লিখছি, আবার ডিলিট করে দিচ্ছি। নিজের কতগুলো স্বপ্নের সাথে বাস্তব মিলাচ্ছি বসে বসে। লেখাটা আজও হয়ে উঠছে না। মেঘলা আকাশের বিসন্নতা গ্রাস করে ফেলেছে সব কিছু। আকাশের মন খারাপ, আকাশ তুই দুইদিন আগে কেন মন খারাপ করে কাঁদলি না? হয়তো কিছু মানুষ বেঁচে যেত তোর কান্নায়। সবারই একি অবস্থা নাকি? হয়তো তাই হবে।
বুঝতেছি না কি হচ্ছে ঢাকাতে। একটু পর পর একটা একটা করে নতুন খবর শুনতেছি। এখানে বাড়ি হেলে গেছে, ওখানে গ্যাস এর লাইন ফুটো হয়ে গেছে। এমন চলতে থাকলে কয়দিন পর খুনের খবর পড়ার মত করে খালি পড়ে যাব।যেন খুন হয়েছে, এটা তো এখন সাধারন ঘটনা।
এখন থাকি তিন তলায়। আগুন লাগলে পালাবো কোনখান দিয়ে, বিল্ডীং ভেঙ্গে গেলে কি করবো এইসব এর উপরেই চিন্তা ভাবনা ভয়ানক ব্যস্ত। সামনে যে আমার সেমিস্টার ফাইনাল পরিক্ষা সেটার খবর আর থাকে না মাথায়। কয়দিন পরে গিয়ে উঠবো তেরতলা এক ফ্লাটে। ভুমিকম্প হলে কি হবে? জানালা দিয়ে তের তলার উপর থেকে লাফ দিব। তখন মরার আগে একটা স্বপ্ন পুরন হবে। মরার আগে অন্তত উড়ে মরতে পারবো। তবে উড়ার স্বপ্ন দেখার সময় সাথে ইট সিমেন্ট এর টুকরা নিয়ে উড়তে দেখিনি। তবে সেটাও এডজাস্ট করে নিব। আমরা এডজাস্ট করতে পারি না এমন কিছু আছে নাকি আবার। খালি কষ্ট একটাই। শালার মরার টাইমেও এডজাস্ট।
নাকি ভুমিকম্পে বাড়িটাই ধসে পরবে। তখন আর আমার উড়ার স্বপ্ন পুরন হবে না। তখন পুরন হবে পাহাড়ি গুহায় যাওয়ার স্বপ্ন। অন্ধকারে আলোর একটা মশাল নিয়ে হেটে যাওয়া। অজানা একটা আশংকা, সামনে কি? এই সপ্নেও দেখি সমস্যা। ধসে পরা বাড়িতে আমিতো হয় আটকে থাকবো, আলো তো দুরের কথা। আর নাহয় মরে পরেই থাকবো। নাহ এই স্বপ্নটাও পুরন হবে না দেখছি।
স্বপ্নের সাথে বাস্তবের মিলানোর কি দরকার। বাদ দেই বাস্তবের সাথে মিলানো। এর চেয়ে ভাল জেগে জেগে অবাস্তব স্বপ্নই দেখি।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




