বাংলাদেশে মাত্র ১২/১৪ লক্ষ সরকারী কর্মকতা ও কর্মচারী। বাকি সবাই ব্যবসা বানিজ্য, বেসরকারি কোম্পানি, গার্মেটস, ও এনজিওতে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। এর মধ্যে যারা তথকথিত ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশ্নাল এনজিওতে চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন এদের মত দুর্বিষহ অবস্থায় খুব কম মানুষ ই আছে আমাদের দেশে।
অনিয়মঃ এখানে না আছে কোন নিয়মের বালায় না আছে কোন বেনিফিট আছে কেবল বাইরে ফিটফাট। সারাক্ষন ভয় কাজ করে এই বুঝি সামনে কন্ট্রাক্ট রিনিউ হবে না বা প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে বা কবে এইচ আর বলে দিবে আপনার পারফরমেন্স ভাল না আপনি আগামী মাসের থেকে আসবেন না। এখানে কাজের থেকে সুপারভাইজারকে বেশি তেল দেওয়া লাগে তা নাহলে কখন আবার খারাপ রিপোর্ট দিয়ে বসে। আর বেতন যাকে যা দিয়ে পারে যখন আপনাকে দরকার তখন আপনি বেশি চাইলেও দিবে আবার যদি আপনি নিজেকে ভাল করে সেল করতে না পারেন তাহলে যেটা দেবার কথা ছিল তার থেকে কম অফার করে বসবে। এপ্রাইজালের সময় আপনার বস আপয়াঙ্কে দিয়ে কাজ করিয়ে নেবার জন্য বা প্রেশারে রাখার জন্য কম মার্কিং করার একটা প্রচ্ছন্ন ভয় দেখিয়ে দিবে।
সিভি খুলে না দেখাঃ আপনি খুব কষ্ট করে কোন এক জায়গায় সিভি পাঠালেন কিন্তু আপনার সিভি খুলেই দেখল না। মনে হচ্ছে আমি যা ইচ্ছা তাই বলছি আসলে তা না আমি নিজে মেইল ট্রাক অপশন দিয়ে দেখেছি প্রায়ই অনেক প্রতিষ্ঠান মেইল খুলেই দেখে না। এজন্য প্রশ্ন আসলে কাদের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় তাহলে? যদি আগেই কাউকে নিয়ে রাখার বন্দোবস্ত হয় তাহলে বিভিন্ন জব সাইটে কেন বিজ্ঞাপন দেওয়ার দরকার।
না আছে কোন পেনশন বা ইকোনোমিক সুবিধাঃ আপনি যদি ভাল কোন বেসরকারি এনজিও তে কাজ করেন তাহলে হয়ত সামান্য ফান্ড পাবেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক দিন কাজ করার পরো চুক্তির বিভিন্ন শর্তের জন্য আপনি তেমন কোন ইকোনোমিক সুবিধা পাবেন না এই কিছু গ্রুপ ইন্সুরেন্স ছাড়া যা আসলে শুভংকরের ফাকি। জাতিসংঘের নানা প্রতিষ্টানের অবস্থা আরো করুন। আপনি NPP হিসাবে জয়েন করবেন বেতন পাবেন কিন্তু অন্য কোন বেনিফিট পাবেন না এমন কি ঈদের বোনাস ও নাই। বাংলাদেশের অধিকাংশ স্টাফ ওই NPP।
যখন তখন চাকরি নেইঃ চাকরির না আছে কোন গ্যারান্টি না আছে কোন স্থায়িত্ব। মানুষ কিছু না পেরে এসব করছে। সকালে থাকলেও বিকালে চাকরি না থাকতে পারে। এক মাসের নোটিশে চাকরি থেকে বের করে দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান কিন্তু একবার ভেবে দেখে না যার চাকরি না করে দিচ্ছি তার একটা পরিবার আছে সন্তান আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:১০