এমনিতে আমি অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠি কিন্তু গত কয়দিন একটু সকাল সকাল উঠতে হচ্ছে। আর এই সকালে ঘুম থেকে উঠার সুবাধে গত দুইদিন কিছুটা হলেও প্রত্যক্ষ করতে পেরেছি হরতালে সাধারণ মানুষের কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিরোধীদল নাকি গনতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হরতাল ডেকেছে। কিন্তু গনতন্ত্র তো সাধারণ মানুষেরই জন্য। তাহলে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে কিভাবে গনতন্ত্র টিকিয়ে রাখা সম্ভব? যারা এসি রমে বসে বসে হরতাল আহ্বান করেন তারা কি একবারও রাস্তায় এসে দেখেছেন একজন পোশাক শ্রমিক হরতালের মধ্যে কিভাবে কষ্ট করে কাজে যায়? কখনো দেখেছেন একজন দিনমজুর দিন শেষে কি দিয়ে ভাত খায় নাকি আপনাদের ডাকা হরতালের বলি হয়ে না খেয়ে থাকে? কখনো কি ভেবেছেন হরতাল সফল করতে গিয়ে যে ছেলেটি পুলিশের গুলিতে নিহত হল তার সংসার কিভাবে চলবে? কিংবা আপনাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে যে বাস ড্রাইবার প্রান দিয়েছে তার সংসারে কিভাবে অন্ন জুটবে? সরকার সমর্থিত মালিকরা শ্রমিকদের বাধ্য করেন কাজে যেতে। না গেলে বেতন ভাতা এমনকি চাকরি কেড়ে নেয়ার হুমকি দেন। আর হরতাল সমর্থিত মালিকরাও চান না তাদের কারখানা বন্ধ থাকুক। সুতরাং বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে, ২ টাকার বাস ভাড়ার পরিবর্তে ৩০ টাকার রিক্সা কিংবা সিএনজি ভাড়া অথবা কখনো কখনো পায়ে হেঁটে তাদের কারখানায় যেতে হচ্ছে। এই সাধারণ মানুষগুলোকে কে দেখবে? যে একজন ছিল দেখার “ঈশ্বর” তাকেও তো মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই আপনাদের ঐ ভদ্রপল্লীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন ঈশ্বর আপনাদের দেখছেন আর আপনারা দয়া করে একটু আমাদের দেখেন। গনতন্ত্র টিকে থাকুক, দেশে শান্তি ফিরে আসুক তা আমরাও চাই কিন্তু আমদের এই সাধারণ (!) জীবনটাকে উৎসর্গ করে নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


