০ দিয়ে পূরন করুন। দেখবেন প্রতিবারই ফলাফল শূন্যই পাওয়া যাচ্ছে। কারো বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। অতীতে বহু অবিশ্বাসী নরাধম আমার কথায় ঈমান না এনে এই পরীক্ষা করতে গিয়ে লজ্জিত হয়ে ধমাধম ধর্ম গ্রহন করেছে।


রবীন্দ্র সাহিত্যে আধুনিক আইটি বিদ্যা ও কম্পিউটর সিকিউরিটিঃ

আজকের দিনে আইটির যে প্রবল উত্থান আমরা দেখতে পাই, তাও রবী ঠাকুরেরই অবদান। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে আইটির কল্যানে মাশাল্লাহ মান্ধাতার আমলের সেই তালাচাবি সহসাই অচল হয়ে যাবে। এই তত্ত্বও আসলে রবী ঠাকুরেরই রচনা থেকে যথারীতি মারিং করা হয়েছে। লক্ষ্য করুন তার সেই অতি পরিচিত গানঃ “ভেংগে মোর ঘরের চাবি নিয়ে যাবি কে আমারে...” । আজকাল ঘরে ঘরেই কম্পিউটর আছে। সে কথাই ঘর শব্দের মাধ্যমে ভবিষ্যতবানী করা হয়েছে। এই গানে ঘরের চাবি শব্দটি আসলে রূপক। ঘরের চাবির মাধ্যমে কম্প্যুটার পাসওয়ার্ডের কথাই বলা হয়েছে। সিকিউরিটি কোড ভাংগতে লাগে পাসওয়ার্ড, সে কথাই ধমাধমীয় আয়াতে রূপকের মাধ্যমে বলা হয়েছে। শোয়াশ বছর আগে কোন মহাবিজ্ঞানী ভাবতে পেরেছিল কম্পিউটর, পাসওয়ার্ড এইসব আধুনিক বিজ্ঞানের অতি সাম্প্রতিক আবিষ্কার?


বলাই বাহুল্য, এতসব মোক্ষম তথ্য প্রমান পেশ করার পরেও যাদের ব্রেনে আইকা আঠা দ্বারা সীল গালা মারা হয়েছে তারা কিছুতেই ঈমান আনবে না। চোখ বন্ধ করে বলতে পারি যে দুই পাতা বিজ্ঞান পড়ে বিজ্ঞানের ঠিকাদারীর দাবীদার ভূয়া নাস্তিক পুরোহিত হোরাস, সাক্ষাত শয়তানের চ্যালা (চেহারাই তার প্রমান) জংগীদেব, স্বঘোষিত পদার্থবিজ্ঞানী বলে দাবীদার চড়ুইমদন; তাদের আরেক শীষ্য মুক্তমনা ধর্মের প্রধান পুরোহিত গণ ধিকৃত অভিজিতের চ্যালা বাতিল মাহমুদ এরা দাঁত বের করে খ্যা খ্যা হাসছে। এদের হাঁসতে দিন। এক সময় এদের অন্ততকাল বেগুনপোড়া হবার দৃশ্য উপভোগ করে আমরা আরো জোরে হাঁসব। এদের ধমেশ্বরই সীল গালা মেরে অন্ধ কালা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী করে দিয়েছেন, আবার তিনি নিজেই তার নিজের পাপেই এদের অন্ততকাল ভোগাবেন। এদের হাসি মশকরায় থেমে গেলে চলবে না। এরা আমাদের ইয়েও ছিড়তে পারবে না, যুগে যুগেই সে অপচেষ্টা এরা করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সময় পেলে ধমাধমে বিজ্ঞানের আরো অকাট্য তথ্য প্রমান হাজির করা হবে। আপনারাও নিশ্চয়ই এরপর নিজেরাও আরো অনেক মাজেজা একইভাবে বার করতে পারবেন। বিজ্ঞানের দিনে দিনে আরো উন্নতি হবে, সাথে সাথেও নিয়মানুযায়ী আমরাও সেগুলি কপি পেষ্ট করে ধমাধমের নিত্য নুতন নুতন মাজেজা এভাবেই বার করে ফেলব।
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×