ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক পাঁচজনই স্কুলছাত্র
নগরীতে উপজাতীয় স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই স্কুল ছাত্র পিয়াস চাকমা ও সালমান জামান জয় মঙ্গলবার আদালতে দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। -বাংলানিউজ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের পরিকল্পনা ছিল, স্কুলছাত্রীর বন্ধু পিয়াস চাকমা ওই মেয়েকে ধর্ষণ করবে এবং অন্যান্য বন্ধুরা তা দূরে দাঁড়িয়ে দেখবে। কিন্তু পরে পিয়াসের বন্ধুরা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নিজেরাও অপকর্মে লিপ্ত হন। পিয়াস জবানবন্দিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করেছে এবং জয় জবানবন্দিতে বিষয়টি স্বীকার করেছে।মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মুনতাসির আহমেদের আদালতে দু’আসামি জবানবন্দি দেয়। পিয়াস এবং জয় দু’জনই নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাক আহমেদ গণধর্ষণের ঘটনায় দু’আসামির জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নগরীর একটি খ্যাতনামা সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী তার সহপাঠী বন্ধু পিয়াস চাকমার সঙ্গে গত রোববার বিকেলে নগরীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকায় পাহাড়ে বেড়াতে যায়। সেখানে তারা ঘোরাঘুরির সময় পিয়াসের কয়েকজন সহপাঠী বন্ধু এসে তার সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়।খবর পেয়ে পুলিশ রোববার রাত ১০টার দিকে ওই পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর গতকাল সোমবার দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বন্ধু পিয়াস চাকমাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।আটক পাঁচজন হলো : ওই ছাত্রীর বন্ধু পিয়াস চাকমা (১৬), তার বন্ধু খালেদ শামস (১৭), আহমেদ ফজল শাওন (১৬), সালমান জামান জয় (১৬) এবং বন্ধু ফাহাদ উদ্দিন পিউল (১৬)। এরা সবাই নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা সজীব কুমার চাকমা বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানার পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে পিয়াস ও জয় উভয়ই জানিয়েছে, ঘটনার আগের দিন তারা পাঁচ বন্ধু মিলে পিয়াসের বান্ধবী ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা ছিল, শুধু পিয়াস ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং বাকিরা দূরে দাঁড়িয়ে দেখবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে পিয়াস ও জয় ওই স্কুল ছাত্রীকে ঈদের দাওয়াতের কথা বলে ওই ছাত্রীকে পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যার পর পরিকল্পনা অনুযায়ী পিয়াস কৌশলে ওই স্কুল ছাত্রীকে পাহাড়ে ভেতরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে চার বন্ধুও যায়। তারা সবাই পাহাড়ের ভেতর নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করে। ইয়াবা সেবনের বিষয়টি দেখতে পেয়ে এবং তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ওই ছাত্রী দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে পিয়াসসহ পাঁচজন মিলে তাকে ধরে ফেলে। এরপর তারা পালাক্রমে সবাই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর আসামিরা মেয়েটিকে একটি স্কুলের মাঠে এনে ফেলে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। এদিকে জবানবন্দি গ্রহণের পর আদালত পিয়াস ও জয়সহ এ মামলার সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্র ঃ এখানে ক্লিক করেন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


