সুপ্রিয় ব্লগারদের ফেবু স্টাটাস থেকে নেয়া।ব্লগারদের মুখ নিসৃত বানী তাই এত গুরুত্বপূর্ণ। কথা গুলো অনেককেই ভাবনায় ফেলে দিবে।
ব্লগার অন্যমনষ্ক শরৎ
আমাকে বলা হচ্ছে জ্বর এবং সর্দির মধ্যে কোন একটাকে বেছে নিতে। কাউকেই না নিয়ে, আমি তোমাকে বেছে নিলাম, না না নারী নয়, ঘুম ঘুম।
ব্লগার হাসান মাহবুব
আমরা কোন মানুষকে নিয়ে মন্তব্য করতে গেলে বড় বেশি জেনারেলাইজড করে ফেলি। যেমন, কেউ একজন কৃপণ। অথচ কৃপণতা বাদ দিলেও তার হয়তো ভালো কোন গুণ আছে। হয়তো সে খুব স্মার্ট একজন মানুষ। সেক্ষেত্রে আমরা তাকে বলতে পারি স্মার্ট কৃপণ। তেমনভাবে একজন হিরুঞ্চিকে বলতে পারি উদার হিরুঞ্চি। আরো বলা যায় দানবীর লুইচ্চা, শৈল্পিক খুনী, ধর্মপ্রাণ বিকৃতমনা, দয়ালু কূটনী। আরো বলতে পারি আপোষহীন গোলাপীবোকা বৃদ্ধা ইত্যাদি...
ব্লগার সাবরিনা সিরাজী তিতির
মানুষ সবথেকে কষ্ট পায় প্রিয় মানুষ অবহেলা করলে !
ব্লগার আমিনুর রহমান জেসন
একটা মাতাল মাতাল ভাবে আছি ...
(দুইখানা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে না ঘুমানোর প্রতিক্রিয়া )
ব্লগার খেয়াঘাট
প্রয়াত লেখক সুনীল অথবা শামসুর রাহমান বলেছিলেন-বাঙালী কোনো ভীড়ের মাঝে ঢিল ছুঁড়লে ঢিলটি অবশ্যই কোন কবির গায়ে লাগবে।দেশে আজ এতো কবি।
ওনারা যদি আজ ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখতেন তবে বলতেন-ফেসবুকের পাতা ওপেন করে চোখ বন্ধ করে যেখানেই ক্লিক করুন না কেন-সেই ক্লিক কোনো দর্শনতত্তের উপর পড়বে। দেশে আজ এতো দার্শনিক। ছ্যাকা খেয়ে একা হয়ে হৃদয় ফাঁকা করে যে বাঙালী ছেলেরা একবার কবি হয়েছিলো, ফেসবুক সে বাঙালী ছেলেদের আজ দার্শনিক বানিয়েছে। দারুন উত্তোরন।
ব্লগার সেলিম আনোয়ার
ফেসবুক ব্লগ নেট আমাদের যোগাযোগ মত বিনিময়কে সহজ করেছে। নতুন নতুন বন্ধু দিয়েছে। কিন্তু সম্পর্কগুলোর গভীরতা অনেক কম। ব্লগারদের সাহিত্য আড্ডাকে স্বাগত জানাই। কারণ এর মাধ্যমে তরুণ সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক কবিরা একত্রিত হতে পারছেন।অনেক গুরুত্বপূর্ণ এক্সেঞ্জ হচ্ছে।সাহিত্যমনে কবিমনে নতুন নতুন খোরাক মিলছে।এর মাধ্যমে ব্লগাররা উপকৃত হবেন। এমনকি দেশের সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে আশা করা যায়।কারন এ সমস্ত তরুণের মধ্য থেকেই বেড়িয়ে আসবে আগামী দিনের সাহিত্যিক।
ব্লগার সোনালী ডানার চিল
এখানে আঁধার থাকুক, এখানে অদ্ভুত রাতেরা ঘুমাক সারারাত
সংবিধানের শ্লোক মুখস্ত করুক ঘাড়ে গর্দানে চর্বি নিয়ে গনতন্ত্রের মোষ
সমতার অলিকতায় দেখো ভেসে যাবে বেন্টলী, মার্সিডিজ
আর আমার ভাই-এর প্রেতাত্মা শুধু একটা কালো কোটের অভাবে
প্রতিশোধের দারুন দূরত্বে শুধুই হিজলের ভূত হয়ে রবে!
ব্লগার আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়
ভয় ডর কখন ছেড়ে গেছে! শিরার মধ্যে কেবলি খেলা করে সমুদ্র প্রলয়।
যদ্দিন হারানোর শঙ্কা থাকে, তদ্দিন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সময়াবর্তন -
বহুকাল আগেই নগ্ন করে ছেড়ে গেছে নিশ্চিহ্ন উইপোকার হাট। পৃথিবীর
কাছে প্রার্থনার কিছু নেই আর; কেবলই প্রলয় ইচ্ছে, ব্রহ্মান্ডের স্তম্ভ নাড়িয়ে
দেয়ার লক্ষতম গোপন ইচ্ছে! অপূর্ণতারা কই থাকে, খোঁজ পাঠাবে পাগলা
হাওয়া।
রাজনীতি, তুমি চটুল প্রেমের গান। আমি বিষন্ন নাগরিক।
রাজনীতি, তুমি লুতুপুতু আলাপে ক্ষমতার হিসেব। আমার পকেটে ঘুমায় ঝিঁঝিঁ!
ব্লগার কাণ্ডারি অথর্ব
"উন্নত ভালোবাসার অঙ্গীকার প্রেমের ধারাবাহিকতার দরকার"
কিন্তু ছ্যাকা খাইলে প্রেমের মরা জলেও ডোবে.......
হে ফেবু, হে ব্লগ তোমরা লাইক অপশন রাখিয়া করিয়াছো মস্ত বড় ভুল,
কিছু পণ্ডিত নিজেরে রবী বাবু ভাবিয়া দিশেহারা হইয়া খুঁজিয়া পায়না কুল।
ব্লগার শীলা শিপা feeling অল্প অল্প কষ্ট কিন্তু বেশি বেশি শান্তি...
কিছু কিছু মানষের দুনিয়াতে আসাই হয়ত ঠিক না... যারা উচিৎ কথা জায়গা মত বলতে পারে না... আর সেটা ফ্যামিলির বা কাছের মানুষ হলে তো কথাই নাই... সহ্য করতেও পারবা না, কিছু বলতেও পারবা না... শুধু কষ্ট পাবা আর কষ্ট পেতেই থাকবা... তোমার যোগ্যতা ওইটুকুই!!
সবচেয়ে সহজ উপায়, নিজেকে নিজেই কষ্ট দেও... অন্য কষ্ট কমে যাবে... আর ওই মানুষ গুলা সত্যিই যদি তোমার কাছের হয় তারা তখন এমন কষ্ট পাবে যেটা তাদের দেয়া কষ্টের চেয়ে অনেক বেশি এবং অনেক দীর্ঘস্থায়ী...
কাল বাসায় সারাদিনের কিছু ঘটনা, দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম... এটা একটা নিজস্ব মতামত মূলক স্ট্যাটাস... কেউ এটা থেকে উৎসাহিত হওয়ার মত ভুল না করলেই ভাল হয়!!
ব্লগার আরজু পনি
যদি মেনে নিতে না পার তবে ছেড়ে আসো ।
আর যদি ছেড়ে আসার ক্ষমতা না থাকে তবে মেনে নাও ।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাই না ...
ব্লগার কুনোব্যাঙ
গরীব বাঙ্গালী হাজার হাজার টাকা খরচ কইরা আমেরিকা থেকে প্রকাশিত চকচকে পাতায় চকচকে মলাটের বই কিনা পড়াশুনার মতো সাধ্যি নাই তাই নীলক্ষেত ছিলো আমাগো পরম বন্ধু। হাজার হাজার টাকা খরচ কইরা সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম কিনার সাধ্যি নাই তাই আইডিবি এলিফেন্ট রোড এইগুলা ছিলো আমাগো আশির্বাদ স্বরূপ। আরে ধুর ফকিরনির পোলাইপানের শখ হইসে লেখাপড়া শিখতে প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানী হইতে। টেকা নাই তাগো আবার লেখাপড়া কি তাগো আবার কম্পিটার শিক্ষা কি। ব্লা ব্লা ব্লা। আর তাও মাইন্যা নিতাম মাগার এইসব ফকিরনির পোলাইপানরে সুবিধা দিলে কি হইব এইসব ফকিরনির পোলাইপানরা তো আমাগো সুবিধা দিতে চায়না। তাইলে এইসব ফকিরনির পোলাইপানের সার্থ দেখার কোন দরকার আছে। তার চাইতে টিকফা চুক্তি করি আর নির্বাচনের তফসিস ঘোষণা করি। গিভ এন্ড টেকের হিসাব ঠিক থাকুক। ফকিরনির পোলাইপানের সার্থ দেখতে গিয়া আমেরিকার মতো একটা সুপার জায়ান্টরে চ্যাতাইয়া আমার কি লাভ।
ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী
আগের দিনে গুরুজনরা কেন 'জাতের মেয়ে' খুঁজতেন এইটা এখন হাড্ডিতে হাড্ডিতে টের পাইতাছি।
ব্লগার মামুন রশিদ
কাবাবের হাড্ডি হইতে ভালো লাগে কারো ?
আজকে ফেনী থেকে সিলেটে আসার সময় সিঙ্গেল কেবিনে আমার সহযাত্রী ছিলেন এক নব দম্পতি । উনাদের মাঝে বসে থাকতে খুব উসখুস লাগছিল, কিছুক্ষন পর পরই কেবিন থেকে বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি । কিন্তু শরীরে জ্বর আর গলাব্যাথা থাকায় বাইরের বাতাসে বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না । রুমে আসার পরেই বধূ'র উপর মাথা রেখে রোমান্টিক স্টাইলে শুয়ে থাকা স্বামিটি তড়াক করে উঠে পড়ছিল । বিব্রত বোধ করে আবার বাইরে চলে যাই, ক্লান্ত হয়ে আবার কেবিনে ফিরে এসে বিব্রত হই । গার্ডকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কোন একটা বসার সীট দিতে পারবে কি না! সে অপারগতা জানায় ।
খুব খারাপ লেগেছে উনাদের জন্য, নিজেকে অপরাধী লাগছে । শুভকামনা ঐ নবদম্পতির জন্য, জীবনটা এভাবেই রোমান্সপূর্ণ হোক ।
ব্লগার কাল্পনিক ভালবাসা
মনে পড়ে একটা সময় আমার আর ঈশ্বরের একটি কমন খেলার উপকরন ছিল। 'জীবন' নামক সেই খেলার উপকরন নিয়ে ঈশ্বরকে আমি কখনই ছেড়ে কথা বলি নি। তাঁর সাথে তাল মিলিয়ে আমিও খেলেছি, লড়াই করে বজায় রেখেছি নিজের কর্তৃত্ব। একজন কর্তৃত্বহীন ঈশ্বরকে দেখে বড্ড মায়া লাগে। অথচ ঈশ্বরকে মায়া দেখানোর কোন সাহস কি আমাদের আছে? না! আমি সাহস করি নি, তবে তাঁকে স্বাধীনতা দিয়েছি। ঈশ্বর হয়ত একটি ছোট শিশু যিনি ‘জীবন’ খেলনা দিয়ে খেলতেই বেশি ভালোবাসেন। খেলো ঈশ্বর! তুমি নিশ্চিন্তে খেল। খেলতে খেলতে ব্যথা পেলে আমাকে বলো, আমি না হয় তোমাকে একটু খানি আদর করে দিব।
ব্লগার লুলু আম্মানসূরা
আজ বন্ধুদের সাথে চমৎকার একটা দিন কাটালাম। অনেক মজা হল, কথা হল, ঝগড়া হল............... কোন ভাবে সম্যকে থামিয়ে রাখতে পারলে আমি আজকের দিনটাকে নিজেকে আটকে রাখতাম!!
ব্লগার স্বপ্নবাজ অভি
কিছুই বদলায় না , শুধু একটা দেয়াল দাঁড়িয়ে থাকে ঠিক মাঝখানে ... সময়ের ব্যবধান টা ৭৪৩ দিন মাত্র !
ব্লগার বটবৃক্ষ
ঈয়েএএএএএএ!!!!!!!!!! আম হোওওওওওওম!!!!!!!! সুইট হোম!!!!!
১দিন আসিনাই অথচ মনে হচ্ছে কত্তোদিন পর বাসায় আসছি!!
টিংকুউউউউউউউউউ মাই বেইবি!!!!!
আমার জান একটা!!!!!!!!!!!!! দুইদিনে কত্তো বড় হয়ে গেসে!!!!হিহিহিহিহি!!
ব্লগার ইরফান বর্ষণ
"মাইয়াগুলার মাথায় আসলেই একটু সমস্যা আছে । না হলে বিলাইকে জড়ায়ে ধরে কেউ চুম খায় ?
আরে চুম খাবি ছেলেদের গালে চুম খা । বিলাইরে চুম খাওয়ার কি আছে
!!!! বিলাইকে চুম খাওয়ার জন্য মহিলা বিলাই তো আছে ।
ব্লগার মাহমুদ০০৭
কবি নজরুল খালি গাল খেতেন । এর থেকে , ওর থেকে । তবে পাত্তা দিতেন না ।
তিনি বলতেন - গালির গালিচায় আমি শাহানশাহ !
গালি বিষয়ক লেসন আজ এ পর্যন্তই । কাল ইনশাল্লাহ আবার নতুন গালি নিয়ে হাজির হব । ততক্ষণ পর্যন্ত আপ্নারা ভাল , সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন ।
ব্লগার অপর্ণা মম্ময়
আচ্ছা কয়েকমাস আগে বা সদ্য সেফ হওয়া ব্লগারদের কিছু অংশ এমন উদ্ভট মানসিকতা নিয়ে কেন ঘোরে বা ব্লগে সময় কাটায়, কারো কি আইডিয়া আছে ? যে সময় নিয়ে ফেসবুক থেকে অমুক তমুক ব্লগারের মন্তব্য নিয়ে, পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তারা একেক টা পোস্ট রেডি করে, দেখে মনে হয় - আহা কি কষ্টটাই না তারা করছে নিজেদের অন্যের কাছে পরিচিত হবার জন্য !!! এই সব তথ্য সংগ্রহ না করে তারা যদি কমপক্ষে ৫ জন ব্লগারের লেখাও পড়তো আর অন্যদের ব্লগ ভিজিট করতো তাহলে তারা এমনিতেই অন্য ব্লগারদের কাছে ধীরে ধীরে পরিচিত হয়ে যেতো। বারবার ব্যান খেয়ে নতুন নিক থেকে সেফ হবার জন্য এতো কষ্ট তাদের করতে হতো না !!!
( এগুলো শুধুই স্টাটাস।আশা করি সুপ্রিয় ব্লগাররা বিব্রত হবেন না। )
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫২