প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই রয়েছে ডিপ্রেশন,হতাশা। তবে
এমন কিছু মানুষ দুনিয়াতে আছে যাদের হতাশা অন্যান্য
মানুষের থেকে অনেক বেশি। তারা অনেকটাই আমার মত
অভাগা। ডিপ্রেশন যে কতটা টা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা
ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ জানে না। আর এই ডিপ্রেশন যে
কত মানুষকে নিরবে খুন করেছে তা অজানা। এটা একটা
নিরব ঘাতক। অনকেই এই ডিপ্রেশন সইতে না পেরে
আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। এটি বর্তমানে তরুণদের মাঝে
বেশি দেখা যায়। এখনকার তরুণদের মধ্যে ডিপ্রেশনের
প্রধান কারণ হল প্রেমঘটিত তবে এটা ছাড়াও অন্যান্য
কারণ আছে। এখন আসি এ থেকে মুক্তি লাভের উপায়ে।গত বছরের কথা আমি এইচ.এস.সি পাস করে ভার্সিটির জন্য
প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম এর মধ্যে আমার প্রায় দুই বছরের
রিলেশন টা ফুললি ব্রেকআপ হয়ে গেল এটাকে ব্রেক আপ কি বলব আমাকে ছেড়ে সে চলে গেছে যাই হোক খুব ভালবাসি তাকে এখন ও ভালবাসি হয়ত , যাইহোক আমার অনেক বন্ধু
থাকলেও আমি খুব বেচে বন্ধুদের সাথে চলি। তেমনি
অল্প কিছু বন্ধুদের সাথে চলতাম তাদেরকে আমি নিজে
এড়িয়ে চলা শুরু করলাম কারণ কারণ আমি সেল্ফিস পছন্দ
করি না। হয়ে গেলাম সম্পূর্ণ একা খুব খারাপ লাগত
ভাবলাম ভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারলে হয়তবা ভাল
বোধ করব। ভার্সিটিতে এডমিশন টেস্ট দিলাম কোন
পাবলিক ভার্সিটিটে টিকলাম না। এমনিতে আমি একা
এর মধ্যে সময় সময় ওর কথা মনে পড়ে ওকে ভুলতে
পারতিছি না কোন ভাবে তার নিজের ফিউচার কি হবে
তা জানি না। এমন একটা পরিস্থিতি তে যে পড়বে সে
বুঝবে কেমন ফিল হয় তখন আমার মত হয়ত এমন কারও না
হলেও। আমার মতই হয়ত অনেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত
হয়ে পড়েন। তাদের জন্য আমার মেসেজ হল আমাদের
প্রত্যেকেরই নিজ নিজ ধর্ম রয়েছে কেউ মুসলিম,কেউ
হিন্দু,কেউ খ্রিস্টান,কেউ বৌদ্ধ। আমাদের প্রত্যেকেরই
নিজ নিজ ধর্মের আচার,আচরণ,নীতি রয়েছে এবং
প্রত্যেক ধর্মেরই নিজ উপশনালয় আছে। আমারা যদি
কিছুটা সময় নিজ ধর্মের রীতি অনুযায়ী ধর্মকর্মে
মনোনিবেশ করি। কিছুটা সময় প্রার্থনায় রত থাকি
তাহলে দেখবেন অনেকটাই আপনার ডিপ্রেশন হালকা
হয়ে গেছে মন অটোমেটিক ভাল হয়ে যাবে।
আপনি হিন্দু হলে মন্দরিরে খ্রিষ্টান হলে গীর্জায়
কিছুটা সময় কাটাতে পারেন বা অন্য ধর্মের হলে নিজ
ধর্মীয় উপাসনালয়ে কিছুটা সময় কাটাবেন।
নিজ ধর্মের উপশনালয়ে অনেক ধরনের ধর্মীয় কথা হয় সেগুলো শুনতে
পারি। নিজ ধর্মীয় গ্রন্থ রয়েছে এগুলো পাঠ করতে পারি
দেখবেন মন কত ভাল হয়ে গেছে আগের কথা গুলো মনেই
আসবে না। আপনি এক অন্য জগৎ এ প্রবেশ করবেন। মুসলিম
হলে তাবলিক জামাতে যেতে পারেন। আমি যেহুতু একজন
মুসলিম তাই আমি নামাজ পড়া শুরু করেছিলাম আমি যখন
নামাজ পড়ে মসজিদ এর দরজা দিয়ে বের হতাম এবং
আকাশের দিয়ে তাকতাম মনে মনে এত্ত আনন্দ পেতাম
কেন যেন ভাল লাগল ফুরফুরে মনে হত নিজেকে। আগের
অবস্থা থেকে অনেকটাই রিকভার করতে পেরেছি। তাই
যার যে ধর্মই হোক ডিপ্রেশনে থাকলে নিজ ধর্মকর্মে মন
দিন দেখবেন আগের থেকে ভাল আছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৫৪