গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে মোট ১৪৫ কেন্দ্রের ফলাফলে রিপন ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে আটটা থেকে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ উপনির্বাচনে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।– এনটিভি অনলাইন।
যারা ভোট দেয় নাই তারা কি যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনাই তাদের লোক? তারা যদি মান-অভিমানে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে ফলাফল বি দাঁড়াবে? তারমানে সরকারী দল আবারও নির্বাচনে জয়ী হবে এবং আবার পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকবে। আর বিশ্ব দেখবে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়েছে এবং তাতে সরকারী দল জয়ী হয়েছে।
সরকারী দল অভিমানকারীদের অভিমানে কেন সাড়া দিবে? তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেই তো সরকারী দলের সুবিধা। তবে অভীমানকারীরা অতীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও জয়ী হতে পারেনি। তারমানে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই নির্বাচন আর সুষ্ঠ হয় না। তারা যেমন নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে তেমন নির্বাচন আয়েজনে তারা সরকারকে বাধ্য করতে পারবে কি? তারা আসলেই বড় বিপদে আছে। তারা চায় জনগণ তাদের জন্য রাস্তায় নামুক। কিন্তু জনগণ তাদের জন্য রাস্তায় নামে না। এর কারণ হলো জনগণ তাদেরকে হাঁড়ে হাঁড়ে চিনে। জনগণ কষ্ট করে তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করার পর ক্ষমতায় গিয়ে তারা জনগণের কথা বেমালুম ভুলে যায়। শুধু কি তাই? তারা তখন তাদের নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মীদের কথাও ভুলে যায়। তখন তারা তাদের কথা মনে রাখে যাদের কাছ থেকে তারা সুবিধা পায়। তবে সেই সব সুবিদা দিয়ে সুবিদা প্রাপ্ত বসন্তের কোকিলেরা এখন তাদেরকে ক্ষমতায় আনতে মোটেও সহায়তা করতে পারছে না। কারণ তারা ব্যবসায়ী। তারা সুবিধা দিয়ে সুবিধা ক্রয় করে। নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মী-জনগণ এখন হাত গুটিয়ে বসে আছে। তারা মনে মনে বলছে যাদেরকে সুবিধা দিয়েছ তাদেরকেই এখন আন্দোলন সফল করতে বল। কিন্তু সুবিধা ভোগীরা আণ্দোলনের ধারে কাছেও নেই। কিছু দল প্রেমিক আন্দোলন করে জেলে যায় ঘটনা এ পর্যন্ত। সারাংশে যাদের ভোট দানের ইচ্ছা আছে তাদের ভোটে সুষ্ঠ নির্বাচনে হয়ত সরকার আরো এক মেয়াদে ক্ষমতায় যাচ্ছে। সরকার বিরোধীদের চরিত্র দোষের কারণেই তারা যা চায় তা’ হয়ত আগামী নির্বাচনেও হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১১