আমাদের সুন্দর বন আমাদের অহংকার । এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। অথচ সামু এত কিছু করে ,কত জনের সাহায্যের আবেদনের জন্য স্টিকি পোষ্ট রাখে আর সুন্দর বন ধ্বংস হলে হলে হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন পড়বে সেটা সামু কর্তৃপক্ষ দেখছেনা। তাহলে তারা একের বাঁচাতে বিশ্বাসী আর অনেকের ক্ষতিতে খুশী ? সুন্দর বন কে উজার করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে তাতে পরিবেশ আর সাথে আমাদের কর্মজীবী মানুষ দের চরম ক্ষতি হবে ।যেটা কেউই এর ক্ষতিপুরন দিতে পারবেনা। আবার পৃথিবীর বুকে আমাদের যে এই রকম একটা বন আছে সেটার মর্যাদা তো হারাবেই ।সামুতে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্লগার রা ব্লগিং করনে। আমি চাই এত বড় ধ্বংসাত্বক এক্তা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ব্লগার রা সহ অন্যান্য যারা পাঠক এখানে তারাও ফেসবুকে তাদের মতামত এর বিরুদ্ধে তুলে ধরুক । যখন কর্তৃপক্ষ দেখবে এত এত অনলাইন এক্টিভিস্ট রা এই রামপালের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে , তখন হয়তো তারা এই পদক্ষেপ নিতে আর চাইবেনা। আর মানবেনা কেন আমাদের কথা- এই ব্লগার দের কথা আওয়াজের কারনে আজ যুদ্ধাপরাধীর বিচার ত্বরান্বিত হয়েছে তাহলে এত বড় ইস্যুতে সরকার এই অনলাইন এক্টিভিস্ট দের মতামতের গুরুত্ব কেন দেবেনা ?
তাহলে কি সরকারের যে যে কাজে সমর্থন দরকার সেই সেই কাজের এক্টিভিস্ট দের মতামতের গুরুত্ব দেয়া হবে , আর তাদের বিরুদ্ধে যেটা যাবে আর দেশের পক্ষে যেটা থাকবে সেটা তে এই ব্লগার দের মতামত এর কোন গুরুত্ব নাই। কি দেশে বসবাস করি , যে দেশে সুন্দর বনের গুরুত্ব নাই সরকারের কাছে, আর সামু র কাছেও তাই ।
সামু যে সুবিধাভোগী ব্লগিং করছে সেটার প্রমান এই রামপালের বিরুদ্ধে কোন পোষ্ট কে স্টিকি না করা । আমরা চাই, সামু দেশের স্বার্থে কাজ করুক, তাতে করে সামুর কোন ক্ষতি হবেনা । কিন্তু এইরকম পক্ষপাতিত্ব কাজ করলে তাতে সামুর বদনাম তো হবেই তাতে করে এই ব্লগ কে আর কেউ সামাজিক উপকার এর জন্য কিছু আর মনে করবেনা। যে জিনিস দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করবেনা সেই সামাজিক সাইট থাকা না থাকা একই কথা ।