শিক্ষিত বাবা-মায়ের অশিক্ষিত কর্মকান্ড! সেই বাবা-মায়ের অনার্স- মাস্টার্স, পাশাপাশি আরও কি কি যেন ডিগ্রী আছে। সরকারী চাকুরেও আবার। কিন্তু তাদের ১১ বছরের ছেলের সাথে তিনি যখন তারা আচরণ করেন তখন মনে হয় গন্ড মূর্খের থেকেও অধম কিছু। তারা সেই ছেলের সকল আবদার পূর্ণ করেন,আবার কখনও না চাইতেও হাজির করেন বহু কিছু। সেই শিক্ষিত মা- বাবার ছেলের দাঁত দেখলে মনে হয় সে কয়েকদিন ধরে দাঁত মাজেনা, প্রতিদিন প্রাইভেট টিউটর এসে ঘন্টা দুই বসে থেকে চলে যায়,বাসায় সবাইকে হর হামেশা লাথি গুতা মারামারি করতেই থাকে,লেখাপড়া না করার কারনে খাতায় নাকি হাজারো লালকালি কিন্তু বারংবার বিভিন্ন সুপারিশে ক্লাসে রাখা হয় ( এখনও ক্লাস থ্রিতে পড়ে,অবশ্য সবসময় সম্ভব হবেনা রাখা),পাকা বেয়াদব,কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলে( যা বলে তাই মিথ্যে) যা তার বাবা-মায়ের সাথেও সবসময় করে থাকে, পাকা অভিনেতাও বটে কারন মিথ্যে বলে সর্বদা ।
কিন্তু তাদের বাবা-মা তার এই সকল বেয়াদবি আচরণ দেখেও না দেখার ভান করে।ময়লা দাঁত নিয়ে হর হামেশা পিজা খেতে নিয়ে যায়।লেখাপড়া করেনা তাই তারা বলে -তাদের কোন শত্রুপক্ষ জাদু-টোনা করে তার এই গুণধর ছেলের লেখাপড়ার গুণাগুণ অঙ্কুরেই বিনষ্ট করেছে।আরও নানান রকম কুকীর্তিকে তারা প্রশ্রয় দিচ্ছে।
কিন্তু আমি দু একজন কে ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছি যে- এই ছেলে কয়েকদিন পর বখাটে হবে তারপর পারিবারিক সন্ত্রাসী হয়ে যাবে , যে সন্ত্রাসী আগে তার বাবা-মাকে এটাক করবে( সে এখনি রাগ করে বটি-চাকু নিয়ে মারতে যায়) আর এই সব সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত বাবা-মা ই স্বচ্ছল পরিবার থেকে বিশ্বকে সন্ত্রাসী উপহার দেয়।কিন্তু কিছুই করার নেই আশে পাশের লোকজনদের। কারন গণতন্ত্র হইল যেমন ইচ্ছে তেমন করার।
অথচ এই ছেলেটাকে ঠিক করা সময়ের ব্যাপার। বলতে গেলে কয়েক মিনিটের ব্যাপার। কষে দু একটা চড়- থাপ্পড় আর দু একদিন লাঠি পেটা করলেই সে সাইজ হয়ে যায়।কিন্তু তারা এই বেয়াদব শিশু সন্তানটিকে এভাবে শাসন করতে নারাজ , তাতে নাকি ছেলেমেয়ে বিগড়ে যাবে।তখন আমাদের সবার বুঝতে অসুবিধা হয় - শাসন জিনিসটা তাহলে কি জন্য?
আমরা খালি তাদের তামাশা দেখছি। ছেলেটাকে মাঠে ঘাটে দেখলেই অবশ্য মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে দু একটা কষিয়ে চড় থাপ্পড় দিয়ে এটাকে রাস্তায় নিয়ে আসি।
অন্যায়-অবিচার-অপশাসন যেমন দেখলে মন-প্রান প্রতিবাদী হয়ে ওঠে তেমনি এমন অকারন আদরযত্ন আর আদিখ্যেতা দেখতেও বিরক্ত লাগে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪