somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুখবন্ধ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কানাই দবনোথরে
গল্পসমগ্র

মুখবন্ধ

মঘেে মঘেে কখন যে এত বলো হয়ে গল,ে তা একবোরইে খয়োল করনিি এতদন।ি আমার মনে হয় অনকে মানুষই সময় নয়েি বড় একটা ভাবনা-চন্তাি করে না। দনি আস-ে দনি যায়, রুটনি মাফকি কংবিা অভ্যাসবশে যে যার দনন্দৈনি কাজ করে চল।ে আর এ ভাবইে শশবৈ পাড় হয়ে কশোৈর বয়সে পৌঁঁছ,ে কশোৈর থকেে যৌবন,ে যৌবন থকেে মধ্য বয়সে আর তারপর ধীরে ধীরের্ বাধ্যকরে র্পযায়।ে মধ্য বয়সে পৗঁেছার পরই অনকরেে মনে হতে থাক-হেয়ত জীবনরে সময়গুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা হলো না। মনে পড়তে থাকে অনকে হারানো সুযোগরে কথা, মনে আপে হয় হাতে পাওয়া সুযোগরে সদ্ব্যহার না করার জন্য,মেনে পড়তে থাকে অতীত জীবনরে পাওযা না-পাওয়ার নানান ঘটনার কথা। এ সময় এক ধরনরে নষ্টালজয়ািয় অধকািংশ মানুষ স্মৃতি চারন কর।ে

আজ এত বছর পর এ কথাটাই বড় বশীে মনে হচ্ছে য,ে আমাকে তো অনকে বড় কছুি করার মতো যোগ্যতা প্রকৃতি দয়ছিলে;ি তবে কনে তা কাজে লাগাতে পারলাম ন্ াএটাও কি তাহলে ঐ প্রকৃতর-িই আর একটা খয়োল, নাকি আমার বোকামরি ফল! মাঝে মাঝে এই ভবেে বড় কষ্ট হয়, ণস্থায়ী জীবনরে অনকটো সময় এত হলোফলো আর অকাজে নষ্ট না করে যদি ভালভাবে কাজে লাগাতে পারতাম, তাহলে অন্যরে ভাল নাহল্ওে নজরিে জীবনটা বশে আরাম-আেয়শেে কাটয়েি দতেি পারতাম। ফলআেসো দনগিুলোতে যে কত বড় ভুল করছ,েি তা আজ যখন মনে করি তখন প্রচন্ড একটা ধক্কািরে নজইিে নজরিে গায়ে থু থু দতেি ইচ্ছা কর।ে আর এও মনে হয়, আমার মতো অনকে লোকই তাদরে জীবনরে অনকটো সময়-ই হলোয় নষ্ট করে জীবনরে কোন না কোন সময় আপে করে ঐ হারানো সময়রে জন্য। আজ মনে হয়, যাপতি জীবনরে হাজার ভাগরে একভাগ সময়ও যদি আমরা পরকল্পিনা মাফকি কাজে লাগাই তাহলে নজরিে আর সমাজরে অনকে ভাল কছুি করা সম্ভব।

এত বছর পার করে দয়েি হারানো অতীতকে নয়েি গবষনো করার চয়েে বরং দু-চারটা কাজরে কথা বলে আসল কাজে মনযোগ দয়োটাই ভাল। আমি সাহত্যকিি নই, কখনো সাহত্যকিি হবো- এমন দুঃসাহসও ইতর্পূিবে কখনো দখোইন।ি তবুও এক বন্ধুর প্ররোচনায় আজ থকেে আট বছরর্ পূবে বদশিে থকেে দশেে ফরেি আমার দখো চারপাশরে ঘটনা অবলম্ভনে কয়কটো গল্প লখছিলোিম। গল্প লখবিো অথচ তাতে সাহত্যকিি কোনও মান থাকবনো- তমনে গল্পতো পাঠকরে জন্যে ছাপানো যায় না,্ এই ভয় থকইেে এতদনি গল্পগুলো বস্তাবন্দী করে গুদাম ঘরে ফলেে রাখা হয়ছলে।ি উঁইপোকার খোরাক হবার অপোয় থকেে এতদনওিে কনে কোন প্রকার পোকার এগুলোকে খাবার ইচ্ছা জাগলো না, তা আমার মধ্যে ্একটা কৌতুহলরে সৃষ্টি করছ।েে তা থকইেে হঠাৎ জদি চাপলো, কউে পড়–ক আর নাই পড়ূক, আমার লখো আমি ছাপবোই । শরৎবাবুতো কবইে বলছলেনি,ে ”কারো পা দু’টো থাকলইে সে হাঁটতে পার,ে কন্তুি হাতদু’টো থাকলইে কউে লখতিে পারে না।” আমি আমার একটা হাত ব্যবহার করে যখন লখইিে ফলছে,েি তখন কউে পড়–ক আর নাই পড়ূক, আমি তা ছাপবোই। অবশ্য তাতে আবার আমার পরম আপনজনরো খুব নাখোশ! তাঁরা আমার চরকিালরে একরে পর এক বোকামি দখতে,ে দখতেে নজদিরেে সুখরে অনকে সময় নষ্ট করছ-েে এখন আমার এহনে নতুন বোকামরি জন্যওে আবার খুব আপে করছ।ে টাকাগুলো এমন বাজে কাজে নষ্ট না করে আমি যদি ব্যাংকে কংবিা পোষ্ট অফসরিে সভংেস্ িএকাউন্টে জমা রাখতাম, তাহলে সুদরে টাকাটা বৃদ্ধ বয়সে কছুিটা হলওে ঔষধরে খরচ যোগাতে সহায়তা করতো।

কথায় বল,ে চোরা না শুনের্ ধমরে কাহনীি! আর তাছাড়াও আমার মধ্যে একটার্ সবনাশা জদ্ কিাজ করে অনকে সময়, যা কখনো, কখনো অমঙ্গল না করে বরং অনকে বড় উপকার কর।ে যাইহোক, তমনে একটা জদরিে বর্শবতী হয়ে কছুি টাকাকড়ি যোগাড় করে গল্পগুলো একদনি ছাপানো হল্ োআর তাতের্ আথকি তি যা হবার তাতো আমার হলোই। কন্তুি ভয় হয়, পাঠক বই কনেি যদি তাতে সাহত্যকিি মানসম্পন্ন লখো না পয়েে আমাকে অভসম্পিাত দন,ে তাহলে আমি খুব কষ্ট পাব। আমতোি ছোট বলো থকইেে শরৎবাবুর বই পড়,ে পড়ে ইন্দ্রনাথ হয়ে গছ।েি ছন্নছাড়া, বাঁধনহারা, নোঙ্গর ছঁড়ো নৌকার মতো, এলোপাথাড়ি চলায় অভ্যস্থ হয়ে গছ।েি এর-ই ফল,ে জীবনরে অনকে করণীয় কাজ করা হলো না, আর যা করা হলো- তাও ভালভাবে করা হলো না। তাই বলছলািম, একবাররে এই র্দূলভ মানব জীবনকের্ সাথক করতে হলে প্রতটিি র্মুহূতকে কাজে লাগাতে হব।ে আমাদরে প্রত্যকরেে মধ্যইে অনকে প্রতভাি লুকয়েি আছ।ে তাকে কাজে লাগয়েি মানব জীবনকের্ অথবহ করা যায়। "ঙয সধহ ফড় হড়ঃ ঃধশব ৎবংঃ, যবঃিযবৎ ুড়ঁ ধৎব ঃরৎবফ ড়ৎ হড়ঃ”- গীতার এই শ্লোকটি গান্ধীজি প্রায় সময় আবৃত্তি করতন।ে তনিি বুঝাতে চাইতন,ে জীবনরে মানইে হলো কাজ, কাজ আর কাজ। তাই কাজরে মাধ্যমইে জীবনকের্ সাথক করে তোলা যায়। আর মৃত্যু-ই নয়েি যাবে চরি বশ্রািমরে দশ-েে যখোনে অনন্ত বশ্রািম, কোন কাজ থাকবে না, দবোর মতা থাকবে না, নবোরও মতা থাকবে না, লোভও থাকবে না। মায়া, মমতা, হংসিা, বদ্বষিে সবকছুিরর্ উদ্ধে শুধু অসীম অবকাশরে সময়।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×