somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের ভুল এডিট করা যায় না

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃঃঃ

জীবন অভিজ্ঞতার অনন্য কাব্যিক বয়ানঃ
♦♦ জীবনের ভুল এডিট করা যায় না♦♦


জীবন আসলে কী --- এ নিয়ে আমাদের তত্ত্বের শেষ নেই। হাজার বছরের উপাত্ত দিয়েও আমরা জীবনের সুনির্দিষ্ট কোনো সজ্ঞা দাঁড় করাতে পারি না; পাঠ্যক্রমের কোনো বিষয়ের মতো কাউকে বলতে পারি না---জীবন মানে এই। জীবন কি স্থান ও কালের আপেক্ষিকতায় বাঁধা কোনো বিষয় না স্বতন্ত্র-স্বাধীন, এ নিয়েও আছে দার্শনিক সংশয়। তবে যে বিষয়ে আমরা একমত হতে পারি তা হচ্ছে, জীবন কী---তা আমরা বুঝতে পারি আমাদের যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। এবং ঠিক সেখানে গিয়েই উপলব্ধি হয়, জীবনের সুনির্দিষ্ট একটি কাঠামো অাছে, যাকে অবজ্ঞা করার চেষ্টা মোটেই উচিত নয়। সেখানে ঠিক এবং বেঠিকের একটি মানদণ্ড আছে, যা দিয়েই নির্ধারিত হয় ফলাফল।
আমাদের সভ্যতার বিকাশধারায় মানুষ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার উপরই নির্ভর করে চলে নি। তাদের আরো একটি যে বিষয় পথ দেখিয়েছে, তা হচ্ছে---বিশ্বাস। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের বাহিরে বললে, পূর্বতনদের অভিজ্ঞতার উপর ভর করে সামনের সমস্যা মোকাবিলা করার শিক্ষা আমরা অামাদের শেখানো শিক্ষা থেকেই লাভ করার চেষ্টা করি। এবং তার উপর নির্ভর করে ভারমুক্ত হই।

আমাদের এই ক্ষুদ্র তাত্ত্বিক আলোচনার অনন্য নিদশর্ন কাজী রিয়াজুল ইসলাম স্যারের কাব্যগ্রন্থ --"জীবনের ভুল এডিট করা যায় না"। এ গ্রন্থের বিভিন্ন কবিতায় তাঁর ষাটোর্থ জীবনের নানা অভিজ্ঞতার বিভিন্ন বিষয় ওঠে এসেছে। তাঁর আশা-আকাঙ্ক্ষার ভ্রান্তি, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি ---যা প্রত্যেক মানুষের জীবনের সমান্তরাল এবং যা ঘটে গেছে তার ব্যত্যয় আর ঘটবে না কোনো দিন। তাঁর নিজের ভাষায়ঃ

এমন কোনো স্থুল কাগজ নয় এই জীবনের ক্যানভাস/
যেখানে একবার কিছু লিখলে-আঁকলে তা পুনর্বার/
করা যাবে এডিট কিংবা ডিলিট-ব্রাস,/
বা দুঃখ প্রকাশসহ হাতজোড়ে ক্ষমা চেয়ে প্রত্যাহার।

এ কাব্যগ্রন্থের প্রায় প্রত্যেকটি কবিতাই উত্তর পুরুষদের জন্য দিকনির্দশনা মূলক এবং কয়েকটি রোমান্টিক কবিতা, যা চিরন্তন মানবিকবোধকে নাড়া দিয়ে যায়।

বাসন্তী, নিশ্চয় তোমারো সেই টিকার দাগ আজো আছে---যায়নি মুছে,/
সেদিকে কখনো কি চোখ যায়, কিছু কি পাও হৃদয়ের দেরাজে খুঁজে?

এই দু'টি লাইন প্রত্যেক মানুষের বিস্মৃত কোনো স্মৃতিকে নাড়া দিয়ে যায়।
এ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা কবিতার ভাণ্ডারে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×