আল্লাহ একটা অকল্পণীয় সুন্দর ও আরম দায়ক স্থান জান্নাত বানালেন। যাতে দশটা পৃথিবীর সমান স্থান পাবেন এক একজন ডেলিগেট। তাতে তাঁর মানুষ ও জিন সংখ্যার ১% সদস্য ডেলিগেট হিসাবে প্রয়োজন। তাতেই কত বিশাল স্থানের প্রয়োজন। জান্নাতের প্রয়োজনীয় ডেলিগেট পাওয়ার জন্য আল্লাহ পৃথিবীতে কোন জিনের সাথে কথা বলেননি। তিনি পৃথিবীর দু’জন মানুষের সাথে কথা বলেছেন। তাঁরা হলেন মুসা (আ) ও মোহাম্মদ (সা)। আরো অনেকের সাথে আল্লাহ সরাসরি কথা না বললেও তাঁদের নিকট তিনি ফেরেশতা মারফত তাঁর কথা পৌঁছে দিয়েছেন। বেশ হয়ে গেল। তিনি পেয়ে যাচ্ছেন জান্নাতের ১% ডেলিগেট।
তারপর অমুক তমুক বলেছে তাদের সাথে কেন আল্লাহ কথা বলেননি? তো তাদের সাথে কথা না বলাতে আল্লাহর কি ক্ষতি হয়েছে? তাদের সাথে কথা না বলাতে আল্লাহর জান্নাতের ১% ডেলিগেট পেতে সমস্যা হচ্ছে কি? যদি তেমন কোন সমস্যা না হয় তাহলে আল্লাহ কেন তাদের সাথে কথা বলবেন? প্রয়োজন ছাড়াতো কেউ আর কোন কাজ করে না।
যারা জান্নাতে যাবে না আল্লাহ বলেছেন তাদের ঠিকানা আল্লাহ জাহান্নামে করে দেবেন? এরমধ্যে অনেকে জাহান্নামে যাওয়ার জন্য বাক্স-পেটরা গুঁছিয়ে বসে আছে। সেখানে নাকি অনেক বৈচিত্র আছে। আর আল্লাহ বলেছেন, অবশিষ্ট মানুষ ও জিন জাহান্নামে ফেলে দিলেও তাতে জায়গার কোন অভাব হবে না।
একজন বলল জাহান্নামে আমার অবস্থা কেমন হলে ভালো হবে? আমি বললাম জ্যান্ত ফুটবল। যাতে লাথি মারলে জাহান্নামীরা আনন্দ বোধ করবে। আর লাথি খেয়ে খেয়ে তুই বিচিত্র করমের শব্দ করবি। সেটাই হবে তোর জন্য জাহান্নামের অনেক অনেক বৈচিত্র।
কতিপয় বলল, ওসব আমরা বিশ্বাস করি না। আমি বললাম সেখানে যাওয়ার পর ওকথা তোমরা আর অবিশ্বাস করবে না। দু’দিন আগে আর পরে। আল্লাহর কথা সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে। তবে এখনকার মত তখনকার বিশ্বাস লাভ জনক হবে না।
তথপি তথাপি তথাপি মুমিনদেরকে অনেকের গাছ বলদ মনে হয়। মুমিন বলে সমস্যা নাই। চালাক হয়ে জাহান্নামে যেতে পারব না। তারচে বরং বলদ হয়ে জান্নাতে যাই সেটাই বরং ভালো। কে বুঝাবে এসব লোককে। এদের অটল ঈমান কিছুতেই টলানো যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২