
#স্পয়লার_এলার্ট
দুলকার সালমানের সাথে প্রথম পরিচয় আমার এই সিনেমাতেই...
মুভিতে চার্লিকে দেখে আপনার যে চরিত্রটা প্রথমে মাথায় আসবে, তা নিঃসন্দেহে হুমায়ূন স্যারের বিখ্যাত উপন্যাস 'হিমু' চরিত্রটার কথা...
এই সিনেমা আপনার অশান্ত মন শান্ত করে দেবে...
আপনি যদি 'হিমু' না পড়েও থাকেন, তাহলেও কোন সমস্যা নেই। এতে আরও ভালোই হবে আপনার জন্য...
না আছে তেমন কোন মারামারি, না আছে জটিল কিছু বাক্য...
পুরো মুভিতে চার্লির কথা বলার ভঙ্গি, তার বাউন্ডুলে জীবন, মানুষকে সাহায্য করা এগুলো দেখে দেখেই উপভোগ করে যাবেন...
বিজিএম আর মুভির লোকেশন সবকিছুতেই আপনি মুগ্ধ হবেন...
গল্পের শুরুটা হয় তেসাকে দিয়েই...
তেসা ভ্রমণবিলাসী মেয়ে। ঘুরতে বেশি পছন্দ করে...
তার পরিবার জোর করে বিয়ে দিতে চাইলে, সে বাড়ি থেকে পালিয়ে তার বান্ধবীর বাসায় চলে যায়...
পরবর্তীতে নিজের ডকুমেন্টারি এবং একান্ত নিজের মত করে সময় কাটানোর জন্য একটি ভাড়া বাসা নেয়...
বাসাটা ছিলো পুরো অগোছালো, অপরিষ্কার আর অদ্ভুত অদ্ভূত সব জিনিসে ভরা...
ঘর গোছানোর সময় তেসা একটা অসম্পূর্ণ স্কেচবুক দেখতে পায়, যেখানে চার্লি এঁকে রেখেছিলো গত বছরের নিউ ইয়ারের রাতে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত কাহিনী...
সেই কাহিনীটা তেসার এতই ভালো লেগেছিলো যে, স্কেচবুকের শেষে কী হয়েছিলো তা জানার জন্য পুরো পাগল হয়ে যায়...
স্কেচবুকের বাকি অংশ বাসায় তন্য তন্য খুঁজেও যখন পেলো না, শেষে স্কেচবুকের শেষের গল্প জানার জন্য চার্লিকে পাগলের মত খুঁজতে থাকে...
চার্লিকে তো সে খুঁজেই পায় না, কিন্তু স্কেচবুকে আঁকা চার্লির পরিচিত মানুষদের দেখা পায় সে...
তাদের একেকজনের মুখে চার্লির সম্পর্কে শুনতে শুনতে তেসার চার্লিকে ভালো লাগতে শুরু করে...
একবারের জন্যও দেখা না হওয়া, কথা না হওয়া চার্লিকে নিয়ে তেসা মনে মনে অনেক কিছুই কল্পনা করতে থাকে...
সে অনেক বেশিই পছন্দ করে ফেলে চার্লিকে...
তাইতো তেসা পাগলের মত চার্লিকে খুঁজতে থাকে...
শেষের টুইস্টটা দারুণ ছিলো...
আমি বহু বছর আগে দেখেছিলাম মালায়ালাম ভাষায়। একটু আগে দেখলাম, ইউটিউবে এই মুভির হিন্দী ডাবিং বের হয়েছে। তাই আবার দেখে ফেললাম...
সময় উপভোগ্য সিনেমা। চাইলে দেখতে পারেন। ভালো সময় কাটবে...
ছবিঃ গুগল থেকে
নয়ন বড়ুয়া
জানুয়ারি, ২০২৪
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




