বেয়াই কোরিয়া যাওয়ার পরেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেল এবং বেয়াই আর বিলম্ব না করে কোরিয়া থেকে ফিরে এলেন। জনগণ বলল ঘটনা কি? বেয়াই বললেন, কোরিয়ায় থাকলে আপনাদের সেবা হবে কেমন করে? সুতরাং বেয়াই একটা গ্রিল ওয়ার্কসপ তৈরী করে জনগণের সেবা শুরু করলেন। তার সাথে তিনি কেবল অপারেটরও হলেন।কিছুদিন পরে আমি গ্রামে গিয়ে দেখলাম বেয়াইয়ের সুরম্য প্রাসাদ। সেটা ছিল জনসেবার প্রতিদান। আমার বিল্ডিং করার কথা শুনে বেয়াই বললেন, গ্রিলের কাজ কিন্তু আমি করব। আমি বললাম তাতে আমার লাভ? বেয়াই বললেন রেট পাঁচটাকা কম।
ক্ষমতা পেয়ে ভাতিজা ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের মাধ্যমে জনসেবা শুরু করলো। সে বলল, কাকা আমি কিন্তু আপনার বিল্ডিং এর ভিটিতে বালি ভরাব। আমি বললাম ঠিক আছে। পুকুরের ইজারাদার বলল আমার মাছের ক্ষতি হয়। আমি বললাম ভাতিজাকে বলুন, বালিতো সে তোলে। ইজারাদার ভাতিজাকে কিছুই বলেনি। তাতে আমার কাজ শান্তিমত হয়ে গেল।
কাকা সতের লক্ষ টাকায় একটা সি এন্ড এফ লাইসেন্স এর ব্যবস্থা করে দিলেন একজনকে। সে এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক।বড় ভাইয়ের ছাত্রীর বাবার টাকার কোন অভাব নাই। তাঁর পেশাটা কি? উত্তর হলো রাজনীতি। কি করেন তিনি? তিনি সবার মুসকিল আসান করেন। যার মুখ দিয়ে কথার খই ফুটে, তাঁকে দেখলে তার মুখ দিয়ে শুধু ম্যা ম্যা বের হয়।
কোথায় পেল সে এত টাকা? দুদদ গেল দেখতে। তারা দেখলো তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রচুর লাভ। তাঁর কেতার অভাব নাই। তার পণ্য না কিনে কে আর মুশকিলে পড়তে চায়? মালে ভালো দামে কম। আমার পণ্য কেন কেউ না কিনবে? ঠিক তো মালে ভালো দামে কম পাবলিক সেখানেই তো যাবে।
একখান নমিনেশন এর কাগজের দাম যদি ছয় কোটি টাকা হয়, তবে এমন বিজনেস কোন পাগলে না করে? অতঃপর কালো টাকা সাদা করতে আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যারা ক্ষমতায় নেই তারা মজলুম বলে দলীয় ভাই-বোনেরা তাদের উপকারে তৎপর থাকে। সুতরাং তাদের ছেলেপিলেও বিদেশে থেকে পড়া-লেখা করে।
এব্যাবসায় সমীকরণে সমীকরণে টাকা। সবই সরল সমীকরণ এবং সবই সরল সম্পদ। সে সম্পদ কালো হলো বাজারে আছে রং ফর্সার ক্রিম। সুতরাং কালো সম্পদ সাদা হতে সময় লাগে না। হোক জাইমা ব্যারিস্টার। কিন্তু সে তার পিতার নিকট থেকে যে লাভ জনক পেশার তালিম পেয়েছে সবার আগে সে সেই ব্যবসাটাই করবে। পীর পিতার ইন্তেকালের পর অধ্যক্ষ পুত্র চাকুরী ছেড়ে দিল। জনগণ বলল ঘটনা কি? অধ্যক্ষ সাহেব বললেন শুধু পানি পড়া থেকেই মাসে আসে তিন লক্ষ। আরো ত্ আইটেম আছে। এ দিকে ব্লগাররা তাদেরকে বেকুব বলে। শুনে তারা মুচকি হাসে। কারণ তারা খুব করে জানে বেকুব আসলে কারা? কারণ ব্লগাররা বিনে পয়সায় একজন আরেক জনের পিছনে লেগে থাকে। এমন বুদ্ধিমাণ প্রাণী রাজনৈতিকের হয়ে কাজ নেই।
সোনাগাজী হয়ত বলবেন এসব পুতুল দিয়ে কিছু হবে না। কিন্তু রাজনীতির ভালো তালিম পেলে দেখা যাবে পুতুলও জলজ্যান্ত মানবী হয়ে উঠেছেন। রাজনীতির এ আলো দেখা জন্মান্ধদের কাজ নয়। সরি বস! কিছু মনে কইরেন না। সুযোগ পেলে আপনিও মানুষকে খোঁচা দিয়ে কথা বলেন। সুতরাং আপনাকে খোঁচা দেওয়া কোন অপরাধের মধ্যে পড়ে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৯