দুইদিন ধইরা ভাবতাছি একখান পুস্ট দি।যাইহোক বয়স হইচে তো মাতায় কিচু আসে না।আমি একটা পুলার কতা কই তার থিকা বরং।
উ পুলাডার নাম পুলা।পুলাডা জন্মাইছে ইস্টিশানে।মার সাতে থাকে।দিনের বেলা বইয়া থাকে আর রাততিরে নুংরা কাতাকুতায় শোয়।তো মাঝেমধ্যি বাপরে পায় কিসুদিনের জন্যি।পায় মানে মা কয় “হেইডা তোর বাপ”।
এইরম চার পাচডা বাপ চেঞ্জ হইয়া গেছে উর পাচ বছরের জীবনে।বেশীর ভাগ বাপগুলান হারামী ছেলো।পুলা বাপ কইয়া ডাকলে বাপগুলান চেইত্যা যাইত।কেউ কেউ “চুয়ারের বাচ্চা” কইয়া গালিও মারত। অবিশ্যি শেষ বাপডা মোটের উপর ভালা ছিলো।পুলা কইত উরে।
“হেই পুলা একটা’র বিড়ী লইয়া আয়”।
“হেই পুলা আটানা নে,লজেন খাইস”।
তো মায়ে তো কাগজ কুড়াইতো।একদিন রাততিরে কুড়ানো কাগজ বেইচা বুইচা আইস্যা বাপের সাথে ফুসুর ফুসুর করা শুরু করল। করতেই আচে , করতেই আচে।পুলাডা কতা শুনে আর টেরেনের হুইছাল শোনে। শুনতা শুনতা পড়ছে ঘুমাইয়া।
সকালে উইঠা দ্যাহে কেউ নাই,দুপুরে ও নাই। ক্ষুদা পাইসে জোর।রাতেও আহে না।পুলা কানতে কানতে ক্ষুদা লইয়া ঘুমায় পড়ে।
ইস্টিশানের লুকেদের অত টাইম নাই দেকার।জীবনের গতি তো থামে না।
যাইহোক আবার সকাল হয় , গায়ে রোদ লাগে,পুলার ঘুম ভাইংগা যায়।আবার ক্ষুদা লাগে।
তারপর এমন ক্ষুদা পাইছে যে ইস্টিশানের এক দুকান থেইক্যা একখান রুটি উঠায় মারছে দোড়।
আর যায় কোথা কয়কশো নচিকেতা দাড়ি চুলক্যায়া গাইয়া ওঠে” চোর চোর চ্চোর.........”
চারপাচ জনে ধইরা তক্তার মতো চাইপা পেরেক মারা পেন্দানি লাগাইসে।লুকেরাও মজা দেহার লাগে জমা হইতে থাহে। সাধারন মানুষ,বুদ্ধিজীবি,প্রগতিশীল,বিপ্লবী,আর্টিস আরো কেডা কেডা যেনো।
কেউ কয়” বাপ মা নাই বুদায়।”
আর একজন কয় “এইডাই সমুস্যা এহন । ভাইরাসের মত বাড়তাসে”।
আর একজন কয় “কি আর হইব এহন চুর পরে ডায়াত হইব।”
কেউ আবার কয় উপরয়ালা দিছে।উর কি দুষ”।
একজন আবার পুলার হাত ধইরা চ্যাচায় ওঠে “ এ লড়াই বাচার লড়াই। গরমেন্ট করে কি?।দুনিয়ার ভবঘুরে এক হও।ইন কিলাব জিন্দাবাদ।”
পুলা তো কিচু বুঝে না। ফ্যালফ্যালাইয়া চায় খালি। তারপরে এট্টু ফাকা পাইয়া মারে দোড়। দৌড়াইতে দৌড়াইতে হটাত গান হইয়া যায়। সুর হইয়া যায়............অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন।শধু জীবনের কথা বলাই জীবন।জীবন প্রসব করে চলাই জীবন......
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



