শৈশব থেকেই একটু বাউন্ডেলে ছিলাম বলা যায়। সবকিছুতেই ছিল উদাসীনতা। খুব মেধাবী ছাত্র ছিলাম তেমনও নয়। সারা দিন পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বেড়ানো, মাঠে জমির আইলে আইলে ঘন্টার পর ঘন্টা হেটেই কাটতো বিকাল । বর্ষার বিকেলে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়াতাম নদীর বুকে।
এই বাউন্ডেলে স্বভাবের কারনে অনেক কিছুই হজম করতে হয়েতো আমাকে। তবে যে কারো কাছে প্রশ্রয় পায়নি এমনও নয়। বড় ভাইয়েরা কিছু বললে আমি হজম করলেও হজম করতোনা আমার বড় বোন।তাঁর কাছে আমার সাত খুন মাফ। পাড়াবেড়ানো, ঝগড়াটুকানো শত অভিযোগ, বাবার কড়া কথা সব মুছে ফেলতাম মায়ের আঁচলে। এতো ভালোবাসা যার মজুত আছে সেকি বাউন্ডেলে না হয়ে পারে???
এই বাউন্ডেলে কৈশোরে নিত্য সহচর ছিলো অনেকেই তবে যাদের কথা না বললেই নয় তাদের মধ্যে নুরে আলম এবং কামাল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। খাওয়া আর ঘুম বাদে দিনের বাকি সময়টা একত্রেই কাটতো বলা যায়। খেলাধুলায় যে আসক্তি ছিলোনা এমন না। লাঠিম, ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও সিগারেটের খালি প্যাকেট দিয়ে তাস বানিয়ে খেলতাম ইনসু ( আঞ্চলিক নাম )। তবে চরম সত্য হলো ___ অন্যকোন টিমের সাথে ক্রিকেট/ফুটবল খেলা থাকলে মাঠে নামার সুযোগ আমার কমই হয়েছে যেমনটা হয় এখনো।তাতে আমি কিছুই মনে করিনা। তবে চবিতে ভর্তির পর থেকে আগের মতো আর মাঠে হেটে বেড়ানো হয়না। বাড়িতে এসে এপাড়া ওপাড়া ঘুরে বেড়াই তবে আগের মতো নয়। কৈশোরটাকে চরমভাবে মিস করি.....।আজ আবার সেই সুযোগটা হয়েছে ঘুরে বেড়ানোর। কৈশোরটাকে খুব মনে পড়ছে, ফিরে পেতে ইচ্ছে করছে আমার সেই হারানো শৈশব-কৈশোর।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




