গায়েব হয়ে যাওয়া পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম, আবার স্মরণ করছি সহব্লগার নুশেরাকে এবং তার ছায়াছন্দ বিষয়ক পোস্টকে। তার গ্রাউন্ডব্রেকিং সেই পোস্টদ্বয়ই এই পোস্ট লেখার অনুপ্রেরণা।
...
বিদ্রোহী সালাউদ্দিন ছবির সালাউদ্দিন প্রথমে খুবই সাদাসিধে লোক ছিল। খাবার-হোটেলের ব্যবসা করতো, মা ও বোনকে নিয়ে তার সংসার। কিন্তু খানবাহাদুরের নির্দেশে স্থানীয় কমিশনার গুণ্ডা পাঠিয়ে সালাউদ্দিনের হোটেল দখল করতে চায়। কিন্তু সালাউদ্দিন তাদের একাই মেরেধরে পাঠিয়ে দেয়। ১০ লাখ টাকা খরচ করে খান বাহাদুর যাকে কমিশনার বানিয়েছে সেই কামশনার বলে সালাউদ্দিনকে বশে আনতে সে ভিন্ন পথ ধরেছে। সালাউদ্দিনর বোনকে ডাক্তারি পড়াতে চায়, সরকারী মেডিকেলে ভর্তি হতে হলে মন্ত্রী-সচিব ধরতে হয়, তাই বেসরকারী মেডিকেলে তাকে ভর্তি করাতে হবে। কিন্তু দুই লাখ টাকা সে পাবে কোথায়? বন্ধু আনোয়ারের পরামর্শক্রমে কমিশনারের কাছে গিয়ে ভিটে বন্ধক রেখে টাকা সংগ্রহ করে। কিন্তু পরক্ষণেই জাল টাকার অভিযোগে সালাউদ্দিন গ্রেফতার হয়। কমিশনার ও বন্ধু আনোয়ার সাক্ষ্য দেয় যে দুই বছর আগে সে কমিশনারের কাছে টাকা ধার নিয়েছিল, সেই টাকা ফেরত দিতেই সে জাল টাকা বানানোর পথে নেমেছিল। ওসি তাকে হাজতে মারধর করে কোর্টে চালান দেয়। এদিকে সালাউদ্দিনের অনুপস্থিতিতে বিশ্বাসঘাতক বন্ধু আনোয়ার সালাউদ্দিনের বোনকে কমিশনারের কাছে পাঠায় সালাউদ্দিনের মুক্তির ব্যাপারে সাহায্য চাইতে, কিন্তু কমিশনার তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। সালাউদ্দিনকে কোর্টে চালানের সময় সে পালিয়ে আসে এবং ধর্ষণ থেকে বাঁচতে গিয়ে কমিশনারের বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে সালাউদ্দিনের সামনেই তার বোন মৃত্যুবরণ করে। সালাউদ্দিন বোনের মৃতদেহ ধরে কসম খায় যে এসবকিছুর প্রতিশোধ সে নেবেই। সালাউদ্দিন ‘বিদ্রোহী সালাউদ্দিন’-এ পরিণত হয়। গহীন পাহাড়ে সে তার বাহিনী গড়ে তোলে, ডাকাতির টাকা অসহায় জনমানুষের মাঝে বিতরণ করে। এরপর সে প্রতিশোধ নিতে নামে। আনোয়ারকে সে হত্যা করে, ওসিকে হত্যা করে। আর খানবাহাদুরের বাড়িতে তার মেয়ের বিয়ের দিনে টাকা ও হীরের হার ডাকাতি করে। বিয়ের আসরে নৃত্যরতা এক সুন্দরীকে দেখে সে মুগ্ধ হয়। সে একটু আগে ডাকাতি করা হীরের হার তাকেই উপহার দিতে চায়। কিন্তু শিরীন নামের মেয়েটি তার দিকে হার ছুঁড়ে মারে। এই ‘বেয়াদবী’তে ক্ষিপ্ত হয় সালাউদ্দিন। ‘ঐ নষ্টা নারী’ বলে হুঙ্কার দেয় ও তাকে উঠিয়ে নিজের আস্তানায় নিয়ে আসে। তাকে বেত্রাঘাত করে। শিরীন অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরে সে সালাউদ্দিনের দুই অনুচরের কাছে জানতে পারে সে আসলে ‘দাতা’ সালাউদ্দিন, ‘ডাকাত’ সালাউদ্দিন নয়। তারা এও জানায় যে যে হাতে সে তাকে আঘাত করেছে, সেই হাতেই তার ক্ষতস্থানে সে মলম লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর তাদের কাছে সালাউদ্দিনের অতীত ইতিহাস জানতে পেরে শিরীন সালাউদ্দিনের প্রতি মুগ্ধ হয়ে পড়ে। সালাউদ্দিনের ত্রাণকার্যও সে সরেজমিনে গিয়ে দেখে। এরপর সালাউদ্দিন তাকে ফিরিয়ে দিয়ে আসতে চাইলে সে আর ফিরতে চায়না। কারণ সমাজ তাকে ‘নষ্টা মেয়ে’ বলে প্রত্যাখ্যান করবে। তাদের বিয়ে হয়ে যায়, সালাউদ্দিনের এই অনিশ্চিত জীবনে সে বাঁধা পড়ে যায়। এদিকে সালাউদ্দিনের এক অনুচর তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করায় তাকে হত্যা করেছিল। সেই অনুচরের ভাই রমজান সালাউদ্দিনের শত্র“ হয়ে ওঠে। একদিন সে শিরীনকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। সালাউদ্দিন হাজির হয়ে শিরীনকে উদ্ধার করে এবং অপরাধের শাস্তিস্বরূপ রমজানের মুখ পুড়িয়ে দেয়। পোড়ামুখো রমজান কমিশনার ও খানবাহাদুরের সঙ্গে যোগ দেয়। রমজান সালাউদ্দিনের আশ্রম-পরিচালনাকারী মাকে হত্যা করে। স্ত্রী শিরীন সন্তানকে নিয়ে পালায়, কিন্তু ধরা পড়ে যায়। সালাউদ্দিনের বাচ্চাকে পোড়ানো ও শিরীনের মুখ পোড়ানোর আয়োজন হয়। কিন্তু তার আগেই সালাউদ্দিন হাজির হয়। ব্যাপক মারামারি, গোলাগুলির পর সালাউদ্দিনের জয় হয়। পুলিশের কাছে সারেন্ডার করে সে। কয়েক বছর পর সে জেল থেকে বেরিয়ে আসে। সালাউদ্দিন মেয়েকে ডাক্তার বানাবে ঘোষণা দেয়। ছবির এখানেই সমাপ্তি।
দ্রষ্টব্য: এডমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর দুইটি পোস্টই আবার ফিরে পাওয়া গেছে। জানা গেছে পোস্ট দুটো মডারেটেড হয়নি বরং কোনো একটা টেকনিক্যাল কারণে এমন হয়েছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১১:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



