আগামীকাল বিএনপির ডাকা হরতালে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির। জোটের প্রধান শরিকের এ হরতালকে জামায়াত নিজেদের কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছে। হরতাল সফল করতে প্রয়োজনে আক্রমণাত্দক ভূমিকা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা।
জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ গতরাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা তো মাঠে নেমেছি, ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ, তবে শক্তভাবেই মাঠে থাকব ইনশাআল্লাহ।'
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হরতালের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতারা বিএনপির চেয়েও তৎপর ও আক্রমণাত্দক। যেকোনো মূল্যে তাঁরা হরতাল সফল করতে বদ্ধপরিকর। এ উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় মহানগর কমিটির শীর্ষ নেতারা কখনো পৃথক, কখনো যৌথ বৈঠক করছেন।
জানা গেছে, বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে জামায়াত ও ছাত্রশিবির হরতালে পিকেটিং করবে। তবে তারা কোন কোন এলাকায় পিকেটিং করবে, তা গোপন রাখা হয়েছে। হরতালের আগে পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালাতে পারে_এ আশঙ্কায় মহানগর জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কয়েক দিন ধরে গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
গতকাল বিকেলে পুলিশ পুরানা পল্টনে ঢাকা মহানগর জামায়াত কার্যালয়ের গলিতে অবস্থান নিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সটকে পড়েন। এ সময় পুলিশ তিন শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। হরতালের সমর্থনে জামায়াত ও ছাত্রশিবির কর্মীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুপচি মিছিল বের করেছে।
জামায়াত-শিবির কোন এলাকায় পিকেটিংয়ের দায়িত্বে থাকবে জানতে চাইলে মুজাহিদ বলেন, 'এটি আজ (শনিবার) চূড়ান্ত করা হবে। বিএনপির সঙ্গে বৈঠক চলছে, শরিক দলের সঙ্গেও বৈঠক হচ্ছে।'
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী হরতাল পালন করার জন্য কলকারখানা ও যানবাহনের মালিক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, পেশাজীবীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, 'বর্তমান সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির চাহিদা পূরণে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও সরকারের চরম ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। সরকার জামায়াতসহ বিরোধী দলকে ভূমিকা পালন করতে দিচ্ছে না। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশ ১৪৪ ধারা জারি করে পণ্ড করে দিচ্ছে এবং কোথাও কোথাও ১৪৪ ধারা জারি ছাড়াই পুলিশ ও সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা সভা-সমাবেশ ও মিছিলে বাধা দিচ্ছে।'

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



