আমার সর্ব শেষ দেয়া পোষ্টটি (আমার ব্লগে প্রকাশিত)পড়ে এবং আমাদের এখানকার অনেকের পোষ্ট পড়ে তাছাড়া এর বাইরেও কিছু মানুষের মতামত পড়ে আমার ঘনিষ্ট এক দাদার চিন্তার প্রেক্ষতেই এই পোষ্টের অবতারনা।
দাদার কথা হলো আমাদের চিন্তাগুলা কি সত্যিভাবে স্থির হয়ে এগুচ্ছে ? খালি এদিক ওদিক করছে কি না। আবার কিছু স্পর্শ কাতর ইস্যু দামাচাপা পড়ে যাচ্ছে নাতো?
বিডিআর এর কিছু সংখ্যক জোয়ান দ্বারা সংঘটিত ঘটে যাওয়া ভয়াবহ রক্তপাতের ঘটনাকে নানা পথ মতের মানুষ নানা ডাইমেনশনে ভাবলেও একটা ব্যাপার অনেকটা নিশ্চিত হয়া গেছে যে উক্ত ঘটনাটি স্বাভাবিক কোন বিদ্রোহ ছিল না এর পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত রয়েছে, এবং কারা এই ঘটনায় ইন্ধন যোগাতে পারে সে বিষয়েও অনেকের ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগত ধারনা রয়েছে। তাই সব বিডিআর জোয়ানই যে এতে অংশ নিয়েছিলো এমনটা নয়। বিডি আরের নতুন ডিজি’ই সেরকমই বিবৃতি দিলেন। আর আমার ধারনা বেশিরভাগ সংখ্যক জোয়ান এতে সক্রিয় ভাবে অংশ নেয় নি । এখানে কয়েকটা বিষয় প্রশ্ন আসছে যেমন সংখ্যা নিয়ে - আসলেই কত হাজার বিডিআর পিলখানার ভিতরে ছিলো তা স্পষ্ট হওয়া দরকার। বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ে একজন জোয়ানকে আমরা বলতে শুনেছি আমরা ১৫০০০ সদস্য রয়েছি (যদিও আন্দোলন বেগবান করতে সে বাড়িয়ে বলতে পারে)। পরে জানা গেল এখানে সর্বচ্চ ১১০০০ সদস্য একসাথে থাকতে পারে আর এখন আমরা শুনছি ৫০০০ জোয়ান নাকি ভেতরে ছিলো। এখন আমাদের জানার বিষয় আসলেই কত হাজার জোয়ান ভিতরে ছিলো এবং কত সংখ্যক এখনও আছে এবং পালিয়ে যাওয়া জোয়ানদের আসল সংখ্যাটা কত। এই সংখ্যাগত বিষয় গুলা বের করা খুঁজে বের করা খুব কঠিন কিছু না। বরং বের না হলেই নানা কথাচালাচালি চলতে থাকবে ।
এবার আসি বিচার প্রসঙ্গে । বলা হচ্ছে যারা গুরতর অপরাধের সাথে জড়িত ছিল তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করা হবে- আমরাও চাই যারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো তাদের বিচার হোক কিন্তু সে বিচার জনগনের কাছে অপেন করতে হবে। কাকে কাকে কি কি অপরাধের জন্য কি কি বিচার হচ্ছে তা সবার জানা প্রয়োজন । একথা এই কারনে তুললাম যে আমাদের দেশের সেনাবাহীনির তো কোন জবাবদিহীতা নেই । সেনাবাহিনির উপর আমার নিজেরও কোন বিশ্বাস নেই তারা যদি একজনের অপরাধের জন্য পাঁচজনের শাস্তি দেয় তাহলেও ওই ব্যাপারটি কি অমানবিক হবে না? আমি অনেককে অবেগপ্রবন হয়ে বলতে দেখেছি - সব বিডিআর কে মেরে ফেলা হোক, বিডিআর ঘৃনা করি ইত্যাদি । এসব তো সুস্থ মানসিকতা নয়। আমরা কোন প্রতিহিংসা পারায়ন বিচার দেখতে চাই না।
আমরা কাছে একটা বিষয় খুব ভালো টেকছে না তা হলো , গত দুইদিন যাবত সেনাবাহীনি মিডিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে, একধরনের মৌখিক হুমকিও আছে মনে হলো। ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয়- টিভিতে দেখছি এক সেনা কর্মকর্তার বিবৃতি বারবার প্রচারিত হচ্ছে। যেখানে একটা স্বাধীন গনতান্ত্রীক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে সেনাবাহিনীর আলাদা করে বিবৃতি দেয়াটা আশংকা জাগায়, এটার বিশেষ প্রয়োজনও নেই। অফিসিয়াল বিবৃতি সরকারের মাধ্যমেই আসা উচিত। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী বাড়তি গুরত্ব পেয়ে গেলে পরবর্তীতে সমস্যা হতে পারে। বাংলাদেশে সেনাবাহীনির বারবার ক্ষমতা দখলের ইতিহাস তো সবার জানা। আর উক্ত ঘটনায় কিছু সেনা কর্মকর্তাদেরও যে হাত নেই তা কে বলতে পারে??
সরকার সহ সচতেন নাগরিক সমাজের এসব কিছুই ভেবে দেখা দরকার রয়েছে, বিদ্রোহের মাধ্যমে যে দাবিগুলা উঠে আসতে পারত সেসব রক্তপাতের (যদি বলি ষড়যন্ত্র) মাধ্যমে উঠে এসেছে । কিন্তু দাবি গুলা নিয়ে এনলাইসিস করা দরকার ভবিষৎ এর সার্থেই। কারন এই ফাঁকেই তো ষড়যন্ত্রটি হতে পারল। বিডিআর কে পুর্নঘঠিত করে ভবিষৎ-এ ধাপে ধাপে একটা স্বাধীন বাহিনীতে (সেনা কর্মকর্তা বিহীন )রুপ দেয়া হোক, এই দাবি আমার- আশা করি অনেকের।
বিঃ দ্রঃ তদন্ত কমিটিতে একজন মনোবিদ রাখা উচিত বলে মনে করি

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




