নিজস্ব মতিবেদক
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আটক জামায়াত নেতা খানকির পোলা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, কামারুজ্জামানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের দলের পক্ষ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় শতাধিক আইনজীবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ জন্য প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর প্রবাসী নেতাকর্মীরা। লন্ডনে বসে পুরো কাজের সমন্বয় করছেন জামায়াত নেতা ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ শিকদার ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক নেতা খানকির পোলা মতিউর রহমান আকন্দ মতিকণ্ঠকে বলেন, ‘জামায়াতের সব তৎপরতা প্রকাশ্য। প্রয়োজন হলে জামায়াত শীর্ষ নেতাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইনজীবী নিয়োগ করবে।’ তিনি বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘আন্তর্জাতিক মানের’ নয় বলে দাবি করেন। মতিউর রহমান বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের নাম দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অথচ বিচারক থেকে শুরু করে সব আইনজীবী বাংলাদেশি।’ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও আইনজীবী হিসাবে ইউরোপ-আমেরিকান আইনজীবী ও বিচারকদের নিয়োগ দিলে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ নামকরণ স্বার্থক হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের নাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ হওয়ার কারণে আমরা ইউরোপ-আমেরিকান আইনজীবীদের পয়সা খাওয়াতে শুরু করেছি। কেননা ইউরোপ-আমেরিকান বিচারক ও আইনজীবী নিয়োগ ব্যতীত ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলা যেতে পারে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যদি আন্তর্জাতিক কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে যেন আমাদের পয়সা খাওয়া আইনজীবী ও বিচারকেরা কনসালট্যান্ট হিসাবে নিয়োগ পান সেদিকে খেয়াল রেখে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে আমরা ক্রমান্বয়ে ইউরোপ আমেরিকার প্রত্যেক আইনজীবী ও বিচারককে কিনে ফেলব।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের মূলা ঝুলিয়ে ক্ষমতায় আসার পর গড়িমসি করে গত বছরের ২৫ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আনুষ্ঠানিক বিচার-প্রক্রিয়া শুরু করে। সেদিন সাত সদস্য নিয়ে তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে ২০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলেও সদস্যদের মধ্যে তিনজন এখন পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি। একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত সংস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। চারটি শূন্য পদে কোনো নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে ট্রাইব্যুনালের খরচ বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা কিন্তু তা ব্যয় করার ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়নি। ফলে বরাদ্দকৃত পাঁচ কোটি টাকা থেকে চার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত থেকে যাওয়ায় তা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রক্রিয়াকে নস্যাত করতে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য, দিগন্ত টেলিভিশন, ও নয়া দিগন্ত পত্রিকার মালিক মীর কাশেম আলী যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাসিডি অ্যান্ড ক্যাসিডি অ্যাসোসিয়েটসের সঙ্গে ২৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার মূল্যমান প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ ও লবিংসহ মীর কাসেম আলীর উদ্দেশ্য সফল করাই এই চুক্তির লক্ষ্য বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র্যাপ বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি দৈনিক গোল আলু পত্রিকার আলুবেদকদের সাথে এক বৈঠকে বসে চা-বিস্কুট খেয়েছেন বলে জানা গেছে। যুদ্ধাপরাধ বিচারের প্রক্রিয়ার পুটু মারতে দৈনিক গোল আলু পত্রিকা দীর্ঘদিন যাবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। পুতুলের দাদা শ্বশুরের নাম ফরিদপুরের রাজাকারদের তালিকায় ১৪ নম্বরে থাকলেও তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। শেখ হাসিনা গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘পুতুলের দাদাশ্বশুর খন্দকার নুরুল হোসেন নুরু মিয়া রাজাকার হলেও যুদ্ধাপরাধী নন।’
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


