ঢাবি'র লাইব্রেরি : বিরল পান্ডুলিপি ও ৬ লাখ বই
১৯২১ সালের ১ জুলাই ঢাকা কলেজ লাইব্রেরি ও ল' কলেজ লাইব্রেরি থেকে পাওয়া ১৮ হাজার বই নিয়ে দেশের এই সেরা লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ২০০৭-০৮ সালের বার্ষিক বিবরণী অনুযায়ী বর্তমানে লাইব্রেরিতে রয়েছে ৬ লাখ ২১ হাজার বই ও সাময়িকী। এছাড়া ৩০ হাজারেরও বেশি বিরল পাণ্ডুলিপি ও মাইক্রোফিল্ম-এর সংগ্রহ রয়েছে এখানে। দিনের পর দিন গুণী ও মনীষীদের ব্যক্তিগত দানে এর সংগ্রহ আরো বৈচিত্র্যময় ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হচ্ছে।
১৯৮২ সালের মার্চে গ্রন্থাগারের নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ার পর কার্জন হল ক্যাম্পাসের নিকটে বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের উত্তর-পূর্ব কোণে বিজ্ঞান গ্রন্থাগার সরিয়ে নেয়া হয়। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম তিনটি পৃথক ভবন থেকে পরিচালিত হয়। গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক ভবনে রয়েছে প্রশাসন, পুস্তক সংগ্রহ, পুস্তক প্রেসিং রিপ্রোগ্রাফী, বাঁধাই, পাণ্ডুলিপি ও সেমিনার শাখা। আর মূল ভবনের নিচতলায় রয়েছে সার্কুলেশন কাউন্টার, রেফারেন্স কক্ষ, বাঁধাইকৃত সাময়িকী, দৈনিক পত্র-পত্রিকা, দুষ্প্রাপ্য পাঠকক্ষ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মেলা, আমেরিকান স্টাডিজ কর্ণার ও জাতিসংঘ প্রকাশনা সংগ্রহ শাখা।
এছাড়া শিক্ষক-গবেষণা ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কম্পিউটারের মাধ্যমে বই কল নম্বর সংগ্রহ, ইন্টারনেট ও অন-লাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের ব্যবস্থা রেফারেন্স শাখায় রয়েছে। এ ভবনের নিচতলায় কারেন্ট জার্নালসমূহ ডিসপ্লেসহ শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাময়িকীর ব্যবস্থা আছে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির অপর পাশে বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ভবনে রয়েছে সার্কুলেশন ডেস্কসহ শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাঠকক্ষ, ফটোকপি সুবিধা, রেফারেন্স, কারেন্ট জার্নাল পঠকক্ষ এবং সেমিনার শাখা।
আরো রয়েছে গ্রন্থাগার সফটঅয়্যার, ২৭টি কম্পিউটার নিয়ে একটি অত্যাধুনিক সাইবার সেন্টার, ডিজিটাল বরোয়ার্স আই-ডি কার্ড যাতে এ পর্যন্ত ১৫৬৫ জনকে আইডি-কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও প্রথমবারের মত লাইব্রেরিতে সংযোজন করা হয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পাঠ কক্ষ। লাইব্রেরিতে অফিসার-কর্মচারী মিলে প্রায় ২১৪ জন দায়িত্ব পালন করছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



