
কবিতা আগে ছিল মাত্রা অন্তমিলে পুকুরের মত স্বল্প গভীরতায় মাপমত গড়া
এখন সেটি বহতা নদীর মত এঁকে-বেঁকে চলে পাড় ভেঙ্গে, চর গড়ে
মাপ-ঝোঁপ নেই আর আগেকার মত। লোকে বলে একি ছন্নছাড়া ভাব
কুমারী কবিতা দেহে এসে গেল। কোথাও নেইকো এর কোনই বন্ধন।
রবীন্দ্র নজরুল হারায়ে এখন জীবনানন্দ ধানসিঁটির তীরে বসে লেখে কাব্য কথা
তাতে থাকে বনলতা সেন, তাতে থাকে অন্ধকার বিদিশার দিশা, আরো থাকে সাবস্ত্রির কারুকার্য
সে এক অন্য কবিতা চঞ্চলা হরিনীর মত বুনুমেয়ে হয়ে নৃত্য করে নুপুর ঝঙ্কারে
আকাশ অবাক হয়ে সে নৃত্য দেখে উবু হয়ে। বাতাস তাকে দেখে ফিরে ফিরে আসে।
একালের এ কবিতা লেখায় পাকা হাত লাগে। নতুবা এ কবিতা হয় না কোন কালে
কাঁচা হাতে কবিতা লেখায় সেটি হয় নালা, অথবা কোন নর্দমা। তাতে পাঠক হয় বে-হুঁস
একি বিচ্ছিরি কান্ড হয়ে গেল। এ জলে ভেসে থাকে মরা কাক। অথবা এতে জল থাকে না
নাহ! কিছুতেই না। এটাকে পুকুরও বলা চলে না। আবার এটা নদীও তো নয়। এটা তবে কি হলো?
নন্দীনী হবে কি বন্দীনী তুমি?এসনা হৃদয় তলে পাশাপাশি বসে ধরি দু’টি হাত
উদাস দীগন্তে তাকিয়ে থেকে চলনা মনকথা বলি অকপট সারল্যের কথা মালায়
তুমি লুটিয়ে পড়বে আমার কোলে পরম আনন্দে, আমি বুঝব অনুভবে কি সুখ সাথী সঙ্গে
এরকম হতে পারে একালের কবিতা দৃষ্টান্ত। রিনিঝিনি রিনিঝিনি রিনিঝিনি সুরে যা চলে দূর্মর।
কবিতা কুমারী না চিনে কবিগণ কাকের ফাঁফরে পড়ে কাকাদের অকারণে ডেকে মরে
পাঠক বলে আরে মর মর মর। দুমড়ে মুছড়ে মর। কবিতার নর্দমার পাড়ে মর
তাদের কবিতায় সময়ের শ্রাদ্ধ চলে। লোকেরা শোকাহত হয়ে খেয়ে চলে দূর্বিপাকে পড়ে
ভুড়িভোজ চলে অখাদ্যে। দেখে কবি চূলকায় মাথা। নদী সৃষ্টিতে তারা খোঁজে ভাবের পর্বত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



