
আল্লাহ বলেছেন, তাঁর কিতাব ছাড়া অন্য সব কিতাবে অসংগতি থাকবে। ধর্মহীন ও নাস্তিকের কথায় অসংগতি তো আছেই সেই সাথে তাদের অনেকের কথা মার্জিত হয় না। তাদের অনেককে মোহাম্মদকে (সা.) নোংরা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেছে। কিন্তু তাতে কি মোহাম্মদের (সা.) অনুসারীগণ তাঁর অনুসরন ছেড়ে দিয়েছে? উত্তর ‘না’ হলে এটা তাদের অসংগত আচরণ। কারণ এতে তাদের কোন লাভ হয়নি, উল্টা কিছু লোক তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে আক্রমণ করেছে। এঘটনার তারা তীব্র সমালোচনা করেও লাভবান হচ্ছে না। কারণ সকল অবস্থায় মোহাম্মদের (সা.) অনুসরন না কমে বরং বাড়ছে।
মোহাম্মদের (সা.) কথাকে অনেকে সেকালের গল্প কথা বলেছে। একালেও অনেকে এটাকে রূপকথা বলে। ফলাফল সেই এক রকমই রয়েছে। তারমানে মোহাম্মদের (সা.) অনুসরন না কমে বাড়ছেই। আয়েশার (রা.) বিবাহের ঘটনাকে তারা একটা মোক্ষম অস্ত্র মনে করে ছিল। কিন্তু তাতেও বিরোধীরা কোন সাফল্য লাভ করতে পারেনি। কারণ আয়েশার (রা.) ঘটনা মোহাম্মদ (সা.) নবি নয় এটা প্রমাণ করে না। ধর্মহীন ও নাস্তিকদের প্রধান সমস্যা হলো তারা যা বলছে, তারা তা’ সঠিক প্রমাণ করতে পারছে না। তারা মোহাম্মদকে (সা.) মন্দলোক বলার চেষ্টা করছে। তো তারা আল্লাহকেও মন্দই বলছে। তবে আর মোহাম্মদকে (সা.) মন্দ বলে কি লাভ হলো? মন্দের নবী মন্দ হলে হিসাব তো সঠিকই আছে। তারা যদি বলতো আল্লাহ খুব ভালো তাহলে হয়ত বলা যেত মোহাম্মদের (সা.) মত মন্দ লোক তাঁর নবি হতে পারে না। তারা উভয়কে মন্দ বলে প্রকারান্তরে মোহাম্মদের (সা.) নবুয়তের সঠিকতার কথা বলছে। অসংগতি এখানে যে তাদের কথার হিসাব মোটেই মিলানো যায় না। তারা মুমিনদেরকে নারী লোভী বলছে। তো মুমিনগণ যার তাবেদার সেই আল্লাহরও তো তারা সুনাম করছে না। তাহলে মুমিন আল্লাহর বান্দা হিসাবে তো ঠিকই আছে। তারা হুরের কথা বলে নারীদেরকে ইসলাম থেকে সরাতে চায়। অথচ অনেক নারী পুরুষের চেয়ে ইসলাম বেশী পালন করেন। আমার মাকেই আমি বিষয়টা জানালে তিনি বলেন, জান্নাতে সতিনের হিংসা নয় বন্ধৃত্ব থাকবে। ধর্মহীন ও নাস্তিকদের কোন বোমাই ইসলামের বিরুদ্ধে তেমন কাজ করছে না। চিরবিদ্যমাণ এ দলটি আয়তনে তেমন বড় হচ্ছে না। পদার্থ তাপপেলে আয়তনে বাড়ে, কিন্তু ধর্মহীন ও নাস্তিকগণ তাপপেয়েও আয়তনে বাড়ে না। তারমানে এরা আসলে অপদার্থ।
ব্লগে ধর্মহীন ও নাস্তিকের কমেন্টগুলো পড়লেই তাদের চিন্তা ও মানসিকতার দৈন্যতা নজরে আসে। ফলদায়ক কিছু যেন এরা বলতেই শিখেনি। খালি পত্র হিসাবে এরা খুব বাজা বাজে। বেলা শেষে হিসাব ঐ একরকম। চিরকাল তারা বনসাঁই হয়ে আছে। এরা যেন মার্জিত ভাষা বলতেই শিখেনি। আল্লাহ, নবি (সা.) কোরআন, মুমিন এদেরকে গালি-গালাজ করলেই কি এসব দমানো যাবে? নাহ কিছুতেই এসবকে দমানো যাচ্ছে না। সেজন্য এসবের প্রতি তীব্র রাগ ঝরে পড়ে ধর্মহীন ও নাস্তিকের কতিপয়ের আচার আচরণে।
কিছুকাল আগে ধর্মহীন ও নাস্তিকের উত্থান দেখে মনে হয়েছে এই বুঝি তাদের বিপ্লব ঘটেগেল। বেলা শেষ দেখা গেল তাদের বিপ্লবের পোশাকগুলো পড়ে আছে, ভিতর থেকে মানুষগুলো নেই। সেগুলো কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। তবে দু’একটা মাঝে সাজে চিৎকার করে অস্তিত্ব জানান দেয়। এটা অবশ্য চিরকালের ঘটনা। মুমিন এসবের কেয়ার না করে জান্নাতের পথে এগিয়ে চলছে অদম্য গতিতে। আর ধর্মহীন ও নাস্তিকের শুধু হায় আফসুস দেখা যাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




