
বস্তুর গতি কোন এক দিকে হয়। কিন্তু মহাশূণ্যে নির্দিষ্ট কোন দিক ছিল না। সেখানে দিক ছিল সব দিক। সেজন্য সেখানে বস্তু হতে গিয়ে সব দিকের টানে পড়ে এর অনু-পরমাণু থেকে ভেঙ্গে গিয়ে এর ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন শক্তি কনিকায় রূপান্তরিত হয়ে অসীমত্ত্বে মহাশূণ্যে বিলিন হয়। আর শক্তি গুলো সরাসরি অসীমত্ত্বে মহাশূণ্যে বিলিন হয়। অতঃপর সকল শক্তি একত্রিত হয়ে সর্বশক্তিমান রূপে আল্লাহ হলেন। তিনি বস্তু সমূহের গতি পরস্পরের দিকে করে দিলেন। ফলে বস্তু সমূহ পুঞ্জিভূত হয়ে গেল। এরপর আল্লাহ মহাবিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদেরকে আলাদা করলেন এবং তাদের আলাদা অস্তিত্ব বজায় রাখতে তাদের কক্ষপথ নির্দিষ্ট করে দিলেন। ফলে এরা চক্রাকার কক্ষপথে একদিকে পরিভ্রমণ করে তাদের আলাদা অস্তিত্ব বজায় রাখলেন। এভাবে সৃষ্ট মহাজগৎকে আল্লাহ সাতটি মহাকাশ ও জমিনে বিভক্ত করে তাতে তাঁর আঠার হাজার মাখলুকাত ছড়িয়ে দিলেন। এরপর তিনি আরশ তৈরী করে তাতে স্থাপিত হয়ে সৃষ্ট মহাজগতের নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত হলেন। আল্লাহর ভূমিকা ছাড়া কিছুই হতে পারেনি বিধায় আল্লাহ নিজেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা বলে ঘোষণা করলেন।
মহাজগতের শৃঙ্খলা থেকে স্পষ্টভাবে এর নিয়ন্ত্রক আল্লাহর উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। আর তাতে তাঁর একত্ত্ববাদও স্পষ্ট বুঝা যায়। এরপর প্রশ্ন হলো আল্লাহ সৃষ্টির শ্রেণীভেদ করলেন কেমন করে? এরজন্য আল্লাহ সৃষ্টির প্রাণ সৃষ্টি করে তাদেরকে তাঁর যিকিরের দায়িত্ব দিলেন। প্রত্যেক সৃষ্টির যিকিরের বিবরণ তিনি একটি কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন। তারপর সে যিকিরের হিসাব করে যিকিরের হিসাব ফল অনুযায়ী সৃষ্টির প্রাণ সমূহকে আঠার হাজার মাখলুকাতে বিভক্ত করলেন। তখন যে প্রাণের ভাগে যে মাখলুকাত পড়লো তিনি সে প্রাণকে সে মাখলুকাতে স্থাপন করলেন।
মহাজগৎ স্থাপনের পর এর মধ্যে আল্লাহ এক অকল্পনীয় জগৎ সৃষ্টি করলেন। যাতে আছে মহাশান্তি এবং মহাকষ্ট। তাঁর সেরা দুই সৃষ্টির ইবাদতের বিনিময়ে তাদের জন্য তিনি এর প্রাপ্তি নির্ধারিত করলেন। ইবাদত করার জন্য মহাশান্তির স্থান জান্নাত এবং ইবাদত না করার জন্য মহাকষ্টের স্থান জাহান্নাম। আল্লাহর অন্য সব সৃষ্টি মূলত এ দুই সৃষ্টির শান্তি ও শাস্তির জন্য নিয়োজিত।
প্রথমত যিকিরের বিনিময়ে আল্লাহ সৃষ্টির একটা তাকদীর নির্ধারিত করেছেন। পরে যিকির ও ইবাদতের হিসাবে আল্লাহ তাদের আবার তাকদীর নির্ধারিত করেছেন। কোন কিছুতেই তিনি কারো প্রতি কোন অবিচার করেননি। তিনি কিভাবে কারো প্রতি কোন অবিচার করেননি সেটা তিনি সবাইকে হাসরের দিন বুঝিয়ে দিবেন। ফলে শাস্তি প্রাপ্তগণ তাদের শাস্তি যে সংগত এটা মেনে নিতে বাধ্য হবে। এসব তথ্য কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসব বিষয়ে কেউ কিছু জানতে চাইলে তা’ কমেন্ট জানানোর চেষ্টা করা হবে- ইনশাআল্লাহ। তবে এরজন্য আমাকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




