এদেশে প্রস্তুত পোশাক রপ্তানিকারকরা যখন উচ্চ স্বরে দম্ভ করে বলেন, আমরাই দেশে সর্বচ্চ বিদেশী মুদ্রা আনয়নকারী, তখন প্রশ্ন জাগে এই মুদ্রা আসে কিসের বিনিময়ে? তাদের তেল চকচকে চেহারা, ডাবল এসি কেবিন সম্বলিত বিলাস বহুল গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা আর তারকা খচিত বিভিন্ন হোটেলে ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে?
এর সবকিছুই হয়তো সহায়ক হিসেবে কাজ করে, যখন শ্রমিকের নিখুঁত শ্রম ক্রেতার চোখে মুগ্ধতা এনে দেয়। আপনি রপ্তানিকারক, বলবেন, আপনার শিক্ষাদীক্ষা, আপনার মেধা, আপনার ভাষার দক্ষতা সর্বোপরি আপনার চাতুর্য ইত্যাকার আপনার রপ্তানি বা উপার্জনের মূল উপকরণ? দুঃখিত, আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আপনার কারখানার শ্রমিকের শ্রম ছাড়া আপনার সব কিছুই মূল্যহীন! বরং আপনার যোগ্যতার কোনো একটির এমনকি সবকটির চেয়েও তাদের শ্রম অনেক বেশী মূল্যবান। আর পূঁজির বিষয়ে নাইবা বললাম। ব্যাংক সহ অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নানান সুযোগ সুবিধার সবটুকুই আপনারা ভোগ করেন। কারণ, আপনারা একাধারে রপ্তানিকারক আবার দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী বলে কথা! সরকারগুলোর কাছ থেকেও আপনারা যে সুযোগ সুবিধা নেন, তার চেয়ে অনেক বেশী প্রাপ্য আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ও পেশাজীবী ভাই বোনেরা।
সময় এসেছে। আমাদের এখনই ভেবে দেখা দরকার, প্রস্তুত পোশাক রপ্তানিকারকরা কোনোভাবে মাফিয়া চক্র হয়ে উঠছে কিনা, যারা অসহায় শ্রমিকের শ্রম ও ঘাম রপ্তানি করেই শুধু তাদের বিত্ত বৈভবের উচ্চতা পাহাড় সম করে তুলছেন না, বরং শ্রম ও ঘামের সাথে আমার খেঁটে খাওয়া শ্রমিক ভাই বোনদের রক্তের ফোঁটাও এখন বিদেশীদের উপহার দিচ্ছেন!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



