মুহররম এটি একটি আরবী শব্দ যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে সম্মাণিত, পরিভাষায় এটি হল হিজরী সনের প্রথম মাস, পৃথিবীর ইতিহাসে এ মাসে অনেক উথান-পতন হয়েছে, বহুত বড় বড় ঘটনা ঘটেছে | যেমন এ মাসে মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর দোয়া কবুল হয়েছে, হযরত নূহ্ নবীর জাহাজ প্লাবন শেষে জুদি পর্বতে ভিড়েছে, হযরত মুসা (আঃ) ও তার জাতি বনি ঈসরাইলীরা ফেরাউনের কবল থেকে এবং তিহীর প্রান্তর হতে মুক্তি লাভ করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি,এমাসে আল্লাহ সুবহানাহু তা'য়ালা এ ধরাধম সৃষ্টি করেছেন আর মাসেই পৃথিবী ধ্বংস ও অস্তিত্বহীন করবেন, আরো নানা কারণে এ মাসের 10 তারিখ যাকে আশুরার দিন বলা হয় তা ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ |
যখন বিশ্ব নবী মুহাম্মদ সাঃ মদীনাতে হিজরত করে আসলেন তখন সেখানকার ইহুদিদের দেখতে পেলেন যে, আশুরার দিন তারা রোজা পালন করছে, কারণ জিঙ্গাসা করলে তারা বলল যে, তাদের নবী অমুক অমুকে এ দিনে মুক্তি পেয়েছে ইত্যাদি তাই শুকরিয়া হিসেবে রোজা পালন করছে, তো মহানবী (সাঃ) বললেন এ হিসেবে তো আমি ও আমার উম্মত বেশি হকদার রোজা রাখার, যাই হোক এ বছর তো আশুরা চলেই গেল, আগামী বৎসর ইনশা আল্লাহ্ আমরা আশুরার আগে /পরে(অর্থাৎ 9-10 অথবা 10-11 তারিখে) মিলিয়ে দুটো রোজা রাখবো যাতে করে ইহুদি -নাসারাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়ে যায়, পরবর্তী বছর আসার আগেই রমজানের রোজা ফরজ হয়ে যায়, একারণে রাসূলুল্লাহ্ সাঃ আশুরার রোজা কে এ উম্মতের ইচ্ছাদিন করে দিয়েছেন তবে এ দিনে রোজার অনেক ফজিলত যা হাদীসের বর্ণানায় রয়েছে,
বিশ্বনবী সাঃ এর তিরোধানের পর তার আদরের দৌহিত্র হযরত হুসাইন রাঃ এর এবং তার সঙ্গী-সাথীদের অত্যান্ত মর্মপর্শী হৃদয় বিদারক শাহাদাতের ঘটনা কারবালা প্রান্তরে এমাসের 10 তারিখে আশুরার দিন ঘটে, যা এ উম্মতে মুহাম্মদীদের জন্য হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক দুঃখজনক ট্রাডেজি,
এজন্য আমরা কারবালা ময়দানের শহীদদের প্রতি জানাই হাজার সালাম, আল্লাহ্ তাদের সকলকে পূর্ণ মাগফিরাত দান করে জান্নাতুল ফিরদাউসের সুউচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করুন,
আশুরার দিনে করণীয় হল নফল রোজা রাখা, ভাল খাবারে আয়োজন করা, আর কারবালা শহীদদের জন্য দোয়ায়ে মাগফিরাত করা, তাদের চেতনাকে বুকে আজীবনের জন্য ধারণ করা, এ হল কোরআন -হাদীসের আলোকে মুসলমানদের জন্য দিক -নির্দেশনা,
এর বিপরীতে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা আশুরার নামে যা কিছু তারা করে তা ইসলাম বর্হিভূত কাজকর্ম, যেমন হায় হোসেন -হায় হাসান বিলোপ করা,ঢাক -ঢোল বাজাইয়া তাজিয়া নামক রথযাত্রার আয়োজন করা,হাসান -হুসাইন রাঃ এদের প্রতিকী কবর বানাইয়া স্থানে স্থানে মাজার তৈরী করা, ইত্যাদি ইত্যাদি, কোথায় পেল তারা এসব অনৈসলামিক কাজ-কারবার???
বিঃদ্রঃ শিয়ারা নিজেদের কে মুসলিম হিসেবে দাবী করে কিন্তু তাদের আকীদাহ্ -বিশ্বাস, কাজকর্ম কোন কিছুই ইসলামী শরীয়াহ্ সম্মত নয়, পরবর্তীতে তাদের আকীদাহ্ বিশ্বাস নিয়ে লেখা হবে ইনশা আল্লাহ্
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



