somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায় !!বাংলাদেশ....হায় !! সুন্দরবন....আর আমরা!!:(

০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা তিক্ত সত্য আর একটা সহজ স্বীকারক্তির মন খারাপের গল্প বলছি।
ব্লগে অনেকদিন বসা হয়না, আজ হঠাৎই একটা ঘটনায় কিছুটা অস্থিরতা জাগানো অনুভূতি নিয়ে লিখছি। চিকিৎসক পেশার কারনেই আমাকে ভিন্ন ভিন্ন পেশা আর শ্রেণীর মানুষের কাছাকাছি আসতে হয়। আজ আমার এক রোগীর গল্প বলছি....

নাম: মো: আব্দুস সালাম
বাড়ী: বরগুনা, পাথরঘাটা, চুনুরিয়া গ্রাম।
পেশা: চোরাই কাঠের ব্যবসা (সুন্দরবনের সুন্দরী কাঠ)
কর্মক্ষেত্র সম্মন্ধে তার এই নির্বিকার স্বীকারক্তিতে কিছুটা বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। এই কাজের আইনগত বাধার ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করায় তার সহজ উত্তর ছিলো,"এইডাতো বাপ-দাদার পেশা আর আইনের লোকেরাই কয়েক বান্ডিল টাকা নিয়া এইডা করতে দ্যায়।"

আব্দুস সালামের কর্মজীবন একজন সাধারন গাছ কাটার কর্মী হিসেব শুরু হলেও এখন সে নিজেই একটা চোরাই কাঠের ব্যবসার দল পরিচালনা করে। প্রতিমাসে সুন্দরবনের আঞ্চলিক বনকর্মকর্তার কাছে সে পৌছে দেয় পাঁচশত টাকার নোটের চারটা বান্ডিল (২ লক্ষ টাকা) যার বিনিময়ে তার দলকে সংশ্লিষ্ট ফরেষ্ট রেঞ্জে দেয়া হয় দশ দিনের গাছ কাটার অনুমতিপত্র(?)। এমনকি বনবিভাগের অফিস থেকেই প্রতি দলকে একটা করে ওয়ারলেস সেটও দেয়া হয়, হঠাৎ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোন লোকদেখানো সারপ্রাইজ ভিজিটের ব্যাপারে সাবধান করার জন্য। প্রতিমাসেই তার দল প্রায় ৫০০-৬০০ গাছ কেটে আনে। আর আমাদের মহান বনকর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনীর ছত্রছায়ায় এবং মহান কালো সাংবাদিকতার আড়ালে তা বিক্রিও হয়ে যায় বিনাবাধায়। প্রতিমাসে বনবিভাগ, পুলিশ এবং স্থানীয় সংবাদপত্র প্রতিবেদককে খুশি করতে তার খরচ হয় প্রায় দশ লক্ষ টাকা, তারপরও লাভ থেকে যায় ১৫-২০ লক্ষ টাকা।
এমন শত শত আব্দুস সালাম প্রতিদিনই এভাবে বন উজার করেই চলেছে। আর তারই সুযোগ নিয়ে আমাদের সমাজ রক্ষার দায়িত্বে থাকা কিছু মানুষ ঘুমায় টাকার বালিশ আর টাকার বিছানায় ।

হয়তো এভাবেই একদিন পৃথিবীর সপ্ত প্রাকৃতিক আশ্চর্যের একটা শেষ হয়ে যাবে। আমরা নিজেরাই পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বলেই হয়তো.....:(
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:২৯
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×