somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেখক যা যা পেলেন অথবা লেখক যা যা পাবেন

২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তাই বলে ছেলেটা হুট করে লেখালেখি শুরু করে দিল? কি জানি, হয়তো ভেতরে ভেতরে একরকম প্রস্তুতি চলেছে বহুদিন ধরে। তা লিখবেই বা না কেন? ওমন আধপাগলা ছেলে; ওর তো লেখক হবারই কথা। জীবনের কাদাপানিতে লাফঝাঁপ দেওয়ার বদলে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা যার স্বভাব; তার তো লেখক হওয়া ছাড়া আর কোনো গতি নেই।

আচ্ছা, তোমার মনে আছে, ছোটবেলা থেকেই তো দেখে আসছি ছেলেটা যেকোনো একটা বই পেলেই ওমনি ঘাড় গুঁজে পড়া শুরু করে দিত। কেমন যেন চুপচাপ। নিরস। আবার কথাবার্তায়ও খুব একটা পটু না। হাঁদারামের মতো সারাদিন মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। তুমি আর যাই বলো, অকর্মণ্য লেখক হওয়া ছাড়া ও যে আর কিছু হতে পারতো আমার কোনোদিনও তা মনে হয়নি।

নাহ, তবু ভাবতেই কেমন যেন গা গুলিয়ে আসছে। শেষমেষ লেখক! শুনেছো, আমার বন্ধু নকিব হায়দার, আরে ওই যে সেবার ঈদে সপরিবারে আমাদের বাড়িতে এলো, তার মেয়েটা কি না এরই মধ্যে ডাক্তারি পাশ করেছে। অতো দূরেই বা কেন যাচ্ছি; তোমার বোনের ছেলে আমাদের রিশাদের কথাই ধরো, সেও কিনা মাস দুয়েক পর একেবারে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরোবে। আর তোমার ছেলেটা কিনা লেখক। আরে বাবা, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না হতে পারিস এ্যাটলিস্ট ব্যাংকার হয়ে দেখা। তাও তো সমাজে মাথাটা বাঁচে। নাহ, শেষমেষ লেখক। ছিঃ

তোমার দোষেই তো ছেলেটার আজ এই দশা। সারাদিন অফিস নিয়ে ব্যস্ত থাকো। আমি একা মা হয়ে আর কতটুকু সামলাবো? বাবা হিসেবে নিজের কোন দায়িত্বটা পালন করেছো শুনি? ছেলেটাকে কোনদিনও একটু শাসন করতে পারলে না? সেদিন পাশের বাসার শিউলির মা আমাকে এসে কি বলল জানো? বলল, ভাবি, শুনলাম আপনাদের ছেলেটা নাকি লেখালেখি শুরু করেছে। তা ছেলেটাকে শেষমেষ লেখক বানিয়ে ফেললেন। ভবিষ্যতের কথাটা একবার চিন্তা করলেন না? - কি রকম লাগে বলো? লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল। সোসাইটিতে আর মান সম্মান বলে কিছু থাকলো না। ওকেও তো কিছু বলার উপায় নেই। কোনো উত্তর দেয় কথার? হাঁদারামের মতো শুধু মুখ বুজে শুনে মুচকি হেসে চলে যায়। রাগে গা রি রি করে জ্বলে তখন।

ইশ, আমার কপালে যে এই ছিলো - কে জানতো? কতো আশা ছিলো একটা মাত্র ছেলে নিশ্চয়ই বড়ো কিছু হবে। ওর পেছনে টাকা-পয়সা ব্যয় করতেও কোনোদিন তো কমতি করিনি। আর আজ কিনা তার এই ফল? লেখক? অফিসে মুখ দেখানোই দায় হয়ে পড়েছে। যারা আমাকে দেখে এতোদিন সবাই সমীহ করতো; তারাই এখন কেমন তাচ্ছিল্যের চোখে তাকায়। ছেলেটা এভাবে নিজের ভবিষ্যতটা শেষ করলো আর সেই সাথে আমার মুখেও দিলো চুনকালি। উফ।






শিউলির মা শুনছো?

হ্যাঁ, বলো।

আরে, শোনোই না। পাশের বাসার আব্বাস ভাইয়ের ছেলেটার নাকি বই বেরিয়েছে। এইবার হলো তো। ছেলেকে অমুক বানাবো তমুক বানাবো। এখন? বড়ো বড়ো লেকচার সব গেল কোথায়? আগেই জানতাম এমনই হবে। খেয়াল করে দেখনি, কেমন পাগল পাগল স্বভাব ছেলেটার। সারাদিন হাতে বই নিয়ে ওই লেকের পাড়ে গাছতলায় বসে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো। কতো রকম পাগল যে আছে দুনিয়ায়। আরে, তোর বাবা এতো বড়ো একটা সরকারি চাকরী করে আর তুই কিনা হতে গেলি লেখক? বাবার মুখের দিকে একবার তাকালি না? অকৃজ্ঞ ছেলে কোথাকার।

একদিক দিয়ে কিন্তু ভালোই হয়েছে শিউলির বাবা। ওরা আর আমাদের মুখের উপর চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলতে পারবে না। এতোদিনে মুখ বন্ধ হলো তো।

তা যা বলেছ। কথা বলার মুখ থাকলে তো বলবে। তুমি কিন্তু আমাদের শিউলির উপর নজর রেখো। ওদের ছেলেটার সাথে যেন আবার বেশি কথাবার্তা না বলে। কবি, সাহিত্যিক, লেখক এদের তো কোনো ভরসা নেই। কখন যে কি ঘটিয়ে ফেলে বোঝা মুশকিল।

ত্রিশ বছর ধরে সংসার করছি। এইসব কথা আর আমাকে শেখাতে হবে না। আমি অনেক আগেই শিউলিকে বলে রেখেছি, আব্বাস ভাইয়ের ছেলেটার ছায়াও যেন না মাড়ায়।

যাক, বাঁচালে।






চিশতী দ্যাখ দ্যাখ...

কি?

আরে ওই দেখ, হাঁদারামটা আসছে।

হা হা হা। হাঁদারাম নাম দিয়েছিস নাকি ওর?

তা নয়তো কি? কেমন ঠাণ্ডা আর চুপচাপ। সেদিন পার্টিতেও কোনো শব্দ করলো না। একেবারে কোণার একটা ডেস্কে বসে চুপ করে থাকলো। হাঁদারাম ছাড়া আর কী বলা যায় ওকে।

তা ভালোই বলেছিস। পুরো ভার্সিটি লাইফে কোনোদিন শালাকে কোনো কাজে লাগাতে পারলাম না। আস্তো রাবিশ। এখন শুনছি ও নাকি কবিতা, গল্প এইসব লিখে বেড়ায়।

তাহলেই হয়েছে। এইসব ছাড়া প্রোডাক্টিভ কিছু করার ক্ষমতা থাকলে তো করবে। সেদিন রুশনীর সাথে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি এক মুচির পাশে বসে তার সাথে গল্প করছে। জাস্ট একবার ভাব, কি রকম পার্সোনালিটিলেস একটা ছেলে? ওর জন্য এইসব গল্প কবিতাই ঠিক আছে। তা কি নিয়ে লিখছে? রাস্তার মুচি-মেথরদের নিয়ে?

কে জানে ছাই-ভস্ম। তবে লেখক যখন হয়েছে তখন আর সর্বনাশের বাকি নেই। মদ-গাঁজা-মেয়েমানুষ এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার।

কেন কেন? এগুলোর সাথে লেখালেখির কি সম্পর্ক?

আরে দেখিস না। কবি সাহিত্যিকদের কাজই তো ওই। মদ, গাঁজা খাবে আর দিনরাত মেয়েমানুষের শরীর নিয়ে কলম চালাবে। নয়তো কোথায় কোন ক্ষেতমজুর কিংবা কামার-কুমোর-মুচিদের নিয়ে দিনকতক অহেতুক লাফালাফি। যত্তোসব ডার্টি ম্যাটার। যাকগে, ওদের থেকে যতো দূরে থাকা যায় ততোই ভালো।

ঠিক বলেছিস। আকাশ-বাতাস-পশুপাখি নিয়ে এতো আদিখ্যেতা করার কি আছে বুঝি না। এইসব লেখক প্রজাতির লোকজনরা ক্লাস, সোসাইটি, কালচার বোঝে না। ওর বাবা-মা’র জন্য দুঃখই হচ্ছে। ছেলেটা কি না শেষমেষ লেখক হয়ে গেল। ফ্যামিলি স্ট্যাটাসটা কোথায় নামলো একবার চিন্তা কর?

যাকগে। মরুকগে যাক। ফরগেট ইট। তার চেয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় চল। পেটটা চড়চড় করছে।

আচ্ছা, তাই বরং চল।






স্যার, আপনি তো অনেক বড়ো লেখক। আমার পাণ্ডুলিপিটা একটু পড়ে দেখবেন? বেশি না কয়েক লাইনের একটা মন্তব্য যদি দেন তো নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারতাম। বেশি সময় নষ্ট করবো না আপনার। আমি তো জানি, আপনি কতো ব্যস্ত মানুষ।

(পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি। এসেছেন গল্প লিখতে। কেন আর কোনো কাজ পেলি না করার মতো?) আচ্ছা, ঠিক আছে। আপনি বইটা রেখে যান। আমি একসময় পড়ে নেব। আপনার মতো তরুণরা যে লিখছেন এটা জেনে তো ভীষণ ভালো লাগছে। আমরা আর কতোদিন। একদিন আপনাদেরকেই তো আমাদের জায়গাটা নিতে হবে। তা এর আগে কোনো বই বেরিয়েছে?

জী, না স্যার। এটাই হবে আমার প্রথম বই। তাই ভাবলাম, আপনি যদি একটু সমালোচনা করে দেন। অনেক উপকার হতো, স্যার। ভুল গুলো শুধরে নিতে পারতাম।

(সমালোচনা চাইতে এসেছে বেটা গর্দভ। তোকে যে কে অফিসে ঢুকতে দিয়েছে! নিজের লেখার চাপেই কুলিয়ে উঠতে পারছি না আর উনি এসেছেন উনার গল্প পড়াতে, রাবিশ) হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার সমালোচনা আপনার কোনো উপকারে আসলে আমি নিজেই আনন্দিত হবো। আচ্ছা, আমি আপনাকে জানাবো। আজ তাহলে আসুন।

জী, স্যার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এতোটা সময় দেওয়ার জন্যে। ভালো থাকবেন স্যার।





আরে, আরে, আমাদের লেখক সাহেব নাকি? এই ভর দুপুরবেলা কোত্থেকে? কতদিন পর! আয় ওঠ, ওঠ গাড়িতে ওঠ।

না ঠিক আছে। তুই যা, আমি হেঁটেই যেতে পারবো।

আরে ওঠ ওঠ। এ মাসেই গাড়িটা কিনলাম। এক্কেবারে ব্যান্ড নিউ মডেল। এবার অনেক টাকা শেয়ারে খাটিয়েছিলাম । ব্যাস, লেগে গেলো। কিনে ফেললাম গাড়ি। তোর ভাবি অবশ্য আরেকটা ফ্লাট কেনার কথা বলছে। ভাবছি, টেক্সটাইলের ব্যবসাটা আরেকটু গুছিয়ে উঠলেই ওর ইচ্ছেটা পূরণ করে দেবো। ঘর ঠাণ্ডা তো সব ঠাণ্ডা, বুঝলি। তা তোর কি খবর বল? হাতে ওটা কি? বই নাকি?

হ্যাঁ। পত্রিকা অফিসে গিয়েছিলাম। এইতো একজন লেখকের কাছ থেকে আসলাম। এখন বাসায় যাবো। তোর বাবা-মা ভালো আছেন?

বই? তা লেখালিখিটাকে একেবারে পেশা বানিয়ে নিয়েছিস নাকি? এটা কিন্তু ভালো কথা নয়। ক্যারিয়ার নিয়ে না ভেবে এইসব হাবিজাবি লিখে আর কদ্দিন? আমি তো বলি আগে ক্যারিয়ার তারপর লেখালিখি, বুঝলি? জানিস, আমার অফিসের এমপ্লয়িরাও না খুব করে ধরেছে। বলে, স্যার আপনি যা চমৎকার চমৎকার স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে, তাতে করে আপনার একটা বই বের হওয়া উচিত। বোঝ অবস্থা। ভাবছি, ওদের ইচ্ছেটা এবার বইমেলায় পূরণ করেই দেব। তা তোর দিনকাল চলছে কেমন? আরে, ওঠ গাড়িতে ওঠ। বাসায় চল। কথা বলি।

থাক, দোস্ত আজ না। অন্য কোনোদিন হবে। আজ যাই রে।

আচ্ছা, শোন। পারলে একদিন সময় করে পার্টি অফিসে আয়। সেদিন সঞ্জীব দা বলছিলো তোর কথা। পার্টির হয়ে কিছু লেখা যদি লিখতিস তো আমাদের খুব উপকারে আসতো রে। জানিসই তো, একটু দুঃসময় চলছে এখন। টাকা পয়সার ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই। সঞ্জীব দা বলেছে পার্টির হয়ে কাজ করলে তোকে আর টাকা-পয়সা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, বুঝলি? আসিস একদিন।

আচ্ছা, দেখি। আজ যাই দোস্ত। ভালো থাকিস।





বই বের করতে চান? সেতো খুব ভালো কথা। তা কিসের বই? পাণ্ডুলিপি এনেছেন সাথে। দেখি। এর আগে বই বেরিয়েছে?

বেরোয়নি? তাহলে তো মশাই আপনার বই ছাপা আর ট্রেনের নিচে গলা দেওয়া একই কথা। না, না, তাই বলে অতোটা বিচলিত হবেন না। আপনাদের মতো তরুণ লেখদের জন্যই তো আমরা। আমরা প্রকাশকরা যদি আপনাদের ফিরিয়ে দেই তাহলে কিভাবে হবে বলুনতো?

হ্যাঁ হ্যাঁ। মোটেই ভাববেন না। বই আপনার বেরোবেই। আর আপনারা না লিখলে লিখবে কে? আপনারাইতো নতুন প্রজন্ম। কিন্তু মশাই, জানেনই তো বাজার খারাপ। এখন কি আর কেউ বই পড়ে? গল্প কবিতায় এখন আর তেমন কারো আগ্রহ নেই। এখন তো ফেসবুকের যুগ। আপনার এতো মোটা দুটো বই বের করলে কে যে পড়বে! তার উপর আবার নতুন লেখক।

কোনো রসালো গল্প বা কবিতাও তো দেখছি না। বোঝেনই তো এখনকার পাঠকদের চাহিদা। স্যাটেলাইটের রঙিন যুগ এখন মশাই। শিলা, চিকনী-চামেলি আর বেবীডলে বাজার গরম। উত্তম-সুচিত্রার সাদাকালো এখন চলবে কেন বলুন?

না, না, তাই বলে নিরাশ হবার কোনো দরকার নেই। আমি তো আছি। আমার কাজই তো বই প্রকাশ করা। কিন্তু আপনি তো একেবারে আনকোরা লেখক। জানেনই তো এখনকার নামকরা লেখকরাও রয়্যালিটি ঠিকমতো পান না। আরে পাবেন কি করে; বই তো এখন খুব একটা বিক্রিই হয় না। আমরা যে খেয়েপরে বেঁচে আছি; সেও এক ইতিহাস।

এই দেখুন অমনি দুশ্চিন্তা করতে শুরু করলেন তো? না, মশাই। তাই বলে কি লেখালেখি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলুন। বই আপনার প্রকাশ হবেই। গল্প, কবিতা দুটোই হবে। রয়্যালিটির ব্যাপারটা তো খুলেই বললাম। আর দুটো বই হিসেবে বেশি না ‘কিছু’ যদি আপনি যোগাড় করতে পারেন, তো বই আমি অবশ্যই ছাপাবো।

কেন ছাপাবো না বলুন। তরুণরাই তো দেশের প্রাণ। আরে আপনারাই তো একদিন ঘুরিয়ে দেবেন সমাজের চাকা। এই যে চারপাশে এতো অন্যায় অবিচার। এতো বৈষম্য। নিপীড়ন। আপনাদের কলমের মাধ্যমেই তো সমাজ তা জানবে। একদম ভাববেন না মশাই। আমি তো আছি। আপনি একেবারে ঠিক যায়গাতেই চলে এসেছেন।

ও রে কই রে, নরেশ। মশাই এতোক্ষণ ধরে বসে আছেন, তাকে চা-বিস্কিট দাও। দু’দুটো বই প্রকাশ হবে উনার, বুঝলে। মস্তো লেখক হবেন একদিন। তাড়াতাড়ি একটু খাতির যত্ন করো।





ভাইয়া তুই কেন লেখক হতে গেলি বলতো? কি দরকার ছিলো এইসব বই-টই প্রকাশ করার। গতমাসে কতগুলো টাকা নিয়ে গেলি। বই ছাপাবি জানলে আমি দিতামই না। সেদিন পাশের বাড়ির মেয়েটা কি বললো জানিস, বলল তুই নাকি ঠিক মতো কথাই বলতে পারিস না। তোর বই আবার কে পড়বে? এসব শুনলে কেমন লাগে বল?

কি রে আবার মুচকি মুচকি হাসছিস কেন? আচ্ছা, আর কিচ্ছু বলবো না। তোর যা খুশি কর। ছাই ভস্ম লেখ আর তা প্রকাশ কর।

কিন্তু তোর কি ভবিষ্যৎ নিয়ে একদম ভাবনা হয় না। লেখক জানলে কি কেউ সহজে তোর কাছে মেয়ে বিয়ে দেবে? লেখকের জীবন কোনো জীবন হলো। দেখবি জীবনে তোর কিছুই হবে না। কিছুই পাবি না তুই। না টাকা-পয়সা। না মান-সম্মান। এই আমি বলে রাখলাম। শুধু শুধু কেন যে লিখিস বলতো? এই যে দুটো বই লিখলি কি পেলি? উলটো কতো দৌড়ঝাঁপ করলি এই ক’মাস।

আবার হাসছিস ভাইয়া। নাহ, তোকে নিয়ে আর পারি না। আমাদের কষ্টটা তুই কোনোদিনও বুঝবি না। থাক তুই তোর মতো।





-হ্যালো, কে বলছেন?

... আমি পিরোজপুর থেকে বলছিলাম।

- জি, বলুন।

... আপনার লেখা গল্পের বইটা পড়লাম আজ। একদম মন ছুঁয়ে গেছে। অসাধারণ। আমি আসলে আপনাকে বোঝাতে পারছি না যে বইটা আমার কতোটা ভালো লেগেছে। জীবনের অলিগলি নিয়ে এভাবেও লেখা যায়। আপনি সত্যিই দারুণ লেখেন।

- তাই! অনেক ধন্যবাদ।




(২২/০৬/২০১৪)
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৩:৩৩
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×