somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'শিয়া মতবাদ’ মূলতঃ ইহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম একটি ধর্ম ও একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলামে নেই কোনও মত পার্থক্য ও বিভেদ। নির্দিষ্ট কোনও শ্রেণী বা গোত্রে বিভক্ত হওয়ার মাঝে কোনও কল্যাণ নেই। বিশ্বের সকল মুসলমানদের এক আল্লাহ ও রসূলের অনুসারে একটি সম্মিলিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকার কথা। কিন্তু বাস্তব পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদ ও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মুসলমানদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানান মত-পার্থক্য। নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে মুসলমানরা আজ দ্বিধাগ্রস্ত। মুসলমানদের মধ্যে নানা দল--উপদল সৃষ্টির কারণ হিসেবে দায়ী করা যায়রাজনৈতিক মতবাদ, ধর্মীয় মতবাদ ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের মধ্যে যে সকল দল-উপদল রয়েছে শিয়া সম্প্রদায় তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই শিয়াদের উত্থান ও তাদের মতাদর্শ সম্পর্কে যতসামান্য আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ ।

‘শিয়া মতবাদ’ কি?
সাহাবায়ে কেরামের কাল থেকেই মুসলীম উম্মাহর মধ্যে ‘শিয়া’নামক একটা দল সৃষ্টি হয়ে মুসলীম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে রেখেছে। মৌলিকভাবে শিয়া একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে। প্রথমদিকে এ ফেরকাটি সৃষ্টির পেছনের কারণ রাজনৈতিক হলেও পরবর্তীতে ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের ঠিক বিপরীত ধ্যান-ধারণা দ্বারা প্রচারিত হয়েছে। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান(রাঃ)এর শাসনামলে আবদুল্লাহ ইবনে সাবা নামক ইয়েমেনের এক ইহুদী পণ্ডীত মুসলমানদের ছদ্মবেশে মদিনায় এসে মুসলমানদের মধ্যে দলাদলীর সৃষ্টি করে। কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর আবদুল্লাহ ইবনে সাবার দলটিই ‘শিয়া আন্দোলনকে’ একটি ধর্মীয় ফেরকায় রূপান্তর করে। ‘শিয়া মতবাদ’ হলো মূলতঃ ইহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করন। ইসলামের প্রতি এক বিদ্বেষী মতবাদের নামই হলো ‘শিয়া মতবাদ’। শিয়া আকিদা যদি সত্যি হয় তবে ইসলাম হবে মিথ্যা। আর ইসলাম যদি সত্যি হয় তবে শিয়া মতাদর্শের বাতুলতা সম্পর্কে সন্দেহ থাকার অবকাশ নেই|
#শিয়াদের জঘন্য আকিদাহ -বিশ্বাস
শিয়াদের কালিমা :
শিয়াদের কালিমা শরীফ ভিন্ন। তাদের কালিম শরীফ হলো “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আলী ওয়ালী উল্লাহ”
কালিমা শরীফ নিয়ে তাদের বক্তব্য হলো, “আলী ওয়ালী উল্লাহ ব্যতীত কালিমা তাইয়্যিবা মিথ্যা” (শিয়া মাযহাব হক্ব হ্যায়, ২ পৃষ্ঠা)
# হযরত আবূ বকর রাঃ সম্পর্কে শিয়াদের বিশিষ্ট ইমাম ও মুজ্তাহিদ খোমেনীর আক্বীদা
সে (হযরত আবু বকর(রাঃ) ইহুদির কথা অনুসারে কলেমায়ে তাওহীদ ও কলেমায়ে রেসালত প্রকাশ্যে মূখে উচ্চারণ করেছিল এই আশায় ও লোভে যে, সম্ভবতঃ রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে শাসন ক্ষমতা ন্যস্ত করবেন। মনের মধ্যে সে কাফেরই ছিল। (আয়াতে বাইয়্যিনাত পৃষ্ঠা-৮৫ অনুরূপ রজয়্যিাহতে উল্লেখ আছে)
অথচ রাসুল(সাঃ)এর সাথে হিজরতকারী হচ্ছেন আবু বকর(রাঃ) এবং আল কুরআনের আয়াত, সূরা আত তাওবাহ ৯:১০০
শিয়াদের নামায ও আযান :
নামাযঃ সুন্নীদের সাথে তাদের নামাযের পার্থক্য রয়েছে। যেমনঃ
১.সুন্নীদের ন্যায় ৫ ওয়াক্ত নামায থাকলেও আছর ও এশার নামাযে নির্দিষ্ট সময়সূচী না থাকায় যথাক্রমে যোহর ও মাগরিবের সাথে একত্রে পড়ে। রমাদ্বান মাসে তারাবীহ নামায পড়ে না।
২. নামাযে বাম হাতের উপর ডান হাত বাধলে নামায ভঙ্গ হবে (তাফসীর আল ওয়াসীলা)
৩. নামাযে সূরা ফাতিহার পরে “আমিন” বললে নামায ভঙ্গ হবে কিন্তু তাকীয়া (অন্তরে যে বিশ্বাস তার বিপরীত কিছু বলা বা করা) করার সময় আমিন বলা জায়িয। (তাফসীর আল ওয়াসীলা)
আযানঃ সুন্নীদের সাথে তাদের আযানেরও পার্থক্য আছে। শিয়ারা আযানে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এর পরে “আশহাদু আন্না আলিউন ওয়ালী উল্লাহ” এবং “হাইয়া আলাল ফালাহ” এর পরে “হাইয়া আল খায়ির আল আমল” পড়ে।

# মুত্য়া বিবাহ তথা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবাহ সম্পর্কে শিয়াদের আক্বীদা
(শিয়াদের মতে হাদীসে আছে) যে ব্যক্তি একবার মুত্য়া করবে, সে হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মর্তবা পাবে। যে দুইবার মুত্য়া করবে, সে ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা পাবে, যে তিনবার মুত্য়া করবে, সে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মর্তবা পাবে, যে চারবার মুত্য়া করবে, সে আমার (অর্থাৎ রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা পাবে। (ইরানী ইনক্বিলাব আওর ইমাম খোমেনী পৃষ্ঠা-২৭) নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক

‪#‎পবিত্র‬ কুরআন শরীফ-এর ব্যাপারে খোমেনীপন্থী শিয়াদের আক্বীদা
১. জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম যে কুরআন নিয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নাযিল হয়েছিলেন, তাতে সতর হাজার আয়াত ছিল। (উছূলুল কাফী, ফাদলুল কুরআন অধ্যায় পৃঃ-৬৭১)
২. যে ব্যক্তি দাবী করে যে, তার নিকট সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ রয়েছে যেভাবে তা নাযিল হয়েছিল, সে মিথ্যাবাদী। মহান আল্লাহ পাক উনার নাযিলকৃত কুরআন শরীফ শুধু আলী ইবনে আবী তালিব এবং তার পরে ইমামগণই সংকলন ও সংরক্ষণ করেছেন। (উছূলুল কাফী পৃষ্ঠা-১৩৯)
অথচ আল-কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُوْنَ ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক’ (হিজর ১৫/৯)।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×