আমরা নানা ধরনের প্রতারনার কথা শুনে থাকি। এর মধ্য বর্তমানে বেশীর ভাগই শিক্ষিত লোক জনের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কিছু দিন আগে এই রকম চমকে যাওয়ার মত একটি ঘটনা শুনলাম। আমরা বাড়ীর ছাদে বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানীর টাওয়ার প্রায়শ-ই দেখে থাকি। বাড়ীওয়ারা নিজেদের বাড়ীর ছাদ মোবাইল কোম্পানীর কাছে ভাড়াদেয়ার জন্য অনেকই আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে। কারন ছাদের ভাড়াটা খুব একটা কম না। জ্ঞানী প্রতারকেরা এটিকেই এবার প্রতারনার কৌশল হিসাবে বেছে নিয়েছে। প্রথমে প্রতারকদের দল নিজেদের মোবাইল ফোন কোম্পানীর লোক বলে পরিচয় দেয় এবং তারা ছাদ ভাড়া নেয়ার জন্য এসেছে বাড়ীর মালিকের সাথে কথা বলতে চায়। যাতে কোন রকম সন্দেহ না হয় তার জন্য তারা হুবুহু নকল আইডি কার্ড গলায় পরিহিত অবস্থায়ই আসে। কথা বার্তায় কোন রকম সন্দেহ হবার সুযোগই নেই। তারা খুব স্মার্ট, ইংরেজী বাংলা মিশিয়ে আধুনিক ভাবে কথা বলতে পারে। অনেক সময় তাদের সাথে সুন্দরী শিক্ষিত নারী কর্মীও থাকে।
প্রতারনার কৌশলটাও অসাধারন। প্রথমে তারা বাড়ীর ছাদ পর্যবেক্ষন করতে চায়। পর্যবেক্ষন শেষে বাড়ীর ছাদ তাদের পছন্দ হয়েছে এবং কোম্পানী ছাদ ভাড়া নিতে রাজী, ভাড়া নিয়েও তাদের কোন সমস্যা নেই, কিন্তু একটা সমস্যা আছে তাহলো তাদের টাওয়ার স্হাপনের জন্য আরো কিছু সুযোগ সুবিধা বাড়াতে হবে। যেমন পাওয়ার সাপ্লাই আরো হেভী হতে হবে, আর্থিং আরো ভাল হতে হবে, তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আলাদা রুম দিতে হবে, এই রকম আরো অনেক কিছু। এর জন্য তারা একটা বাজেট পেশ করে এবং বাড়ীওয়ালাকে প্রস্তাব দেয় যেহেতু এই সব আনুসাঙ্গিক কাজ করতে প্রায় এক লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে কিছু বেশী খরচ হবে তাই এর অর্ধেক মোবাইল ফোন কোম্পানী আর অর্ধেক বাড়ীওয়ালাকে বহন করতে হবে। বাড়ীওয়ালা রাজী থাকলে তারা প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তৈরী করতে পারে। ভাড়া হিসাবে মাসিক মোটা অংকের টাকার লোভে অনেক বাড়ীওয়ালা অন্ধ হয়ে কোন খোঁজখবর না নিয়ে তাদের কথায় রাজী হয়ে যায় এবং একেবারে প্রায় অরিজিনাল সব কাগজে চুক্তি সম্পাদন করে। এরপর তাদের কথা মত বাড়ী সংস্কার বাবদ মোটা অংকের টাকা প্রদান করে। চুক্তি সম্পাদন এবং টাকা গ্রহনের পর তাদের আর কোন হদিস থাকে না। এভাবে অনেকদিন পার হবার পর বাড়ীওয়ালা বুঝতে পারেন উনি প্রতারনার ফাদে পা দিয়েছেন।
শোনা যায় অনেক মোবাইল ফোন কোম্পানীর কর্মকর্তারাও এই সব প্রতারক চক্রের সাথে জরিত। যদি তাই হয় তাহলে বাড়ীওয়ালাদের অনেকের পক্ষেই কোনটা ঠিক আর কোনটা প্রতারনা সেটা বুঝা কঠিন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
আজ এ পর্যন্তই, ভবিষ্যতে আমার জানা আরো অনেক নতুন তথ্য আপনাদের জানাব আশাকরি।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।