somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লজ্জা থাকা উচিত; উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয় বৈজ্ঞানিক, আমাদের দেশে হয় জ্ঞানপাপী।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছে কারন বেতন স্কেলে তাদের আশা প্রতিফলিত হয়নি বলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রথমে নিজেদের চেহারা আয়নায় দেখে এসে আন্দলোনে করা উচিত। যেখানে নিয়োগের কোন নির্দিষ্ট মান্দন্ড নেই এবং নিয়োগের কোন সচ্ছতা নেই সেখানে বেতন বাড়ানো নিয়ে কর্মবিরতি হাস্যকর। বিসিএস এ হাজারের উপর মার্কের পরীক্ষায় পাশ করে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে হয়। মাল্টিন্যাশ্নাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলেও যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। আর একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে গেলে ডিপার্টমেন্ট এর প্রধানের পায়ে পায়ে পড়ে থেকে প্রমান করতে হয় যে সে তার একনিষ্ট অনুসারী বা অনেক সময় ভিসি বা রাজনৈতিক ফোনের মাধ্যমেও কাজ হয়ে থাকে

একজন যোগ্য যদি স্যার হয় তার সাথে ৩ জন গাধা ও ঢুকে পড়ে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অন্তত শ খানেক অনুসারী থাকা উচিত। আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষকের এমন কোন চেতনা বা মতাদর্শ নেই যে শ খানেক পোলাপান তাদেরকে অনুসরন করবে। আর কায়দা করে বছর পার করে দিতে পারলেই এখানে লেকচারার থেকে এসিটেন্ট তারপর এসোসিয়েট প্রফেসর হওয়া যায় সাথে বাংলাদেশ জার্নাল বা ইরাকের বাসরা এর মত কোন এক জায়গা হতে পাব্লিস্ট পেপার দিলেই হয়। গুনে ও মানে অধিকাংশ পেপার যাচ্ছেতাই। একবার শুনেছিলাম এক বড় ভাই টিচার হোয়ার আগেই নাকি ১৪টা পেপার পাবলিশ করে ফেলেছে। বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানীদের ১৪ টা ভাল পাবলিকেশন আছে কিনা সেটাও দেখার বিষয়? অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় পোলাপানের করা প্রজেক্ট থিসিসকেই একটু ঘষে মেজে পেপার পাবলিশ করে কাম বাগানোর ধান্ধায় ব্যস্ত থাকে অধিকাংশ শিক্ষক। বলছিনা যে সব শিক্ষক অযোগ্য, কিছু শিক্ষক আছে যারা সত্যই সন্মান পাবার যোগ্য কেননা তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন, নানা আবিষ্কার করে দেশের জন্য সন্মান বয়ে এনেছেন। এদের সংখ্যা অবশ্য হাতে গোনা।

অধিকাংশ শিক্ষকেরা কখনো নিচের বিষয়গুলো ভাবে কি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ কিভাবে ঠিক হবে? দরিদ্র মেধাবীরা কিভাবে সহযোগিতা পাবে ? কিভাবে গবেষনার উন্নত পরিবেশ তৈরি হবে? ছাত্রী কিয়াভবে নির্যাতন কমানো যাবে? কিভাবে ব্যাপক পরিসরে শিক্ষার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা যাবে? ভাল শিক্ষক কিভাবে আসবে? সাংস্কৃতিক কার্যক্রম কিভাবে জোরদার করা যাবে?

এদের বেতন যদি বাড়াতে হয় তাহলে এদের নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তন করে বেতন বাড়ানো উচিত তাহলে অন্তত কিছু যোগ্য ছেলে-মেয়ে ভবিষ্যতে শিক্ষাকতা পেশায় আসার সুযোগ পাবে। আমার আশেপাশের অনেক ছেলে-মেয়ে বাইওরে চলে গেছে এবং অনেকে শিক্ষাকতা পেশায় যোগদান করেছে দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অথচ এরা অনেকদিন দেশে ঘুর ঘুর করেও শিক্ষক হিসাবে যোগদান করতে পারেনি।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় আমাদের দেশের থেকে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেটিং কি খারাপ ? আমাদের অবহেলিত মাল্গুলো তারা সযত্নে লালন করছে ।








সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×