গাঁজায় সুখ টান দিয়েই একজন বললো- আমি এখন রাজার রাজা। আমাকে আর কে ধরে। অন্য একজন তার কাছ থেকে টেনে নিলো গাঁজার কলকি। চার পাঁচজন বসে এভাবেই গাঁজার আসর জমিয়ে তোলে রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকার ‘ফার্মগেট পার্কে’। শুধু কি তাই? আরও আছে- পকেটমার, ছিনতাইকারী আর পতিতাদের আড্ডাখানা এ পার্কে। পতিতারা এখানকার রানি। এখানেই চলে পকেটমারদের ভাগ-বাটোয়ারা, লেনদেন। আর পতিতারাও বসে থাকে খদ্দেরের অপেক্ষায়। খদ্দের পেলেই তার হাত ধরে চলে যায় আশপাশের কোন হোটেল কিংবা রং মহলে। এদেরই একজন রাজিয়া বানু। রাজিয়া বলেন, চার বছর ধরে এই কাজ করি। হোটেলে গেলে হোটেল মালিকদের অত্যাচার, বাসায় স্যার কিংবা তার ছেলে। তার চাইতে পেশা হিসেবে এটিই ভাল। পাশেই দাঁড়ানো লিনা পারভিন কিছু না বুঝেই বলে ওঠেন, এক হাজার লাগবে। কোথায় জিজ্ঞাসা করলে বলেন, কেন কাছেই কোনো হোটেলে। তিনি আরও জানান, আমি নিমু পাঁচশ’ আর মালিকের বেড ভাড়া পাঁচশ’। হইলে লগে চলেন। পার্ক এলাকায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ফেরি করে পান সিগারেট আর চা বিক্রি করেন গোপালগঞ্জের সুবাস। তিনি জানান, এখানে খুব সকালে ব্যায়াম করতে বয়স্ক মানুষ আসেন। কিন্তু দুপুর হলেই অল্পবয়স্ক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা আপত্তিকর অবস্থায় জুটি ধরে বসে থাকে। সারাদিন যেমন-তেমন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ছিনতাইকারীদের উৎপাত। তেজগাঁও কলেজের সামনের এই পার্কটি অরক্ষিত। কোন পাহারাদার নেই। চারপাশে সীমানা প্রাচীর থাকলেও গেট ছয়টি আবার কোথাও গ্রিল ভাঙা। পার্কটি উঁচু-নিচু ভঙ্গুর হওয়ায় একটু বৃষ্টিতেই পানি জমে। তেজগাঁও, মনিপুর ও ফার্মগেট এলাকার দোকান-মার্কেট ও রাস্তার ময়লা ফেলা হয় এখানেই। জগন্নাথের দর্শনের ছাত্রী স্বাতী জানান, এসেছিলাম বন্ধুদের সঙ্গে বসে আড্ডা দেবো। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ঘুরতে আসা লোকের চাইতে বখাটেই বেশি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থের ছাত্রী আফসানা জানান, পার্ক বা উদ্যানের যে ধরনের পরিবেশ ও সুবিধা থাকে এর কোনটি এখানে নেই। বসার সিট নেই। পর্যাপ্ত গাছপালা নেই। আর প্রস্রাব-পায়খানার গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে। দেখে মনে হচ্ছে এখানে সরকারি কোন তদারকি নেই।
জারিন ও জোহেব নামে মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু দুই শিক্ষার্থী জানান, এখানে প্রায়ই আসা হয়। এখানে একটা সিন্ডিকেট আছে যারা দর্শনার্থীদের কাছে কিছু বাচ্চা ছেলে পাঠায় ভিক্ষার জন্য। এসব শিশু খুব বিরক্ত করে। পার্কের মোড়ে বসা দুই ফুল ব্যবসায়ী শাহজাহান ও হারুন মিয়া জানান, পার্কে কোন পাহারাদার নেই। অধিকাংশ লাইট নষ্ট। ফলে সন্ধ্যা নামলেই এখানে হরহামেশাই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ফার্মগেটেই পুলিশ বক্স। পাশেই তেজগাঁও থানা। কিন্তু নেই কোন নিরাপত্তা অথবা পুলিশি ব্যবস্থা।
আলোচিত ব্লগ
সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নীল নকশার অন্ধকার রাত

কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।
মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে
আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[
স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।