হঠাত করে বিদ্যুৎ চমকে উঠলে আস্তে আস্তে চলা মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে দেখা যায়। বৃষ্টির শব্দে এই রাতে রাস্তায় মাইক্রো চলার শব্দ শোনা যাবেনা। জানালার কাঁচ সব লাগানো। ভেতরে মুক্তি নামের একটি মেয়ে গণধর্ষণ হচ্ছে। পালাক্রমে পরিমল, মানিক ও রকি মুক্তিকে উপুর্যপুরি ধর্ষণ করার পর অন্ধকারে গাড়িটি থামে। শোঁ শোঁ করে বাতাস বইছে; গাড়ি থামার কোন শব্দ নেই, ধীরে রাস্তার বা’পাশে সাইড করলো সংগ্রাম। ড্রাইভিং সিটে এতক্ষণ বসে মুক্তির চিৎকার শুনে নিজে কয়েকবার কল্পনায় মৈথুন করে ফেলেছে সে; এততাই উত্তেজিত হচ্ছিলো যেন আর এক সেকেন্ড সহ্য হচ্ছেনা।
একটার পর একটা সিগেরেট খেয়েছে যতক্ষণ বন্ধুদের ধর্ষণ শেষ হয়নি ততক্ষণ এক প্যাকেট বেন্সন সাবাড়। এখন ওর পালা। পেছনের তিনজনের ভেতর মানিক বের হয়ে স্টিয়ারিং সিটে চলে যায়; সংগ্রাম মুক্তির বুকের কাছে ঘেষে এসে মাইক্রোর দরজা লাগিয়ে ইশারায় গাড়ি চালাতে নির্দেশ দেয়।
পরিমল এখন ক্লান্ত, রকি ওদের থেকে বয়সে ছোট তাই বেশি চাপ নিতে পারছেনা, ভয় পাচ্ছে। তবুও এসব কাজে কেউ আসামীদের ধরতে পারেনা এটাই শুনেছে সে। যা হয় পড়ে দেখা যাবে। ওরা দুজন পেছনে চেপে সংগ্রামকে জায়গা করে দেয় মুক্তিকে ধর্ষণ করার জন্য। পাসপোর্টের বোতলের দাম বেড়েছে কিন্তু নেশা বাড়েনি তাই পরিমলের আফসোসের শেষ নেই।
মুক্তি কাউকে চিনতে পারেনি শুধু বুঝতে পেরেছে কিছু একটা হচ্ছে যা সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে অনেক আগেই। শরীরের নিচের দিকে যন্ত্রণা অবশ করে দিয়েছে তাকে। মাথার কাছে স্বল্প পরিচিত গায়ের গন্ধে ওর একটা হাতের স্নায়ুতন্ত্র কাজ করতে শুরু করছে। এসময় জাপটে ধরে মুক্তি সংগ্রামকে; আস্তে করে চোখ খুলতে চেষ্টা করে। ওকে দেখে মুক্তির একটু মুচকি হাসি পায়।
মুক্তি যতক্ষণ পেরেছে শুধু চিৎকার করেছে, বাচতে চেয়েছে। কিছুক্ষণ পর কথা বলতে পারার শক্তিটুকুও হারিয়ে ফেলে। কিন্তু সংগ্রামের ঠোঁট দেখে ওর গলার ভেতর থেকে একদলা হাওয়া কাঁপতে থাকে বাইরে আসার জন্য। সংগ্রাম মুক্তির রক্তাক্ত যোনির দিকে হাত চালায়; নয়টা মাস কাপড়ের আড়ালে মুক্তির উরুর দিকে কত তাকিয়ে থেকেছে লোভে তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু এতক্ষণ যে উত্তেজনা ছিল সংগ্রামের সেটা সময়ের সাথে সাথে আর ঠিক আটকিয়ে রাখা যায়নি, নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি সে।
একটা হাত অনুভূতিহীন হয়ে গেছে মুক্তির, অন্য হাতে দেহের সাথে সংগ্রামকে ধরে থাকার চেষ্টা তবুও।
'শুরু কর সংগ্রাম, দেরি করছো কেন?’
সংগ্রাম ভেবেছিল মুক্তি ওকে চিনতে পারবেনা, নিজের নাম শুনে ভয় পেয়ে যায় সে। ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেয় মুক্তির গালে। তবুও মুক্তি কথা বলে, 'জলদি সংগ্রাম, আমার ভেতরে কেবল জ্বলছে তুমি আমায় শীতল করে দাও...'
বৃষ্টি থামেনি এখনও, গাড়ি এখন বিশ্বরোডের উপর সর্বোচ্চ গতিতে চলছে। মৃদু স্বরে গান বাজছে স্পিকারে, দূর পাল্লার বড় গাড়িগুলো সাঁই সাঁই করে চলে যাচ্ছে পাশ কাটিয়ে ওদের। মাঝে মাঝে আলো জানালা ভেদ করে ভেতরে আসছে। মুক্তির শুয়ে থাকা দেখা যায় না, সংগ্রামের মুখের দিকে লাল লাল হেডলাইটের আলো জ্বলে একটু পর পর; মুক্তি চেয়ে থাকে সেদিকে।
‘সংগ্রাম’
-বলো
‘শুয়োরের বাচ্চা!! তুই পারবিনা তাহলে ঐ জানোয়ারদের দিয়ে করাইলি কেন আমারে? আমি তরেই ভালবাসতে চাইছিলাম; তুই একটু সময় দিলিনা বাস্টার্ড'
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩০