
কোন ধর্মের সদস্য না হয়ে সেই ধর্মের সদস্য সেজে থাকা হলো অযাচিত ধর্মাচার। এটা প্রতারণা। এতে ধর্মের লোকেরা কোন লোককে তাদের ধর্মের লোক মনে করে প্রতারিত হয়, অথচ সে বাস্তবে তাদের ধর্মের লোক নয়।
মুসলিমদের মাঝে যারা ইসলাম ধর্মের লোক না হয়ে মুসলিম সেজে থাকে তাদের অভিযোগ হলো ইসলাম ত্যাগ করলে তাদেরকে মোরতাদ হওয়ার অপরাধে হত্যা করা হতে পারে। কিন্তু ইসলামে মোরতাদ হত্যা ফরজ নয়, বরং জায়েজ। মোরতাদ হত্যা জায়েজ রাখার কারণ হলো, মুসলিম থাকায় তার নিকট মুসলিমদের গোপন তথ্যা থাকা। যেমন জরুরী অবস্থায় মুসলিমদের লুকিয়ে থাকার স্থান বিষয়ে সে ব্যক্তি জানে। সে মোরতাদ হওয়ার কারণে তার দ্বারা এ তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। এখন তাকে হত্যা না করা হলে লুকিয়ে থাকা মুসলিমদের প্রাণ যেতে পারে। এমতাবস্থায় লুকিয়ে থাকা মুসলিমগণ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে তাকে হত্যা করলে তাদের পাপ হবে না। কিন্তু যার মোরতাদ হওয়াতে মুসলিমদের কোন ক্ষতি নেই তাকে হত্যা করা জায়েজ হতে পারে না। কেউ যদি এমন মোরতাদ হত্যা জায়েজ বলতে চায় তাকে এ সংক্রান্ত কোরআনের আয়াত দেখাতে হবে। কারণ হাদিস হলো কোরআনের ব্যখ্যা। যার ব্যখ্যা আছে মূলটা নাই সেটাকে ব্যখ্যা বলা যায় না।
কোরআনে স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে ধর্মে জবরদস্তি নাই। সুতরাং কোন ব্যক্তিকে জোর করে ইসলাম ধর্মে আটকে রাখা ঠিক নয়। বাংলাদেশে জোর করে কোন লোককে কোন ধর্মে আটকে রাখার বিধান নেই। তাহলে এখানে অযাচিত ধর্মাচার কেন হবে? যে মুমিন সে মুসলিম থাকুক। যে মুমিন নয় সে মুসলিম থেকে মুসলিমদেরকে কেন ধোকায় ফেলবে?
অযাচিত ধর্মাচার হলো বর্জ ত্যাগের পূর্বে অযু করে বর্জ ত্যাগের পরে অযু না করার মত। এরা আমল করে ঈমানের পূর্বে। অথচ ঈমানের পরে আমল হওয়ার কথা। কারণ ঈমানহীন আমলের মূল্য নাই। অবশ্য সেটা দান ও পরোপকার হলে তাতে লাভ আছে। এমন লোকদের জাহান্নামে শাস্তি কম হবে।
লেখার স্বপক্ষে কেউ চট জলদি প্রমাণ চাইলে তা’ দেওয়া যাবে না। কারণ প্রমাণ দিতে হলে আগে সেটা খুঁজে পেতে হবে, তারপর সেটা উপস্থাপন করতে হবে। সার কথা হলো যে মুমিন নয় সে ইসলামের অযথা প্রাকটিস না করুক। অনেকে আবার এটাকে নিয়মে পরিণত করতে মরিয়া। যে মুমিন নয় সে কেন হজ্জ্ব করে অযথা টাকা নষ্ট করবে? সে বরং হজ্জ্বের টাকা গরীবদেরকে দান করুক। তার ঈমানহীন হজ্জ্বে তো লাভ হচ্ছে না। তারচে সে হজ্জ্বের টাকা গরীবদেরকে দিলে তারা যথেষ্ট লাভবান হবে। এমন লোক কোরবানী না দিয়ে সে টাকা গরীবদেরকে দিতে পারে। কেউ টাকা খরচ করে লাভবান হচ্ছে না, অথচ কেউ টাকার অভাবে প্রাণে বাঁচতে পারছে না, বিষয়টা কেমন হলো? সুতরাং অযাচিত ধর্মাচারীদেরকে বলব আপনারা এমন অযথা কাজে যুক্ত না থেকে মানবতাবাদী হোন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




