somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অফিস পলিটিক্স থেকে কিভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন?

১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অফিস বা কর্মক্ষেত্রে কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের মধ্যে পলিটিক্সের কথা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানি। দৃশ্যত, মনে হতে পারে এ অফিস পলিটিক্সের কারনে অনেকে চাকুরিতে সুবিধাজনক পযায়ে পৌছে যায়। আবার অনেকে অন্যের পলিটিক্সের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ পলিটিক্সের কারনে অনেকের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, সাথে সাথে প্রতিষ্ঠানেরও এতে ক্ষতির পরিমান কম নয়।
তাই অফিস পলিটিক্স থেকে নিজেকে দূরে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এর থেকে দুরে থাকা এত সহজ না। তাই ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত আপনাকে এর সাথে নিজেকে জড়াতে হচ্ছে।
অফিস পলিটিক্সে জড়ালেও সেটি যেন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিত্বের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যায় সেই প্রচেষ্টা করতে হবে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মধ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগীতার পরিবেশ তৈরি করে এর সুফল লাভ করতে হবে।



অফিস পলিটিক্স থেকে নিজেকে সুরক্ষার উপায়:
১) কারও সাথে অপ্রয়োজনীয় দ্বন্দ্ব ও সংঘাত থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ছোট একটা মনোমালিণ্য হয়তো আপনার কর্ম পরিবেশে স্থায়ী শত্রু তৈরি করে দিবে, যে আপনার অগোচরেই হয়ত ভুল ধরার কাজে সব সময় নিয়োজিত হয়ে যাবে।
২) আপনার কলিগের কাজে নাক না গলিয়ে নিজের কাজে মনোযোগ দিন। সে ফাকি দিচ্ছে, সেটার তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বুঝবে। আপনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করাতো দুরের কথা, সেটা নিয়ে ভাবারও দরকার নাই।
৩) কারও কারও অভ্যাস থাকে অন্যের কাজের ভুল খোজা। সেই খুজে পাওয়া ভুল ধরে সেই ব্যক্তিকে বলে হিরো হতে চায় কিংবা অন্য কলিগদের সাথে আড্ডাতে ভুল নিয়ে আলোচনা করে নিজেকে বড় প্রমান করতে চায়। কিন্তু এ দুটি কাজই পলিটিক্স করার জন্য একটা নতুন শত্রু গ্রপ তৈরি করে দেয়।
৪) নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকা, এবং নিজের কাজে সততা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে নিজেকে অফিস পলিটিক্স থেকে মুক্ত রাখতে পারেন। কাজ দিয়েই নিজেকে প্রমান করে অফিসের বড় কর্তাদের কাছে যোগ্যতার তালিকাতে ঢুকতে হয়।
৫) অন্যের খারাপ দেখে কিংবা বড় কর্তাদের কোন সিদ্ধান্তে কিংবা কাজে অপ্রয়োজনীয় কোন প্রতিক্রিয়া দেখালেই বিপদ। আপনার চোখে কাজটি ভুল হলেও প্রতিক্রিয়া দেখাতে যতটা সম্ভব নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করুন। কিংবা যদি বলাটা জরুরী মনে করেন, তাহলে কর্পোরেট কার্লচার মেনেই ভদ্রতার সাথে বিষয়টি নজরে আনতে পারেন, কিন্তু তর্ক করা যাবেনা।
৬) অফিসে অন্যের ব্যক্তিগত কোন সমস্যাতে নিজেকে যুক্ত করবেন না, এমনকি মতামতও দিবেন না। অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করবেন না। তাতেই পলিটিক্স অনেকটুকু অ্যাড়াতে পারবেন।
৭) অনেকেরই বদ অভ্যাস রয়েছে, অফিসের অন্যের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর। নিজের মধ্যে এ গুণ থাকলে সেটি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এ ধরনের বদ অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের সংগ যতটা সম্ভব অ্যাড়িয়ে চলার চেস্টা করুন।
৮) বাসার পরিবেশের মতও অফিসেও নিজের মেজাজ দেখালে আপনার বিরুদ্ধে পলিটিক্স গ্রপ তৈরি হয়ে যাবে। তাই সব সময় নিজের মেজাজকে নিয়ন্ত্রনে রাখবেন। বস কিংবা কলিগ কিংবা অধীনস্থ কর্মচারী কারও বিরুদ্ধেই মেজাজ গরম আচরণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৯) যে অফিসে চাকুরি করছেন, সেই জায়গাতে নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই লক্ষ্য পূরণে নিজের সর্বোচ্চ মনোযোগ দিন ও একাগ্রতা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনার লক্ষ্য পূরনে সফল হলে অফিসে ভাল একটি পজিশন অর্জন করতে পারবেন।
১০) নিজের কাজকে, কাজের পরিবেশকে উপভোগ করুন। নিজের সব কলিগদেরকে ভালবাসুন। কাজকে ভালবাসলেই কাজে মনোযোগী হতে পারবেন, কাজে ডেডিকেশন বাড়বে। সব অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই কাজে ডেডিকেটেড কর্মকর্তাকে সবচাইতে বেশি ভালবাসে।
অনেকেই অফিসে নিজের অবস্থান ভাল করার জন্য সচেতনভাবে অন্যের বিরুদ্ধে পলিটিক্স করে। সচেতনভাবে হোক কিংবা অসেচতনভাবেই হোক কারও বিরুদ্ধেই পলিটিক্স করা যাবেনা, কারণ মাথাতে রাখতে হবে নোংরা পলিটিক্স করে বড় হওয়া যাবেনা। নিজের পলিটিক্সের জালে নিজেকেই জড়াতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×