একটু আগে খবরের একটা প্রতিবেদন নজর কাড়লো, পর্যটন শিল্পে ক্ষতি সামলাতে না পেরে অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুঁটিয়ে নিচ্ছেন। ট্যুরিজমের স্টুডেন্ট হওয়াতে মনে হয় খবরটা বেশী গায়ে লাগলো। আমরা ট্যুরিজম নিয়ে পড়ছি, ভবিষ্যতে কিভাবে এর উন্নয়ন সাধন করা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনেই আমাদের দেশের ট্যুরিজমের ব্যপ্তি ও ব্যবস্থা হতাশা ব্যঞ্জক, তার মধ্যে এই খবর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ আনবে, এতে কতটুকু বিদ্যুৎ আসবে জানি না, তবে এটা নিশ্চিত বলতে পারি যে সেই বিদ্যুৎ কখনো দেশের কোন মঙ্গল বয়ে আনবে না। আমাদের দেশে সবচাইতে বড় সমুদ্র সৈকত, আমি সাইন্সের ছাত্র না, যাদের এ ব্যাপারে ধারণা আছে তারা আরও পরিষ্কার করবেন, সেটা হচ্ছে এতো বড় সমুদ্র সৈকত থাকার পরও আমরা কেন এখনো উইন্ড টারবাইন ব্যবহার করছি না!!! শুনেছিলাম আমাদের সী প্লেটে নাকি কি একটা জিনিষ আছে যেটা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, প্রশ্ন হচ্ছে সেটা না করে কেন পরিবেশ বিধ্বংসী নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করতে আগ্রহী সবাই??
গতকালকে আমাদের দেশের ইন্টারনেট নিয়ে খবরটা পড়লাম। যেখানে আমরা সাধারণ নাগরিকরা ঠিক মত ব্যবহার করতে পারি না, যাও পারি তা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে অনেক অনেক বেশী খরচ সাপেক্ষ। এর মধ্যে শুনলাম ১০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ আমাদের চরম বন্ধু ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে দিয়ে দেয়া হচ্ছে। আর কি কি দেয়া যায় তাদের সেটাই ভাবছি...... VOIP অপব্যবহার বেড়ে যাওয়ার আশংকায় ইন্টারনেট স্পিড কমিয়ে রাখাটা কেন জানি মনে হয় মাথা ব্যাথার ভয়ে মাথা কেটে ফেলার মত। আর ভারতের সাথে এই লাইন ভাগাভাগি হবার কারনে তারা এর উপর পূর্ণ হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, চাইলে নজরদারিও করতে পারবে যে কোন সময়ে।
রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রায়। কেন জানি আজ মনে হচ্ছে আদমজী জুটমিলস হয়তো এই একই কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণটি বের করতে কারো P.H.D করতে হবে বলে মনে হয় না, আমাদের দেশের ক্ষতিতে কাদের লাভ হচ্ছে সেটা বিশ্লেষণ করলেই বুঝা যায়। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা আরও করুন। যুগ যুগ ধরে সেই একই বস্তাপচা কাহিনী একই মানুষ দিয়ে চিত্রায়িত করে দেখানো হচ্ছে। সিনেমা দেখতে যারা ভালোবাসেন, তারা এখন অন্য দেশী সিনেমার উপর নির্ভরশীল। গত কয়েক বছরে দেশের বিখ্যাত প্রেক্ষাগৃহগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু খাঁটি দেশপ্রেমিক আছেন এখনো, যাদের কারনে এখনো কিছু ভালো সিনেমা তৈরি হয়, কিছু মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যায়।
নিজের দেশের পণ্য ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে দেখি না কাউকে। এক দিক থেকে চিন্তা করলে দেখা যায় আমাদের দেশের শহরের মানুষগুলোর চাইতে গামের মানুষগুলো বেশী অবদান রাখে দেশী পন্যের প্রতি। মানুষগুলো খাঁটি বাংলাদেশী হয়েও কেন জানি সেটা নিয়ে গর্ববোধ করতে পারি না।
কষ্ট লাগে, আমাদের গন জাগরণ এই সব বিষয়ে হয় না। আমরা সবাই এই সব বিষয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখি আর আশা করি ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখবো সব ঠিক হয়ে গেছে। দেশের বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে আফসোস হয়, এরা এদের বুদ্ধি কার স্বার্থে কাজে লাগায়?? কার কাছে, কত দামে এদের মাথা বিক্রি করে দিয়েছে, মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করে......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




