
এত্ত বড় মানুষের এত্ত ছোট জীবাণুর খোঁজ-খবর রাখার দরকার কি? এ জীবাণুরা এত্ত বড় মানুষটাকে মেরে ফেলে। যেমন, করনা জীবাণু বহু মানুষ হত্যার কারণ। সেজন্য মানুষ অনুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে এসব জীবাণুদেরকে দেখে ঔষধ প্রয়োগে এদের বিনাশের ব্যবস্থা করে।
মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করে। তাঁর শরিকদার সাব্যস্ত করে। মানুষের এসব কীর্ত্তি আল্লাহকে মানসিকভাবে আহত করে। সেজন্য আল্লাহ তাদের নিকট বার্তা পাঠিয়ে তাদেরকে জানিয়ে দেন তাঁর অবাধ্য হলে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে।
মানুষ খুব অদ্ভুত কথা বলে। তারা বলে, এমনি এমনি সব হয়েছে, শুধু আল্লাহ হননি। এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতি আল্লাহর ক্ষেত্রে এসে ফেল মেরেছে। সেজন্য তারা বলছে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। সেজন্য আল্লাহ জানিয়ে দিলেন, তিনি যখন জাহান্নামে ফেলে দেবেন তখন টের পাওয়া যাবে তিনি কতটুকু আছেন কতটুকু নেই।
যাদের আচরণ আল্লাহর পছন্দ তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বার্তা পাঠান। লোকেরা বলে আল্লাহ কেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেন না? এর সহজ উত্তর, এ ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর পছন্দ নয়। সেজন্য তারা আল্লাহকে মানবে না? না মানুক! তাদের জন্য তো জাহান্নাম প্রস্তুত আছেই।
কারো প্রতি আল্লাহর কোন গরজ নেই। কেউ তাঁকে খুশী করতে পারলে তার জন্য জান্নাত এবং কেউ তাঁকে অসন্তুষ্ট করলে তার জন্য জাহান্নাম। তারপর যার কাজ সে করছে। আল্লাহর লোক সব হিসাব লিখছে। তারপর একটা প্রতিফল দিবসে আল্লাহ হিসাব অনুযায়ী কিছু সংখ্যক লোককে জান্নাতে পাঠিয়ে দিয়ে বাদবাকী লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
কেউ আল্লাহর বার্তা বিশ্বাস না করলে তাতে আল্লাহর কোন সমস্যা নেই। আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন। সেখানে বসে সে অনন্ত কাল আল্লাহকে অবিশ্বাস করুক এবং অবিশ্বাসের শাস্তি পেতে থাকুক। তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। তবে যে আল্লাহকে বুঝতে চেষ্টা করে সে ঠিক আল্লাহকে বুঝতে পারে। সে আল্লাহর ইবাদত করে জান্নাতের যোগ্য বিবেচিত হয়। এ সংখ্যা খুব কম হলেও ক্ষতি নেই। কারণ তাতেই আল্লাহ সন্তুষ্ট। শুভ কামনা আল্লাহর প্রিয় জনদের জন্য। আমরাও যেন সেই কাতারে সামিল হতে পারি আল্লাহর নিকট আমাদের সেই প্রার্থনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




