‘তরুণ প্রজন্ম’ বললেই আমাদের চোখে টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া পরা হাসিখুশি কিছু তরুণীর চেহারা ভেসে ওঠে। আমাদের দেশে মোবাইল ফোন আসার পর কোম্পানিগুলো পত্রপত্রিকা ও টেলিভিশনে সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন দিয়েছে, আর এ বিজ্ঞাপনের কারণেই সম্ভবত তরুণ-তরুণীদের এ ছবি আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেছে।
কেন জাফর স্যার এই কথাটা বলল সেটা এবার চিন্তা করবেন লেখক সাহেব । আমার কথা হচ্ছে উনি যা বলেছেন তা তো খারাপ বলেন নি ? আমাদের সমাজ ব্যবস্থা আমরাই খারাপ করে দিচ্ছে এটাই আমার ধারনা , আপনাদের সাথে আমার মতের মিল নাও হতে পারে,
ষাট বছর আগে এত মোবাইল কোম্পানি ছিল না আর ছিল না টেলিভিশন আর এত এত চ্যানেলের দৌড়াত্ব । এখন নগ্নতা কে পুজি করে যেখানে চলছে বানিজ্য সেখানে ফতুয়া পরা দৃশ্য কি খুব বেশি বেমানান ? আর জাফর স্যারে কিন্টু পুরো দোষটাই দিয়েছেন সেই সব নির্মাতাদের যারা এগুলো বানাচ্ছেন আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের সময় কিন্তু যারা ছিল তাদের বোরকা পরতে হয় নি কিন্তু আজ কেন পড়তে হয় বলেন তো ? পর্দা বা হিজাব এর সংগা আমার জানা নেই তবে আমার জানা মতে একজন মেয়ে মানুষ তার লজ্জা অংশটুকু যদি ঢেকে রেখে চলাফেরা করে তাহলে একটি ছেলে তাকে কখনো টিজিং করার সাহস টা পাবে না বলে আমার মনে হয় ।
আর এখন মেয়েরা বোরকা পরে খুবেই সামান্য , এদের মাঝে একটা শ্রেনীর মেয়ে আছে যারা বোরকা কে ফ্যাশন হিসেবে ইউজ করে, একটা শ্রেনী আছে যে প্রেম করার জন্য এটা ব্যবহার করে যেন ডেটিং মারার সময় কেউ দেখে বুঝতে না পারে যে সে কে ? বুঝাইতে পেরেছি ?
আর কিছু মেয়ে আছে যারা ফ্যামিলীর ট্রাডিশন বজায় রাখতে বাবা-মা র মুখের দিকে তাকিয়ে বোরকা পড়ে। আর গুটি কয়েক মেয়ে আছে যারা পর্দার জন্য বোরকা পরে, এই সংখ্যাটা এত নগন্য যে আপনি খুজেও পাবেন না,
আমার জানামতে আমার অনেক বান্ধবী আছে যারা বাসা থেকে আসে বোরকা পরে এবং শিক্ষা প্রতিস্ঠানে এসে মুখের নেকাপ খুলে দিয়ে চলে , এমন কিছু মেয়ে কে দেখেছি যারা ক্যাম্পাসে এসে বোরকা ব্যাগে ভরিয়ে রাখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে তারপর চলে যার বোরকা পরে ।
জনাব রাসেল ভাই আপনি কি বলতে পারবেন আপনার খুব কাছের বন্ধুটি কেন বোরকা পড়ে ? কেন হিজাব করে ?
যদি আপনার কাছের মানুষ থেকে থাকে তাহলে সে নিশ্চয় তার বাসায় কখনো বলে না যে সে আপনার সাথে ঘুরতে বের হয় ? আপনি কি জানেন যে বেগানা নারী-পুরুস এক সাথে থাকা বা চলা ফেরা করা যায় না ?
আচ্ছা আপনি কোন শ্রেনীর মানুষ কে ভদ্র বলবেন ?
১. যে মুখে এক অন্তরে এক তাকে ?
২. যে বাসায় সাধু বাহিরে এসে বেহায়া তাকে ?
৩. নাকি যে সব কিছু মিলিয়ে এক সমান তাকে ?
আমার প্রশ্ন তিনটার মাঝে কাকে আপনি পছন্দ করবেন ?
এখানে কথা হচ্ছে জাফর স্যার কে নিয়ে , এখানে তার মেয়ের কথা টেনে আনা টাকে কথার মাঝে লাংগল চালানো বলেই আমার মনে হয় । আর উনার মেয়ে কিন্তু এমন কিছু করেনি যার কারনে উনার মেয়ের এমন ছবি আপনি পাবলিসিটি করতে পারেন ।
উনার মেয়ের দোষ আমি দেব না কারন সে মুখে এক আর বাহিরে এক নয়, বাসায় সাধু আর বাহিরে বেহায়া নয় । উনার মেয়ের সত কথা বলা আর সত ভাবে চলার সাহস আছে যেটা আপনার আছে কি ? আপনার আদরের বোনটির আছে কি ? আপনার খুব কাছের মেয়ে বন্ধুটির সেই সাহস আছে ?
আপনি বুক ফুলিয়ে এই কথাটার উত্তর দিতে পারেন ?
আর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কথা বলছেন আমাদের ফ্যামিলিতে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রভাব রয়েছে আমাদের ভাইবোনদের বেশিরভাগেই দাখিল আলীম ফাজিল পাশ করেছে, আমি আমার দেখাতেই দেখেছি যে একটা ছাত্র মাদ্রাসা থেকে আসে যখন তখন সে বিশেষ করে গণিত বিষয়ে অনেক টা দুর্বল থাকে এটা যারা জানে তারাই বুঝবে। আমার ভাই সে আমার থেকেও এস এস সি টে রেজাল্ট ভাল করেছে এর পর তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল একটি কলেজ এ যার মুল কারন হচ্ছে তার পরবর্তীতে ভাল কোনো যায়গায় ভর্টি হওয়া, তো এর পরে যা হল সে বার বার গনিত নিয়েই সমস্যায় পরল, এর মুল কারন টা কি জানেন ? মুল কারন হচ্ছে নবম দশম শ্রেনীতে যখন গনিত নিয়ে এত বেশি জোর দেয়া হয় তখন মাদ্রাসায় নজর দেয়া হয় হাদিস নিয়ে ফিকাহ নিয়ে , আপনি যদি মাদ্রাসায় পরে থাকেন তাহলে এইটা জানবেন নয়ত নয় , আপনার একটা ছবির কথা বলি জাফর সাহেবর মুখে জুতোর বারি দেবার কথা বললেন ?
মাদ্রাসা থেকে যে ছাত্রটি এসে ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে ১ম হল তার পিছনে রয়েছে সেই ছাত্রটির অধ্যাবসায়, আগেই বলেছি ঐসব ছাত্রের সমস্যা হয় যখন ম্যাথম্যাটিক্যালের মত জটিলতায় পরে ইন্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে আসার পর, ক্লাশে যখন একটা ক্যালকুলাস অথবা ইন্জিনিয়ারিং ম্যাথ বুঝানো হয় তখন সে হা করে তাকিয়ে দেখে কারন তার গত ছাত্র জীবনে এই বিষয় টা পড়ানো হয় বলে আমার জানা নাই , এর পরেও সে কেন চান্স পায় ? বলেন তো
ইন্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট এ ভর্তি পরীক্ষায় কিন্তু গনিত বিষয় টা নিয়ে প্রশ্ন খুব বেশি আসে না যার ফলে পদার্থ রসায়ন বাংলা ইংরেজী নিয়ে বেশি নজর দিলেই মনে হয় তার জন্য উপকার হয়,
আর স্যার যে কমিটিতে আছেন আর পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাভাবিক ব্যবস্থা সাবজেক্টগুলোর পাশাপাশি আরবী, ফিকাহ, হাদীস নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে বলেই আমার মনে হয় (আমি যতটুকু জানি ) যেন একটা ছাত্র মাদ্রাসা থেকে এসেও অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে ,
পরিশেষে একটা কথা বলি , আমার বাবা মা আমাকে সত্যের পথে চলতে শিখিয়েছেন , পাপ কে ঘৃনা করতে শিখিয়েছেন পাপী কে নুয়, মুখে এক অন্তরে এক এভাবে চলতে শিখান নি , তাহলে আপনি আমাকে কি বলবেন ? আমি দোষী ?
বাংগালীর একটা স্বভাব কি জানেন যদি কারো সাথে ঝগরা লাগে তাহলে টার চৌদ্দগুষ্টি নিয়া মাথা বেথা শুরু হয়, আরে ভাই যার সাথে লাগছে তার সাতেই ঝগরা করুন না তার চৌদ্দগুষ্টি নিয়ে কেন মাথা ঘামান ? আপনার সাথে কারো লাগলে সে যদি অযৌক্তিক বলে আপনার ফ্যামিলি নিয়ে তাহলে আপনার কেমন লাগবে ?
পুর্বে প্রকাশিত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



