একদা আওয়ামী লীগ ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে নীচে পড়ে গিয়েছিল। মেধাবী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরে একুশ বছরে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতার কেন্দ্রে তুলে দিলেন। তারপর আওয়ামী লীগ আবার পড়ে আবার আট বছর পর ক্ষমতার কেন্দ্রে উঠে এলো। এখন আওয়ামী লীগ একেবারে ক্ষমতার কেন্দ্রে জেঁকে বসে আছে। আর বিএনপি যতটা নীচে পড়েছে, আওয়ামী লীগ কখনও এতটা নীচে পড়েনি।
ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সোস্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক প্রচারনা চালানোর চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে তাঁকে আওয়ামী লীগের বিশাল সমর্থক গোষ্টির মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তারা তাঁর পেজের রিচ কমানোর প্রচেষ্টায় তৎপর। কেউ কেউ তাঁর নামে ফেইক আইডি খুলে তাঁকে কমেডিয়ান সাজানোর চেষ্টা করছে। তবে তাঁর মূল পেজে গেলে তাঁর কিছু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মিলে। তিনি মেধাবী জেঃ জিয়াউর রহমানের নাতনি হিসাবে জিনগত ভাবে তাঁর কিছু মেধা থাকার কথা।
রাজনীতিতে নেমে মেধাবিরাও হাবুডুবু খেয়ে অবশেষে পলায়র করে। ভিপি নূরু অবশেষে নূরা পাগলা খেতাব পেয়েছে। তবে জাইমার পিছনে আছে বিশাল সমর্থক গোষ্টি। অন্তত সেটা কয়েক কোটি হতে পারে।জাইমা কি তাদের সহায়তায় বিএনপিকে দ্রুত উপরে টেনে তুলতে পারবেন? জাইমার কাজ সহজ করতে পারে আওয়ামী লীগ। তারা যত ভুলের ইট নীচে ফেলবে জাইমা তত সেই ইটে পা দিয়ে উপরে উঠে আওয়ামী লীগকে হ্যালো বলতে পারবেন।
জাইমার দাদী ক্লান্ত। জাইমার পিতাকে মিধাবী রাজনীতিবীদ কখনিই মনে হয়নি। আর আওয়ামী লীগ তাকে দন্ড দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে। আর ব্যারিস্টার হলেও জাইমার বয়স নেহায়েত কম। তথাপি তিনি চেষ্টা করছেন, অতি নীচে পড়ে থাকা বিএনপিকে টেনে তুলতে।
জনগণ দ্রব্য মূল্যের চাপে চেপ্টা হয়ে যাচ্ছে। তারাও চায় কেউ একজন তাদেরকে এ বেহাল দশা থেকে টেনে তুলুক। বিষয়টা আওয়ামী লীগ খেয়াল করছে বলে মনে হয় না। তারা দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করতে গিয়ে জনগণের অবনয়নের বিষয়টা খেয়াল করছে না। বিষয়টা জাইমা কাজে লাগাতে চাইবেন। কারণ আপাতত তাঁর চিন্তা-চেতনা খুব উর্বর। বার বছরের আকবরও রাজনীতিতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। জাইমার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডও উন্নত। সুতরাং মেধা খাটাতে জানলে তিনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন বলে মনে হয়।
আওয়ামী লীগে মেধাবী লোকের অভাব নেই। কিন্তু তারা জনগণের কষ্টের কথা ভাবছে বলে মনে হয় না। এটা তাদের জন্য কোন সমস্যা তৈরী করে কিনা সেটা সময়ে জানা যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০