জাতির জনক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বললেন। অত:পর বিভিন্ন ঘর থেকে হানাদারের উপর হামলা হলো। অবশেষে দিশেহারা হানাদার আত্মসমর্পন করলো।অবশেষে আমরা স্বাধীন হলাম। অবশেষে আমরা স্বাধীনভাবে দূর্নীতি করলাম। অবশেষে আমরা দূনীর্তিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যম্পিয়ন হলাম।কথাছিল স্বাধীণতার পর ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেওয়া। আমরা ঘরে ঘরে দূর্নীতি পৌঁছে দিলাম। এখন দেশের বিচারকও অবিচার করে বিচারিক ক্ষমতা হারায়। দেখাগেলো এরা খুনের মামলার বাদীকে ফাঁসি দিয়ে আসামীকে বে-কসুর খালাস দিয়ে দিলো। যে দেশে ঘুষের টাকায় মামলার রায় পাল্টে যায়, সে দেশে জনগণের টাকায় বিচারক পোষা হয় কোন কারণে? উকিল ও বিচারক জনগণের পকেট কাটে। তথাপি তারা সুবিচারের বদলে অবিচার পায়।
এদেশে অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের চরিত্র হলো ফুলের মত পবিত্র। অপবিত্র হলো জনগণের শান্তিতে বেঁচে থাকার ইচ্ছা। অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের পকেট তো দিন দিন ভারী হচ্ছে এবং খালি হচ্ছে জনগণের পকেট। জনগণ একদলের উপর বিরক্ত হয়ে অন্য দলে যাচ্ছে। অত:পর সেই দলের উপর বিরক্ত হয়ে পূর্ব দলে ফেরত যাচ্ছে। সেই দলেও তারা স্থায়ী হতে পারছে না। দল সমূহ এভাবে জনগণকে বাঁদরে জাতিতে পরিণত করেছে।
অসহায় জনগণ আল্লাহর নিকট বিচার দিয়ে একটু শান্তি লাভ করবে, তাতেও বাগড়া দেয় একদল। তারা বলে ওসব আল্লা-টাল্লা কিচ্ছু নাই। আল্লা হইলো মানুষের সৃষ্টি। তারা আল্লাহর নবিকে (সা.) গালাগালি করে। কতিপয় আবার তাদেরকে কুফিয়ে মারে। এসব তামাসার জন্য দেশটা স্বাধীন হয়ে ছিল কি?
পাকিরা বাঙ্গালী শাসন মানবেনা বলে হানাদার হলো। এখন তারা বলছে বাঙ্গালী শাসনই ভালো হতো। তা’ তোরা সে কথা বুঝলি পঞ্চাশ বছর পর? দেশের যে কোন নির্বাচিত ব্যক্তি শাসক হবে। দেশের যে কোন উপযুক্ত স্থান রাজধানী হবে এটাই তো নিয়ম। মাথামোটা পাকিরা এর বিরোধীতা করে ছিল কোন কারণে?
তারা দেশ শাসনে অদক্ষ এবং আমাদের ঝুলিতে আছে ভরপুর দূর্নীতি। আলাদা হওয়ার পর একদেশ অদক্ষতায় পরিপক্ক এবং অন্যদেশ দূর্নীতিতে অনন্য হয়ে গেল। কতকাল আর এভাবে চলবে? এদেশের মাটিতে কি শুধু আগাছাই জন্মাবে? এদেশের ব্লগ বলে ব্লগটাও জঙ্গলে ভরে যায়। মডু তখন জঙ্গলে বসবাসের জন্য হাপিত্যেশ করে। সোনা এন্ড জটিল কোং মুখোমুখি। দেখা যাক তারপর কি হয়? তবে এদেশে মন্দ এবং দ্বন্দ্ব ছাড়া ভালো কিছু আশা করা যায় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:২৫