স্থানীয় খ্রীস্টান স্লাভরা তুচ্ছার্থে পোমাকদের আহরিজানিও বলে থাকে। এর কারণ মুসলিম বিদ্বেষ। বিশেষ করে অটোমান তুর্কিদের শাসনামলে এরা ধর্মান্তরিত হয়। বুলগেরিয়া এক সময় তুর্কি শাসনাধীনে ছিল। পোমাকদের আদিবাসভূমি বুলগেরিয়ায় সংখ্যা 200,000 হলেও তুরস্কেই বর্তমানে এদের সংখ্যা বেশি। প্রায় তিন লাখ। জার শাসন ও কমিউনিস্ট নিযর্াতন থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে এসেছিল। বুলগেরিয়ায় এদের সংখ্যা আনুমানিক আড়াই লাখের মত। এছাড়া গ্রীসে 36,000 মেসিডোনিয়া 40,000 আলবেনিয়ায় 120,000 এবং রুমানিয়াতেও পোমাকরা বসবাস করে। ইসলাম গ্রহণের পর থেকে এরা পোমাক নামে পরিচিত হয়ে উঠে। পরে রাশিয়ার জারের সেনাবহিনী তুর্কিদের পরাজিত করে বুলগেরিয়া দখল করলে মুসলমানদের উপর আত্যাচার অবিচার শুরু হয়। জোর করে মুসলমানদের খ্রীস্টান ধর্মে পূনঃদীতি করার প্রক্রিয়া চালু হয়। যারা অস্বীকার করে তাদের মেরে ফেলা হয়।। এমন নজিরও রয়েছে অসহায় হিজাব পরিহিত পোমাক নারী জরুরী কাজে বাসে উঠতে না পেরে 40 মাইলও হেটে গোছে! বর্তমানে পোমাকদের ইসলামি নাম গ্রহণের অনুমতি থাকলেও তার জন্য দরখাস্ত ও লাল ফিতার যে দৈরাত্ম তাতে অনেকে ইচ্ছে থাকলেও মুসলিম নামে পরিচিত হতে চাননা। শিা দীা আর চাকুরির েেত্রও তারা চরম বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার। বুলগেরিয়ায় সবচেয়ে কম বেতন দেয়া হয় পোমাকদের। এখনো পোমাকরা বুলগেরিয়ায় দ্বিতয় শ্রেণীর নাগরিক।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



