somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খাদিজা (রা) কে নিয়ে অশ্লিল মন্তব্যকারী, চরম ধর্মবিদ্ধেষী এই অমানুষকে চিনে রাখুন

০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের কবি গুরু লিখেছেন " সাত কোটি সন্তানের হ্যাঁ মুগ্ধ জননী , রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি " এটা আধুনিকতার মুখোশে এখন হয়েছে " সতের কোটি সন্তানের হ্যাঁ মুগ্ধ জননী , রেখেছ বাঙ্গালী করে মানুষ করনি। জ্ঞানী মানুষ বলতেই সকলের কাছে সম্মানিত, জ্ঞানীদের প্রতি বরাবরের মতই আমাদের এক ধরনের সম্মান আছে । জ্ঞানীদের নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথাই বলতে হবে তবে স্বল্পকথায়, যারা নিজেদের জ্ঞানকে দেশ এবং জনগণের স্বার্থে ব্যবহার করে সামাজে ইতবাচক পরিবর্তন আনেন অথবা প্রতিনিয়ত ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্ঠা রত থাকেন তারাই জ্ঞানী। অন্যদিকে জ্ঞানীদের ঠিক বিপরিত মেরুতে জ্ঞানপাপীদের অবস্থান। যারা নিজের জ্ঞানকে ভাল কাজে ব্যাবহার না করে জনস্বার্থের বিপরিতে ব্যাবহার করেন এবং নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে শুধুমাত্র হীনসার্থ হাসিলের লক্ষে দেশ এবং জনগনের বিপরিতে অবস্থান করে তারাই হল জ্ঞানপাপী ।

গুগলে অনুসন্ধান করে জ্ঞানী এবং জ্ঞানপাপী, পৃথকীকরণ প্রক্রিয়ায় সরলতম যে সূত্রটি খুঁজে পেলাম তা হল -

জ্ঞানীরা অনেকের মাঝে থেকেও প্রত্যেকে একা, তাই অন্যদেরকে নিজ-রূপে সাজাতে চান। ন্যদিকে জ্ঞানপাপীরা জ্ঞানীদের বিপরীতধর্মী, জ্ঞানপাপীদের সাথে দৃশ্যমান কেউ না-থাকলেও, কোনো জ্ঞানপাপী একাকীত্বে ভোগে না কখনো, তবে নিজের রূপে নিজেই অতৃপ্ত তাই নিজেকে বহুরূপে সাজাতেই তাকে ব্যস্ত দেখা যায়।

বাংলাদেশে সত্যিকারের জ্ঞানীর সংখ্যা হাতেগোনা হলেও জ্ঞানপাপীরা সংখ্যায় অগনিত, বাংলাদেশের আপাদমস্তক, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া জুড়ে জ্ঞানপাপীরা বিচরন করছে প্রতিনিয়ত। বাংলাদেশের অগনিত জ্ঞানপাপীদের মধ্যে ফরহাদ মাজহার একজন। একচোখা এবং
মাইন্ডওয়াশড প্রাণী ছাড়া জ্ঞানপাপীদের সবাই ঘৃণা করে, তার ব্যাঘাত ঘটেনি এই ফরহাদ মাজহারের বেলায়ও। প্রয়াত আহমদ ছফা, হুমায়ন আজাদ থেকে শুরু করে হালের লেখকরা ফরহাদ মাজহারের মুখুশ উন্মোচন করেছেন বহুবার, তাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে
বহুবার দিগম্বর হতে হয়েছে লুঙ্গি পড়া এই জ্ঞানপাপীকে।

নিয়মিত দিগম্বর হতে হতে ফরহাদ মাজহার নামটি একটি নিম্নমানের কৌতুকে পরিণত হয়েছে বহু আগেই। ঘন ঘন আদর্শ বদল করা গৃহপালিত বুদ্ধিজীবি, ফরহাদ মাজহারের নাম শুনামাত্রই রুচিবান মানুষরা ঘৃণাভরে থুথু নিক্ষেপ করেন প্রতিনিয়ত। নিয়মিত অপমানিত, অপদস্থ হওয়ার পরও ফরহাদ মাজহারের যেন কিছুই হচ্ছে না, গোপনাজ্ঞের মত লজ্জা নামক শব্দটিকেও লুঙ্গি আর জাইঙ্গা দিয়ে ঢেকে রেখে, খচ্চরের নৃত্য দেখিয়ে চলেছেন নিয়মিত।

একসময় রীতিমত যুক্তি তর্ক এবং প্রমাণ সহ জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে উঠেপড়ে লাগা ফরহাদ মাজহার বর্তমানে জামাত নামক স্বাধীনতাবিরোধী সংঘঠনের অস্থিত্ব রক্ষায় উঠেপড়ে লেগেছেন। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ যখন জামাত নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে সোচ্চার, ঠিক তখনি স্রোতের বিপরিতে দাঁড়িয়ে মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসী দলের ত্রাতার ভুমিকায় আসিন হয়েছেন বারবার।

একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি এবং জামাত নিষিদ্ধের দাবিতে গড়ে উঠা গনজাগরন মঞ্চ নামক গনমানুষের অহিংস আন্দেলনকে আদালত অবমাননা এবং বিচারব্যবস্থা ভেঙে ফেলার শামিল আখ্যায়িত করেন। অন্যদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবীতে জামাত-শিবির নামক জঙ্গী সংঘঠনের ভাংচুড়, লোটপাট, সংখালগুদের ওপর হামলা, নির্যাতন, পুলিশ হত্যা সহ সকল ধরনের সহিংস অপকর্মকে, গনহত্যা তত্বের মাধ্যমে বৈধতা প্রদানের হীন চেষ্টা চালিয়ে যান। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামাত-শিবিরের দেশ জুড়ে চালানো তান্ডব প্রতিরোধে সরকারের ভুমিকাকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে ফরহাদ মাজহার বলেন,

দেশে যে হত্যাকাণ্ড চলছে তার সঙ্গে পাকিস্তান আমলেরও তুলনা করা চলে না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫ বছরে ২৫ মার্চ পর্যন- এত মানুষ হত্যা করেনি, যত মানুষ শেখ হাসিনার সরকার শুধু ফেব্রুয়ারি মাসে খুন করেছে।

‍"বোমা হামলাকারী সন্ত্রাসী হলে মুক্তিযোদ্ধারও সন্ত্রাসী" তত্বের প্রতিষ্টাতা ফরহাদ মাজহার, ধর্ষক সাঈদি-আজমদের গ্রেফতার করা মানে দেশের আলেম সমাজের ওপর নির্যাতন এবং জামাত-শিবিরের তান্ডব প্রতিরোধ করা মানে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন টাইপের বিভ্রান্তিকর মন্তব্যের মাধ্যমে, দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদেরকেও জামাত - শিবির সমর্থকদের সাথে দেশ বিরোধী সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার উস্কানি দিয়ে গেছেন নিয়মিত।

শুধু তাই নয় একসময় নিয়মিত বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা সংবাদ পরিশেনের মাধ্যমে, জামাত-শিবিরকে দিয়ে দেশে সহিংসতা সৃষ্টি করে সাঈদী-সাকাদের মুক্তকরার অপচেষ্টায় সম্পুর্ণ ব্যার্থ হওয়া সতির্থ মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে নাস্তিকতা তত্ব হাজির করেন। গুটিকয়েক বিপথগামী ধর্মবিদ্ধেষী ব্লগারের ব্যাক্তিগত মতামতকে পুঁজি করে উস্কানীমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সকল ব্লগারকে ধর্মাবমাননাকারী / ইসলামের শত্রু আখ্যায়িত করে ধর্মপ্রাণদের বিপক্ষে দাড় করিয়ে, ব্লগারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেন এই ফরহাদ মাজহার গংরা।

কাবা শরিফের ঈমামদের নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে একপ্রকার তামাশা করা মাহমুদুর রহমান এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্প দেবী মনসাকে মুলিমদের দেবী আখ্যায়িত করা ফরহাদ মাজহাররা, নিয়মিত বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং ইসলাম নিয়ে বাজে ধরনের সুড়সুড়ির মাধ্যমে ধর্মপ্রাণদের মধ্যে সরকার এবং দেশবিরোধী ধর্মিয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে একপর্যায়ে , তথাকথিত অরাজনৈতিক(!) সংঘঠন হেফাজতে ইসলামকে দৃশ্যপটে হাজির করেন।

খাদিজা (রা:) নিয়ে অশ্লিল মন্তব্য করা এবং ফরিদা আখতার নামক এক মহিলার সাথে ঢাকঢোল পিটেয়ে বহুবছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন করা ধর্মবিদ্ধেষী ফরহাদ মজহার, তথাকথিত ধর্মবিদ্ধেষীবিরোধী আন্দোলনকারীদের নেতা আল্লাম সফি'র সাথে একি মঞ্চে দাড়ানোর মাধ্যমে, ধর্মান্ধদের কাছে ইসলাম রক্ষা আন্দোলনের প্রথম সারির আলেমে পরিণত হন।


ফরহাদ মাজহারদের ধর্মবিদ্ধেষ বিরোধীতার নামে. সরকার বিরোধী ধর্মিয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্ঠা এবং ফরহাদদের টাকায় পরিচালিত হেফাজতের দেশ বিরোধী রনহুংকার থামাতে একপর্যায়ে র্মবিদ্ধেষী (হেফাজত মতে) ব্লগারদের গ্রেফতার করে সরকার ।

বার বার সফলতার খুব কাছে যেয়েও ব্যার্থ হওয়ার পর, ফরহাদ মাজহার এবার পত্যক্ষভাবে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর পায়তারা শুরু করেন। সতির্ত মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর সঙ্গিহীন হয়ে পড়া এই জামতি বুদ্ধিজীবি, ১৩ দফা নামক মধ্যযুগীয় দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে হেফাজত নেতাদের মাঠে নামতে ইন্দন প্রদান করা শুরু করেন।

আর তার ইন্দনে সাড়া দিয়ে গত ৫ ই মার্চ সারাদিন ধরে হেফাজত সমর্থকরা জঙ্গীদের মত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল এবং এর আশপাশের এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির করে এবং পুলিশের সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এসময় তারা জামাত-শিবিরকে সাথে নিয়ে ইত্তেফাক মোড় থেকে পল্টন পর্যন্ত, ঢাকার ৪০০ বছরের ইতিহাসের মধ্যে ভয়াবহ ধ্বংসজজ্ঞ রচনা করে। সারাদিন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর একপর্যায়ে সরকারের বাধা উপেক্ষা করে হেফাজতিরা তাদের মধ্যযুগীয় দাবী বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মতিঝিল এলাকায় লাগাতার অবস্থানের সিদ্ধান্ত নেয়।

জঙ্গীদের উৎখাতের মাধ্যমে, জনগনের মূল্যবাদ সম্পদ রক্ষা এবং দেশের অর্থনীতি সচল রাখার লক্ষে সরকার ‍‍"অপারেশন সিকিউরড শাপলা" নামক অভিযান পরিচালনা করে। এসময় শহীদী জোস নিয়ে, দরকার হলে প্রাণ দিতে আসা মাইন্ড ওয়াশড হেফাজত সমর্থকরা পুলিশের কাছে আত্নসমর্পন এবং পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আবারও ফতোয়াবাজ ফরহাদ মাজহারের স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষা এবং বিশেষ এক দলকে ক্ষমতায় বসানোর মিশন বাস্তাবায়নে বাধার সৃষ্ঠি হয়।

মাহমুদুর গ্রেফতার হল, আমারদেশ বন্ধ হল, দিগন্ত এবং ইসলামিক টিভি বন্ধ হল, বাবুনগরী গ্রেফতার হল, ফরহাদের প্ররোচনা আর কিছু মাদ্রাসা শিক্ষকদের রক্তচক্ষুর কারনে বাধ্য হয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেয়া, নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রাণ গেল। কুরআন পুড়ল, নিরীহ পুলিশ এবং বিডিআর সদস্যরা নিহত হল, জনগনের সম্পদ ধ্বংস হল,মতিঝিল এবং এর আশেপাশের এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হল।

এতকিছুর পরও ইসলামের একনিষ্ঠ সেবক, ধর্মান্ধদের কাছে আলেমে দ্বিন, লুঙ্গি মাজহার দমে জাননি। এবার তার তথাকথিত স্ত্রী ফরিদা আখতারকে সাথে নিয়ে "অপারেশন শাপলা"য় সহশ্রাধিক লোক নিহত হওয়ার খবর চাউর করেছেন। কিভাবে এদের হত্যা করা হল ? এত লাশ কোথায় গেল? তাদের আত্নিয়স্বজন কই ? ইত্যাদি প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে এবং কোন ধরনের প্রমাণ হাজির না করেই। তৌহিদি জনতার সামনে আবারও গনহত্যা তত্ব পরিবেশন করা শুরু করেছেন।

বিভিন্ন পত্রিকা ব্যবহার করে কাল্পনিক উস্কানির মাধ্যমে মতিঝিলের চেয়েও বড় কোন ধংসজজ্ঞ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অথবা গৃহযোদ্ধ সৃষ্টির মাধ্যমে ‘রাজকুমারী হাসিনা’’ (ফরহাদ মাজহারের দেয়া বিশেষন) সরকারকে বেকায়দায় ফেলার লক্ষে এগিয়ে চলেছেন ফরহাদ।

এদিকে আদর্শবান মহান এই গুরুর এহেন নীতিবান কাজকাম দেখে রিতীমত পুলকিত হচ্ছেন ফরহাদের মগজহীন ভাবশিষ্যরা। দেশের সর্বপেক্ষা নির্যাতিত, সংখ্যালঘু জঙ্গী সম্প্রদায়ের ওপর ‘‘রাজকুমারী হাসিনা’’ সরকারের এহনে নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রাণপ্রিয় গুরুকে সোচ্চার হতে দেখে আবাল শিশ্যরা রীতিমত বাকরুদ্ধ। সংখ্যালঘু আলেম সম্প্রদায়ের (পড়ুন রাজাকার সম্পদায়) ওপর নির্যাতনের ঘোর বিরোধী লুঙ্গি মাজহারের ‘‘রাজকুমারী হাসিনা’’ সরকারের অন্যয়ের বিরোদ্ধে বজ্রকণ্ঠ দেখে ভাবশিষ্য নামক মগজহীন, আবলরা গর্বিত বোধ করছে প্রতিনিয়ত।

এসব আবালদের সমর্থনের কারনেই কখনও মানুষ, কখনও কুকুর, কখনও আবার অদ্ভুদ কোন জন্তু রুপে আবির্ভুত হওয়ার উৎসাহ পাচ্ছেন ফরহাদ মাজহার। ভাবশিষ্য নামক এসব গেলমানরা ছোট হোক অথবা বড় হোক, কম টাকার হোক অথবা বেশি টাকার হোক, যে কোন ধরনের চুক্তি বাস্তবায়নের সময় বাহবা প্রদানের মাধ্যমে তথাকথিত ভাবান্দোলনের স্রষ্টা ফরহাদ মাজহারকে উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

আর এসব মগজহীন ভাবশিষ্য, কিছু দলকানা আর সহজেই মাইন্ডওয়াশড হওয়া ধর্মান্ধদের সমর্থন আর উৎসাহে ভর করে ফরহাদ মাজহার এগিয়ে চলছেন সদর্পে, একের পর এক চুক্তি বাস্তবায়ন করে নতুন চুক্তির বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। চুক্তি বাস্তবায়নের সার্থে কখনও নাস্তিক, কখনও জামাত বিরোধী, কখনও বাম, কখনও আওয়ামি সমর্থক, কখনও বিএনপি সমর্থক, কখনও ইসলামের ঘোর বিরোধী আবার কখনও ইসলামের রক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন অনায়েসেই।

চুক্তিকৃত সময়ের মধ্যে মিশন বাস্তবায়নের লক্ষে, দেশে গৃহযুদ্ধ অথবা ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধাতেও দ্বিধাবোধ করছেন না ফরহাদ মাজহার । ধর্মান্ধ অথবা মগজহীন ভাবশিষ্যদের ব্যাবহার করে এর আগেও একাধিক মিশন সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছেন। এদের ব্যাবহার করে হয়ত বর্তমান মিশনেও ফরহাদ সফল হবেন (হয়ত সফল নাও হতে পারেন)।

হয়ত বর্তমান মিশন বাস্তবায়নের লক্ষে অথবা পরবর্তী মিশনে সফল হতে আবারও উস্কানি প্রদান করবেন। তার উস্কানির উপর ভিত্তি করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অথবা গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি হবে, জনগনের সম্পদ নষ্ট হবে, নিরীহ নিরপরাধ মানুষরা মারা যাবে,দেশের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মারা পড়বে, দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, তার উস্কানির রেশ ধরে একসময় অগনতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতা দখল করেবে, বাংলাদেশের নামক রাষ্ট্রের বহু বিশেষনের সাথে জঙ্গিবাদি, তালেবানি অথবা হেফাজতি শব্দ যুক্ত হবে।

আর ফরহাদ মাজহাররা, নিজের পাপের খাতায় ধর্মঅবমাননা, আইন লংঘন, রাষ্ট্র বিরোধীতা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্ঠির চেষ্ঠা, স্বাধীনতা বিরোধীদের সহায়তা, দেশের সম্পদ ধ্বংস করা, নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচুত্য করার চেষ্ঠা, আইন - শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনিকে হত্যায় উসকানি দেয়া, কুরআন পোড়ানোতে ইন্দন দেয়া সহ ভিবিন্ন কুকর্ম যুক্ত করে, মুক্ত পাখির মত উড়তে থাকবেন।

আর আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র ফরহাদের মাজহারদের অপপ্রচারের বাধ্য হয়ে ধর্মবিদ্ধেষী ব্লগারদের গ্রেফতার করে আটকে রাখলেও, কোন এক অজানা কারনে বাংলার সবচেয়ে বড় ধর্মবিদ্ধেষী ফরহাদ মাজহারদের লাগাম টেনে ধরবেন না, ফরহাদ মাজহারদের উস্কানির সময়ে পপকর্ন হাতে সাইডলাইনে বসে হাস্যকর সহশীলতার পরিচয় দেবেন এবং গোল হয়ে যাওয়ার পর বিদ্ধস্ত দলকে নিয়ে আহাজারি করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো - ছবি ব্লগ

লিখেছেন শোভন শামস, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

"পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো", কিংবা "পোস্টকার্ড রো" বা "সেভেন সিস্টারস" নামে পরিচিত, বাড়িগুলো। এটা সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ার, স্টেইনার স্ট্রিটে অবস্থিত রঙিন ভিক্টোরিয়ান বাড়ির একটি সারি। বহু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×