সভ্যতা
একদা অনাবৃত ঘুরে বেড়াত ঈশ্বর-ঈশ্বরী
তখন বিহঙ্গসভায় সভ্যতা নামেনি-
এখন নিঃশব্দ রাত্রি জাগে কামদেবের টানে
ভার্চুয়্যাল ঘুঙুর বাজে রতি-ক্রিয়ায়
আধুনিকতার নির্মাণে...
বালির ঘর
ভুলের সাথে বসত করি বালির ঘরে
দেয়ালে লেগে আছে জলমাটির ঘ্রাণ ।
রক্তে মিলে আছে ত্রিকাল,বিবেক মরে
বিশ্বাসের দৃষ্টি খুলে দেখি ঈর্ষা প্রান ।
চোখের নদি
তোমার চোখের নদিতে সাঁতার দিতেই সৃষ্টি হলো প্রেমের সরোবর
ফুলের বাহার, ফুল শিশু হয়ে গেলো সময়ের নদীতে ।
রোদের চোখ দিয়ে আঁকি আকাশের ছবি!
তোমার রাঙ্গানো চোখ মাতানো চোখ
এ চোখে ডুবেছে কতো জাহাজ কতো নদি?
নিজের দিকে থাকালে
নিজের দিকে থাকালে অবাক হয়ে যাই
যেখানে চোখ পড়ে সেখানেই ধূসর বালি
মাটি থেকে চিনা মাটির প্লেট, এমন কি উনান ও
সুখের এই চাবিটা তবে কি ভাঙা নোখ পলিশ
মিথ্যা অহং ঢেকে রাখে ছেঁড়া শাড়ি
বিধ্বস্ত সময় নিংড়ে নেয় চেহারা ।
রূপ-ঢাকা অর্ধেক সময়
ছল-ছল লাগে-
নিজের সাথে নিজেই, কখনো কি আর
সন্ধি করতে পারবো সোমক্ত সময়ে ?
পাঠশুন্য ঘর
অভাবের মাঠে পড়ে থাকে শীর্ণ ফসল !
পেটশুন্য ঘর গণনা করে উনুনের নামতা
বুকে জমা পাথুরে হাওয়ায় দিনরাত্রি
পুড়ে যায় চিন্তার কাঠ ! আকাশে উদিত চাঁদ
রাতের বুকে চাষ করে নক্ষত্র ।
সব কিছু জানা যায় গরল উষ্ণতায়
আর তাদের গরল কাহিনী
রাতের জমিনে চাষ হয় উলঙ্গ ফসল
স্নানে যাওয়া নক্ষত্র ভিজে রাতের জলে
তবুও চতুর উষ্ণতা খুঁজতে থাকে
লালিত ঘর।
মিছিল
শ্রমের নদি ভরে যাচ্ছে ঘামের মিছিলে
আমরা থাকি জিয়ল মাছের বন্দিশালায়
নিদ্রায় ছিলাম সহজ সরল নিয়মে
আমাদের কপাল থেকে সরে গেছে সুখের তিলক
হায়রে কপাল কোন বেদনায় চেয়ে থাকো বন্ধ দুয়ারে
আর দুঃখের সগরে চলে না ডিঙ্গি বহুকাল
ছাদের কার্নিশে শুয়ে আছে অন্ধ সময়
ভাগ্য হাতে দাঁড়িয়ে আছে ভাগ্যাহত নদি
মৃতরা এসে আড়াল করল লাশের মিছিল।
পইরল
অন্ধকার ঘেঁটে পাওয়া রাতশেষে, নির্জনতার
আনন্দহীন ভোর, এবং কয়েকটি ফলহীন বৃক্ষ বেদনা।
লাজুক নদীর মতো ঢেউ জমে সমুদ্র সকাসে।
রাত জাগে চড়ই আবেগ জড়িত শুন্য ঘরে শুধুই একেলা ।
যে দিকে যাই আগুন ও পানিতে ডুবে রই পইরল
বুনিয়াদী অভিশাপ , জলে জ্বলে উঠি বারবার ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



